সৈয়দ আমিনুল ইসলাম : একটি শিশুকে যদি দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হয় তাহলে প্রথমেই তার অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু নানাভাবে শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে। নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পাঠ্যবই থেকে জানতে পারি, ১৪ বছরের কম বয়সি কোনো শিশুকে কাজে নিয়োগ করা যাবে না। পাশাপাশি শিশুর মা-বাবা কিংবা অভিভাবক শিশুকে দিয়ে কাজ করানোর জন্য কারো সঙ্গে কোনো প্রকার চুক্তি করতে পারবে না। এদিকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নানা কারণে মা-বাবা তার শিশুকে শ্রমে যুক্ত করতে বাধ্য হয়। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, পরিবারের আর্থিক অনটন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণ। আর এতে করে একটি শিশু তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পারিবারিক অসচ্ছলতা দূর করতে একটি শিশুর কাঁধে বড়দের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। প্রচ- স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে ওই শিশুরা কলকারখানায় কাজ করে। খাদ্য, বস্ত্র ও দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতেই একটি শিশুকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে (সিআরসি) স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। এই সনদে বলা হয়েছে, স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনা করে সদস্য রাষ্ট্রগুলো শিশুশ্রমের জন্য বয়স, বিশেষ কর্মঘণ্টা ও নিয়োগে যথার্থ শর্তাবলি নির্ধারণ করবে। এছাড়াও শিশুর সুরক্ষা, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে অঙ্গীকার করা হয়েছে যা পরোক্ষভাবে শিশুশ্রম নিরসনে সহায়তা করবে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনও গড়ে তুলতে হবে বলে আমি মনে করি। এই আন্দোলন হবে শিশুকে সুন্দর পৃথিবী উপহার দেওয়ার আন্দোলন। শিশুর জীবন সুন্দর হলেই সুন্দর হবে দেশ। প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া।-সৌজন্যে : বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক বিভাগ ‘হ্যালো’।