ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

শিল্পকলায় লাকী যুগের অবসান

  • আপডেট সময় : ১১:৫১:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: সরকার পতনের পর পরিবর্তনের ধাক্কায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদ ছাড়লেন লিয়াকত আলী লাকী, যিনি ওই পদ আঁকড়ে ছিলেন এক যুগ ধরে। সোমবার লাকী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব (উপসচিব) সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। তিনি বলেন, “আমি মন্ত্রণালয়ে এসেছি। এখানে এসে জেনেছি মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী পদত্যাগ করেছেন।” এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লিয়াকত আলী লাকী হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।” লিয়াকত আলী লাকী শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল। সবশেষ ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ সপ্তমবারের মত তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এত দীর্ঘ সময় এই দায়িত্বে থাকার নজির আর কারো নেই।
দীর্ঘদিন ধরে লাকীর শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে থাকা নিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ক্ষোভ তৈরি হয়। দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল তাকে। লাকী বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতির পদেও রয়েছেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায়ও সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তার প্রতিক্রিয়ায় ফেডারেশন ছাড়ে ঢাকা থিয়েটার। গত বছরের জুনেও ‘সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দ’ ব্যানারে লিয়াকত আলী লাকীকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে সংস্কৃতিকর্মীদের একটি অংশ। তখনও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন তিনি। গণবিক্ষোভে গত ৫ অগাস্ট সরকারপতনের পর সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পরিবর্তনের ঢেউ লেগে যায়। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, বিচারপতি, আইনি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যরাও দায়িত্ব ছাড়ছেন। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরদিনই শিল্পকলা একাডেমিতে মহাপরিচালকের দপ্তরসহ অন্তত ১৫জন কর্মকর্তার কক্ষে তালা দেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষুব্ধ একটি অংশ। মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর ‘দুর্নীতির’ নথি যেন সরিয়ে ফেলা না যায়, বিক্ষুব্ধরা সেটি প্রতিহত করার কথাও বলেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতির ডাক প্রাথমিক শিক্ষকদের

শিল্পকলায় লাকী যুগের অবসান

আপডেট সময় : ১১:৫১:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: সরকার পতনের পর পরিবর্তনের ধাক্কায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদ ছাড়লেন লিয়াকত আলী লাকী, যিনি ওই পদ আঁকড়ে ছিলেন এক যুগ ধরে। সোমবার লাকী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব (উপসচিব) সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। তিনি বলেন, “আমি মন্ত্রণালয়ে এসেছি। এখানে এসে জেনেছি মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী পদত্যাগ করেছেন।” এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লিয়াকত আলী লাকী হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।” লিয়াকত আলী লাকী শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল। সবশেষ ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ সপ্তমবারের মত তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এত দীর্ঘ সময় এই দায়িত্বে থাকার নজির আর কারো নেই।
দীর্ঘদিন ধরে লাকীর শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে থাকা নিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ক্ষোভ তৈরি হয়। দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল তাকে। লাকী বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতির পদেও রয়েছেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায়ও সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তার প্রতিক্রিয়ায় ফেডারেশন ছাড়ে ঢাকা থিয়েটার। গত বছরের জুনেও ‘সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দ’ ব্যানারে লিয়াকত আলী লাকীকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে সংস্কৃতিকর্মীদের একটি অংশ। তখনও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন তিনি। গণবিক্ষোভে গত ৫ অগাস্ট সরকারপতনের পর সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পরিবর্তনের ঢেউ লেগে যায়। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, বিচারপতি, আইনি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যরাও দায়িত্ব ছাড়ছেন। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরদিনই শিল্পকলা একাডেমিতে মহাপরিচালকের দপ্তরসহ অন্তত ১৫জন কর্মকর্তার কক্ষে তালা দেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষুব্ধ একটি অংশ। মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর ‘দুর্নীতির’ নথি যেন সরিয়ে ফেলা না যায়, বিক্ষুব্ধরা সেটি প্রতিহত করার কথাও বলেন।