বিনোদন প্রতিবেদক : অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যার পর তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার কারণ দেখিয়ে রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই জিডি করেন তিনি।
পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে হত্যার পর নিজেকে সন্দেহের বাইরে রাখতেই জিডি করেছিলেন।
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব হাসান বলেন, জিডিতে নোবেল উল্লেখ করেছেন, তার স্ত্রী সকালে কাউকে না বলে বেরিয়েছেন। এরপর থেকে কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বস্তাবন্দি শিমুর মরদেহ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। এরপর আটক করা হয় নোবেলসহ দুজনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া শিমু হত্যার তথ্য।
পুলিশ জানায়, নোবেল তার বাল্যবন্ধু গাড়িচালক এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদের সহযোগিতায় শিমুর মরদেহ দুটি চটের বস্তায় ভরেন। এরপর মরদেহ কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়নের আলীপুর ব্রিজের ৩০০ গজ দূরে সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর ফেলে আসা হয়।
ঢাকা জেলা পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন নোবেল। হত্যার কারণ হিসেবে তিনি পারিবারিক কলহের কথা জানিয়েছেন। তবে বিস্তারিত তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
শিমু হত্যার ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন নিহতের ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন। এতে আসামি করা হয় নোবেল, তার বন্ধু ফরহাদ ও আরেকজনকে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পারিবারিক বিষয় ও দাম্পত্য কলহের কারণে শিমুকে হত্যা করা হয়। হত্যা করেন নোবেল এবং মরদেহ গুম করতে সহায়তা করেন ফরহাদ।
শিমুকে হত্যার পর নিখোঁজের জিডি করেন স্বামী নোবেল
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ