নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা শিবসা নদী ও কপোতাক্ষ নদ দ্রুত খনন এবং উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ঢাকায় বসবাসরত খুলনা ও সাতক্ষীরার তিন উপজেলা পাইকগাছা, তালা ও কয়রাবাসী। বক্তারা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ওই অঞ্চলের মানুষ সীমাহীন সংকটের মুখোমুখি। এই সংকট মোকাবিলায় জরুরি কার্যকর পদক্ষেপের বিকল্প নেই।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের
সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ আশা
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। পাইকগাছা সমিতি (ঢাকা), ঢাকাস্থ তালা উপজেলা সমিতি ও কপোতাক্ষ ফোরাম আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পাইকগাছা সমিতির সভাপতি একেএম সাঈদ হোসেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহা. জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার শেখ আইয়ুব আলী, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুস সাত্তার, অর্থ সম্পাদক তারিকুল হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিরুল ইসলাম কাগজী, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক, সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, তালা উপজেলা সমিতির সভাপতি মোল্লা রেজাউল করিম, অর্থ সম্পাদক এসএ তোয়াব, সদস্য মাহাতাব উদ্দীন শহিদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে জনজীবনে সংকট প্রতিনিয়ত বাড়ছে। টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে নদ-নদী ভরাট হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
বক্তারা জানান, খুলনা জেলার পাইকগাছায় শিবসা নদী ইতোমধ্যে নালায় পরিণত হয়েছে। একই অবস্থা খুলনা-সাতক্ষীরার ওপর দিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ নদের। ফলে কৃষি প্রধান ওই অঞ্চলকে বাঁচাতে দ্রুত নদ-নদী খনন করতে হবে। দুর্যোগকবলিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জীবন-জীবিকা রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ জরুরি উল্লেখ করে তারা বলেন, একসময় কপোতাক্ষ ও শিবসা নদীতে লঞ্চ-স্টিমারসহ বিভিন্ন নৌযান চলাচল করতো। খুলনা থেকে কয়রা, পাইকগাছা ও আশাশুনির বড়দল এলাকার মানুষ সহজেই নৌপথে যাতায়াত করতো। অথচ নদীটি এখন পলি জমে সম্পূর্ণ ভরাট হয়ে চর জেগে উঠেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিতে পাইকগাছা বাজার প্লাবিত হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নদীপাড়ের মানুষ দুর্যোগে-দুর্ভোগে জীবনযাপন করছে। জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে জীবিকা হারিয়ে অনেকেই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড।
কেএমএএ/সানা/আপ্র/১৩/০৯/২০২৫