ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : কাগজসহ শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ার প্রতিবাদে কচুপাতা ও কলাপাতা হাতে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। গত সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই প্রতিবাদ কর্মসূটি পালন করে ছাত্র সংগঠনটি। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার সব উপকরণের দাম কমানো এবং শিক্ষার ব্যয় সংকোচনের দাবি জানানো হয়। সমাবেশে জানানো হয়, কাগজ-কলম-ফাইলের বাইরে রঙিন কাগজ, পেন্সিল, শার্পনার, ইরেজার, মার্কার, স্ট্যাপলার, পিন, ক্লিপ, অফিস ফাইল, ক্যালকুলেটর, কলমের বক্স, স্টিল ও প্লাস্টিক স্কেল, রংপেনসিল, অ্যান্টিকাটার, কাঁচি, আইকা, পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয় এমন ক্লিপবোর্ড, ছাপানোর কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য, প্রিন্টারের কালিসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহৃত প্রায় সব উপকরণের দাম বেড়েছে। ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, “মাত্র পাঁচ-ছয় মাসের ব্যবধানে এসব উপকরণের দাম ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত এবং কোন কোন উপকরণে দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। এতে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর যেমন বাড়তি চাপ পড়ছে, তেমনি অনেক নি¤œবিত্ত পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ারও উপক্রম। “মহামারির মধ্যে এমনিতেই শিক্ষাব্যবস্থা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে। মূল্যস্ফীতির কারণে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার বিষয়টি যেভাবে আলোচনায় আসে, শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ার বিষয় সেভাবে আলোচনায় আসে না। “আজকের সমাবেশ থেকে আমরা দাবি জানাই, কাগজ-কলমসহ সব শিক্ষা উপকরণের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে।” সমাবেশের সভাপতি ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য সাইফ রুদাদ বলেন, “আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল সেই আন্দোলনই সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতন করেছিল। ছাত্র স্বার্থে আঘাত করে কোন সরকারই ক্ষমতায় টিকতে পারে নাই। “সর্বক্ষেত্রে শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তরের পাঁয়তারা করছে এ সরকার। আমরা বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ‘টাকা যার শিক্ষা তার’- এই নীতি মানি না। সব শিক্ষা উপকরণের দাম কমানো এবং শিক্ষার ব্যয় সংকোচনের দাবি জানাই।” ছাত্র ইউনিয়নের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজার সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শাওন বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আহ্বায়ক কাজী রাকিব হোসেন, ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক লাভলী হক বক্তব্য দেন।