ঢাকা ০৪:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

শিক্ষার্থী নির্যাতন: হল থেকে ঢাবি ছাত্রলীগের তিন কর্মী বহিষ্কার

  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে ছয় মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
বহিষ্কৃতরা হলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের কামরুজ্জামান রাজু, ইতিহাস বিভাগের হৃদয় আহমেদ কাজল, সমাজকল্যাণ বিভাগের মো. ইয়ামিন ইসলাম। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহ মিরান ও হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির।
গত ২৬ জানুয়ারি ঢাবির একাত্তর হলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আকতারুল ইসলামকে নির্যাতন করে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। কথিত গেস্টরুমে যথাসময়ে উপস্থিত হতে না পারায় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন হল ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারীরা।
এ ঘটনায় হল প্রভোস্ট বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন আকতার। অভিযোগের ভিত্তিতে রসায়ন বিভাগের প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ মিরানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন তদন্ত কমিটি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছয় মাসের বহিষ্কারাদেশ দেন হল প্রশাসন।
বহিষ্কারাদেশ বিষয়ে অধ্যাপক আব্দুল বাছির বলেন, সেদিনের ঘটনায় ভুক্তভোগী আকতারুল মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি এবং তাদের তদন্তে তিনজনের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী তাদের তিনজনকে ছয় মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করেছি।
তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহ মিরান বলেন, আমরা বাদী-বিবাদীর কথা শুনেছি, সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি, সব তথ্য যাচাই-বাছাই করেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হল প্রভোস্টের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমরা তিনজনের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছি এবং বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শিক্ষার্থী নির্যাতন: হল থেকে ঢাবি ছাত্রলীগের তিন কর্মী বহিষ্কার

আপডেট সময় : ০২:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে ছয় মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
বহিষ্কৃতরা হলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের কামরুজ্জামান রাজু, ইতিহাস বিভাগের হৃদয় আহমেদ কাজল, সমাজকল্যাণ বিভাগের মো. ইয়ামিন ইসলাম। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহ মিরান ও হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির।
গত ২৬ জানুয়ারি ঢাবির একাত্তর হলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আকতারুল ইসলামকে নির্যাতন করে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। কথিত গেস্টরুমে যথাসময়ে উপস্থিত হতে না পারায় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন হল ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারীরা।
এ ঘটনায় হল প্রভোস্ট বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন আকতার। অভিযোগের ভিত্তিতে রসায়ন বিভাগের প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ মিরানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন তদন্ত কমিটি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছয় মাসের বহিষ্কারাদেশ দেন হল প্রশাসন।
বহিষ্কারাদেশ বিষয়ে অধ্যাপক আব্দুল বাছির বলেন, সেদিনের ঘটনায় ভুক্তভোগী আকতারুল মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি এবং তাদের তদন্তে তিনজনের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী তাদের তিনজনকে ছয় মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করেছি।
তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহ মিরান বলেন, আমরা বাদী-বিবাদীর কথা শুনেছি, সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি, সব তথ্য যাচাই-বাছাই করেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হল প্রভোস্টের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমরা তিনজনের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছি এবং বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।