ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদ অব্যাহত গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে

  • আপডেট সময় : ০১:০৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় চতুর্থ দিনের মত প্রতিবাদ ও আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রোববার সকালে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা এবং দুপুরে জড়িতদের মৃত্যুদ-ের দাবিতে মানববন্ধন করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।
ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার মৃতদ- দাবি করে মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ধর্ষক কারো আপন হতে পারে না। তার একটি মাত্র পরিচয় সে ধর্ষক। যারা ধর্ষণের মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের মৃত্যদ- হওয়া উচিত।
মানববন্ধন চলাকালে বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক ফায়েকুজ্জামান, তাপস বালা, কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ রাজু, তরিকুল ইসলাম এবং শিক্ষার্থী কারিমুল হক ও শেখ তারেক উপস্থিত ছিলেন।
গত বুধবার রাতে (২৩ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জ শহর থেকে মেসে ফেরার পথে ধর্ষণ ও মারধরের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়টির এক ছাত্রী ও তার বন্ধু।
এ ঘটনায় রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান গোপালগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামিকরে একটা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে দুদিন ধরে সড়ক অবস্থান কর্মসূচী পালন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র পিউ মৃধা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রসায়ণ চতুর্থ বর্ষের এ শিক্ষার্থী বলেন, “দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বেলা ১২টায় বিক্ষোভ মিছিল ও ধর্ষণবিরোধী নাটক বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৭ টায় আলোর মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় আইন অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রথীন্দ্রনাথ বাকচি বলেন, “যে সকল ধর্ষক ইতোমধ্যে ধরা পড়েছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করা, আন্দোলনকারী ছাত্র শিক্ষকদের ওপর বহিরাগতদের হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও হলের বাইরে যে সকল শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে তাদের সঠিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সিএসসি বিভাগের ম্স্টার্সের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে এসব দাবিদাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা এবং একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা ক্লাস এবং পরীক্ষার হলে ফিরে যাবেন। শিক্ষার্থীরা জানান, ওই ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় পাঁচ থেকে সাতজন ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইকে এসে ওই ছাত্রী আর তার বন্ধুকে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে তুলে নিয়ে যায়।
সেখানে বন্ধুকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। এবং ওই ছাত্রী দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী মেসে গিয়ে বন্ধুদের ঘটনাটি জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হলে তারা তাকে গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে এর প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাও হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদ অব্যাহত গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে

আপডেট সময় : ০১:০৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় চতুর্থ দিনের মত প্রতিবাদ ও আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রোববার সকালে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা এবং দুপুরে জড়িতদের মৃত্যুদ-ের দাবিতে মানববন্ধন করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।
ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার মৃতদ- দাবি করে মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ধর্ষক কারো আপন হতে পারে না। তার একটি মাত্র পরিচয় সে ধর্ষক। যারা ধর্ষণের মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের মৃত্যদ- হওয়া উচিত।
মানববন্ধন চলাকালে বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক ফায়েকুজ্জামান, তাপস বালা, কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ রাজু, তরিকুল ইসলাম এবং শিক্ষার্থী কারিমুল হক ও শেখ তারেক উপস্থিত ছিলেন।
গত বুধবার রাতে (২৩ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জ শহর থেকে মেসে ফেরার পথে ধর্ষণ ও মারধরের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়টির এক ছাত্রী ও তার বন্ধু।
এ ঘটনায় রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান গোপালগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামিকরে একটা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে দুদিন ধরে সড়ক অবস্থান কর্মসূচী পালন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র পিউ মৃধা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রসায়ণ চতুর্থ বর্ষের এ শিক্ষার্থী বলেন, “দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বেলা ১২টায় বিক্ষোভ মিছিল ও ধর্ষণবিরোধী নাটক বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৭ টায় আলোর মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় আইন অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রথীন্দ্রনাথ বাকচি বলেন, “যে সকল ধর্ষক ইতোমধ্যে ধরা পড়েছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করা, আন্দোলনকারী ছাত্র শিক্ষকদের ওপর বহিরাগতদের হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও হলের বাইরে যে সকল শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে তাদের সঠিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সিএসসি বিভাগের ম্স্টার্সের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে এসব দাবিদাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা এবং একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা ক্লাস এবং পরীক্ষার হলে ফিরে যাবেন। শিক্ষার্থীরা জানান, ওই ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় পাঁচ থেকে সাতজন ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইকে এসে ওই ছাত্রী আর তার বন্ধুকে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে তুলে নিয়ে যায়।
সেখানে বন্ধুকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। এবং ওই ছাত্রী দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী মেসে গিয়ে বন্ধুদের ঘটনাটি জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হলে তারা তাকে গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে এর প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাও হয়।