ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

শিক্ষার্থীদের ‘বুদ্ধিমত্তার বিকাশে’ রোবট

  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : জ্বলজ্বলে নীল চোখ আর বুকজুড়ে উত্তর কোরিয়ার পতাকা লাগানো খেলনার মতো দেখতে একটি রোবট পিয়ংইয়ংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেআরটিতে সম্প্রচারিত এক ভিডিও ফুটেজে এমনটাই দেখা গেছে। ফুটেজে সব মিলিয়ে মোট তিনটি বড় প্লাস্টিক রোবট দেখানো হয়েছে; সবগুলোকেই কোনো না কোনোভাবে মানুষের মতো দেখানোর চেষ্টাও করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শিশুদের গণিত, সঙ্গীত ও ইংরেজির প্রাথমিক পাঠদানে সহায়তা করতে এ রোবটগুলো নামিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে শিক্ষার এমন সংস্কারে জোর দিচ্ছেন। “আমি শিক্ষাবিষয়ক প্রযুক্তি শেখায় সহায়তা করি, যা শিশুদের বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়,” কেআরটির ফুটেজে বাহু দোলাতে দোলাতে নারী কণ্ঠে এমনটাই বলতে শোনা যায় ৮০ সেন্টিমিটার লম্বা এক রোবটকে। বাকি দুই রোবটের মধ্যে একটির সাদা বৃত্তাকার মাথার মাঝখানের পর্দায় আঁকা চোখ, নাক, মুখ এবং অন্যটিকে নীল প্লাস্টিকের স্যুট ও সাদা ফ্রেমের চশমা পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। পিয়ংইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্ক কুম হি জানান, শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করবে এমন রোবট বানানো শুরুর দিকে বেশ চ্যালেঞ্জেরই ছিল। দেখা যেত, প্রায় সময়ই রোবটগুলোকে কোরিয়ান বা বিদেশি কোনো ভাষায় প্রশ্ন করলে তারা মাথা নাড়তে থাকতো। “এসব রোবটের বুদ্ধিমত্তার আধুনিকায়ন আমার মতো মনোবিজ্ঞান পড়ে আসা একজনের জন্য বেশ জটিলই ছিল। কমরেড জেনারেল সেক্রেটারি (কিম জং উন) শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যুক্ত করার যে কথা বলে আসছেন, তাই আমাকে সবসময় সঠিক পথে পরিচালিত করেছে,” কেআরটিকে এমনটিই বলেছেন তিনি। ফুটেজে উত্তর কোরিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাস্ক পরা শিক্ষার্থীদেরকে সঙ্গীত, গণিত ও ইংরেজি ক্লাসে রোবটের সঙ্গে পড়তেও দেখা গেছে।
দেশটি গত বছরের জুন থেকে তাদের স্কুল পুনরায় খুলে দিলেও শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণিকক্ষে মাস্ক পরা এবং হাত ধোয়ার জায়গা স্থাপন বাধ্যতামূলক করেছে। উত্তর কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত একজনও কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া যায়নি বলে দাবি দেশটির। করোনাভাইরাস ঠেকাতে দেশটি তাদের সীমান্ত বন্ধ রেখেছে, অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শিক্ষার্থীদের ‘বুদ্ধিমত্তার বিকাশে’ রোবট

আপডেট সময় : ০১:৫৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : জ্বলজ্বলে নীল চোখ আর বুকজুড়ে উত্তর কোরিয়ার পতাকা লাগানো খেলনার মতো দেখতে একটি রোবট পিয়ংইয়ংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেআরটিতে সম্প্রচারিত এক ভিডিও ফুটেজে এমনটাই দেখা গেছে। ফুটেজে সব মিলিয়ে মোট তিনটি বড় প্লাস্টিক রোবট দেখানো হয়েছে; সবগুলোকেই কোনো না কোনোভাবে মানুষের মতো দেখানোর চেষ্টাও করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শিশুদের গণিত, সঙ্গীত ও ইংরেজির প্রাথমিক পাঠদানে সহায়তা করতে এ রোবটগুলো নামিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে শিক্ষার এমন সংস্কারে জোর দিচ্ছেন। “আমি শিক্ষাবিষয়ক প্রযুক্তি শেখায় সহায়তা করি, যা শিশুদের বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়,” কেআরটির ফুটেজে বাহু দোলাতে দোলাতে নারী কণ্ঠে এমনটাই বলতে শোনা যায় ৮০ সেন্টিমিটার লম্বা এক রোবটকে। বাকি দুই রোবটের মধ্যে একটির সাদা বৃত্তাকার মাথার মাঝখানের পর্দায় আঁকা চোখ, নাক, মুখ এবং অন্যটিকে নীল প্লাস্টিকের স্যুট ও সাদা ফ্রেমের চশমা পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। পিয়ংইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্ক কুম হি জানান, শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করবে এমন রোবট বানানো শুরুর দিকে বেশ চ্যালেঞ্জেরই ছিল। দেখা যেত, প্রায় সময়ই রোবটগুলোকে কোরিয়ান বা বিদেশি কোনো ভাষায় প্রশ্ন করলে তারা মাথা নাড়তে থাকতো। “এসব রোবটের বুদ্ধিমত্তার আধুনিকায়ন আমার মতো মনোবিজ্ঞান পড়ে আসা একজনের জন্য বেশ জটিলই ছিল। কমরেড জেনারেল সেক্রেটারি (কিম জং উন) শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যুক্ত করার যে কথা বলে আসছেন, তাই আমাকে সবসময় সঠিক পথে পরিচালিত করেছে,” কেআরটিকে এমনটিই বলেছেন তিনি। ফুটেজে উত্তর কোরিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাস্ক পরা শিক্ষার্থীদেরকে সঙ্গীত, গণিত ও ইংরেজি ক্লাসে রোবটের সঙ্গে পড়তেও দেখা গেছে।
দেশটি গত বছরের জুন থেকে তাদের স্কুল পুনরায় খুলে দিলেও শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণিকক্ষে মাস্ক পরা এবং হাত ধোয়ার জায়গা স্থাপন বাধ্যতামূলক করেছে। উত্তর কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত একজনও কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া যায়নি বলে দাবি দেশটির। করোনাভাইরাস ঠেকাতে দেশটি তাদের সীমান্ত বন্ধ রেখেছে, অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ।