ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ঘাটতি পুষিয়ে আনা হবে : শিক্ষামন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:১০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, দীর্ঘ দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় ঘাটতি হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে তাদের পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা ট্রমার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এই সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ঘাটতি হয়েছে। এই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে হবে এবং পূর্বের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে।
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ঢাকা কলেজে ‘মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ‘রাজনীতির কবি’ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ বিতরণ ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন-২০২২ এর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেখে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে, কোথায় কেমন ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির বিষয়ে আমরা আরো নজর দিব বেশি। এক শিক্ষাবর্ষে হয়তো সব ঘাটতি পূরণ করতে পারবো না। যেখানে যা ঘাটতি হয়েছে, তা পূরণের চেষ্টা করতে হবে। দীপু মনি আরো বলেন, এইচএসসি পাশ করার পর যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রথম দিকে যে যে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিতে পাঠ গ্রহণ করবে তাদের সেই ক্ষেত্রে প্রাথমিক একটা অ্যাসেসমেন্ট করে সেই ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। করোনা পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন নিয়মিত ক্লাস হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে একাদশ শ্রেণির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নতুন পাঠ্যবইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।
৭ কলেজের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করা সমাধান নয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন না শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনায় যে সমস্যা ছিল তা ‘কেটে যাচ্ছে’ জানিয়ে তিনি বলেছেন, সেশনজটসহ শিক্ষার্থীদের অন্যান্য ভোগান্তিও সামনে কমে আসবে।
বুধবার ঢাকা কলেজে এক অনুষ্ঠানে ‘সাত কলেজ’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করা কোনো চিকিৎসা নয়, এটাকে এ মুহূর্তে আমি যৌক্তিক দাবি ভাবছি না। এই সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে উন্নীত হচ্ছে, এটাই আমাদের জন্য খুব আনন্দের।”
২০১৭ সালে ঢাকার বড় সাতটি সরকারি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনে সরকার। শিক্ষা কার্যক্রমে গতি আনতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ক্রমেই শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ বাড়তে থাকে। নানা সমস্যায় নিয়মিতই আন্দোলনে নামছে শিক্ষার্থীরা। সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, তিতুমীর কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিও উঠেছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ভাষ্য, সাত কলেজ নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা ছিল এবং সেটা ‘খুবই স্বাভাবিক’।
“কারণ সাত কলেজে আগে যেভাবে পড়াশুনা করত, যেভাবে পরীক্ষা হত, যেহেতু তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়েছে, তাদের সেখানে অবশ্যই ভিন্ন মানে যেতে হচ্ছে। ভিন্নভাবে করতে হচ্ছে।” সাত কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি, সে কথা তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, দুদিক থেকেই ‘অ্যাডজাস্টমেন্টের ব্যাপার রয়েছে’। “এই সমস্যাগুলো তারা কাটিয়ে উঠছে। আমরাও সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা সমন্বয় করছেন, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। সেজন্য এখন সেশনজট কমে এসেছে, এরপর হয়ত আর থাকবে না।” সাত কলেজে পরীক্ষার ফলাফল যেন সময়মত দেওয়া যায়, সে উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আশা করি, এ সমস্যাগুলো থাকবে না এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার অধিভুক্ত কলেজগুলোকে যেভাবে দেখা দরকার, সেভাবেই দেখতে পারবে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ঘাটতি পুষিয়ে আনা হবে : শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:১০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, দীর্ঘ দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় ঘাটতি হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে তাদের পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা ট্রমার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এই সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ঘাটতি হয়েছে। এই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে হবে এবং পূর্বের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে।
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ঢাকা কলেজে ‘মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ‘রাজনীতির কবি’ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ বিতরণ ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন-২০২২ এর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেখে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে, কোথায় কেমন ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির বিষয়ে আমরা আরো নজর দিব বেশি। এক শিক্ষাবর্ষে হয়তো সব ঘাটতি পূরণ করতে পারবো না। যেখানে যা ঘাটতি হয়েছে, তা পূরণের চেষ্টা করতে হবে। দীপু মনি আরো বলেন, এইচএসসি পাশ করার পর যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রথম দিকে যে যে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিতে পাঠ গ্রহণ করবে তাদের সেই ক্ষেত্রে প্রাথমিক একটা অ্যাসেসমেন্ট করে সেই ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। করোনা পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন নিয়মিত ক্লাস হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে একাদশ শ্রেণির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নতুন পাঠ্যবইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।
৭ কলেজের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করা সমাধান নয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন না শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনায় যে সমস্যা ছিল তা ‘কেটে যাচ্ছে’ জানিয়ে তিনি বলেছেন, সেশনজটসহ শিক্ষার্থীদের অন্যান্য ভোগান্তিও সামনে কমে আসবে।
বুধবার ঢাকা কলেজে এক অনুষ্ঠানে ‘সাত কলেজ’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করা কোনো চিকিৎসা নয়, এটাকে এ মুহূর্তে আমি যৌক্তিক দাবি ভাবছি না। এই সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে উন্নীত হচ্ছে, এটাই আমাদের জন্য খুব আনন্দের।”
২০১৭ সালে ঢাকার বড় সাতটি সরকারি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনে সরকার। শিক্ষা কার্যক্রমে গতি আনতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ক্রমেই শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ বাড়তে থাকে। নানা সমস্যায় নিয়মিতই আন্দোলনে নামছে শিক্ষার্থীরা। সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, তিতুমীর কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিও উঠেছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ভাষ্য, সাত কলেজ নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা ছিল এবং সেটা ‘খুবই স্বাভাবিক’।
“কারণ সাত কলেজে আগে যেভাবে পড়াশুনা করত, যেভাবে পরীক্ষা হত, যেহেতু তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়েছে, তাদের সেখানে অবশ্যই ভিন্ন মানে যেতে হচ্ছে। ভিন্নভাবে করতে হচ্ছে।” সাত কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি, সে কথা তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, দুদিক থেকেই ‘অ্যাডজাস্টমেন্টের ব্যাপার রয়েছে’। “এই সমস্যাগুলো তারা কাটিয়ে উঠছে। আমরাও সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা সমন্বয় করছেন, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। সেজন্য এখন সেশনজট কমে এসেছে, এরপর হয়ত আর থাকবে না।” সাত কলেজে পরীক্ষার ফলাফল যেন সময়মত দেওয়া যায়, সে উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আশা করি, এ সমস্যাগুলো থাকবে না এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার অধিভুক্ত কলেজগুলোকে যেভাবে দেখা দরকার, সেভাবেই দেখতে পারবে।”