ঢাকা ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: এমপি মোকাব্বির

  • আপডেট সময় : ১০:৫২:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ক্যরিয়ার ডেস্ক : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন সিলেট-২ আসনের (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) সংসদ সদস্য ও গণফোরামের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। এখানে কোনও ধরনের রাজনীতি নেই। প্রধানমন্ত্রী চাইলেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমস্যার সমাধান করতে পারেন।’
এসময় তিনি গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইলফোনে শিক্ষার্থীদের কথা বলিয়ে দেন।
তবে ড. কামাল শিক্ষার্থীদের কি বলেছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে, সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি গোলচত্বর থেকে শুরু হয়ে লাইব্রেরি ভবন, চেতনা-৭১, ইউসিসহ প্রধান সড়ক ঘুরে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ভিসির অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবির মধ্যে ছিল- প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগ, হলের অব্যবস্থাপনা দূর করে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং দ্রুত ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া।
গত রবিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন বিকালে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েনের প্রতিবাদ করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হন। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দেশ উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে অনশন শুরু করেন তারা। এরই মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: এমপি মোকাব্বির

আপডেট সময় : ১০:৫২:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২

ক্যাম্পাস ক্যরিয়ার ডেস্ক : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন সিলেট-২ আসনের (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) সংসদ সদস্য ও গণফোরামের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। এখানে কোনও ধরনের রাজনীতি নেই। প্রধানমন্ত্রী চাইলেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমস্যার সমাধান করতে পারেন।’
এসময় তিনি গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইলফোনে শিক্ষার্থীদের কথা বলিয়ে দেন।
তবে ড. কামাল শিক্ষার্থীদের কি বলেছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে, সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি গোলচত্বর থেকে শুরু হয়ে লাইব্রেরি ভবন, চেতনা-৭১, ইউসিসহ প্রধান সড়ক ঘুরে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ভিসির অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবির মধ্যে ছিল- প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগ, হলের অব্যবস্থাপনা দূর করে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং দ্রুত ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া।
গত রবিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন বিকালে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েনের প্রতিবাদ করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হন। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দেশ উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে অনশন শুরু করেন তারা। এরই মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।