ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: বাস্তব জীবনের নানা সমস্যার সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধানে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন দক্ষতা বাড়াতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত হয়েছে ‘এনএসইউ এসিএম স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার’ এর পঞ্চম আসর। ‘হ্যাক এনএসইউ: সিজন-৫’ নামে আয়োজনটি শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক এই আয়োজনটি দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে প্রথম ধাপে প্রতিযোগীরা ছয়টি সমস্যা থেকে একটি পছন্দ করে তার সমাধান প্রস্তাব করেন।
দ্বিতীয় ধাপে টানা আট ঘণ্টা কোডিংয়ের মাধ্যমে সমস্যাটির সমাধান প্রস্তাব দেন। এবারের আসরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি), নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ), ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি), ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশসহ (আইইউবি) শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিযোগীরা অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আইইউটির ‘এক্সট্রাড্রিল’, প্রথম রানার আপ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ‘ইরোর ফোর জিরো ফোর ফাউন্ড’ এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ‘এনএসইউ থান্ডারহক্স’ নামের দলের প্রতিযোগীরা। এনএসইউ এসিএম স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের সেক্রেটারি রীম গাজী মাহমুদ হোসেন বলেন, “আমাদের আয়োজনের মূল লক্ষ্যই ছিল শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, সমস্যা সমাধানে কাজ করা এবং প্রাযুক্তিক দক্ষতার উন্নয়ন। “এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা হওয়ার মানসিকতা তৈরি হবে।” দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিচারক হিসেবে ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষকরা। এছাড়াও আয়োজনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
এবারের আসরে অংশগ্রহণ করেছে বিভিন্ন বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১১টি দল। আসরের সকল অংশগ্রহণকারী, সহযোগী এবং অংশীদারদের ধন্যবাদ জানিয়ে ‘হ্যাক এনএসইউ’র সদস্য মো. ফারহান হোসেন বলেন, “এটা আমাদের একটি বড় আয়োজন। এখানে সমস্যার সমাধানে আমরা সফটওয়্যারভিত্তিক বিষয়গুলোতে আমরা জোর দিয়ে থাকি। আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীদারদের সহযোগিতায় আয়োজনটি সফল হয়েছে।” ‘হ্যাক এনএসইউ’র উপদেষ্টা পরামর্শক মোহাম্মদ শাফায়াত ওসমান বলেন, “আয়োজনটি প্রযুক্তি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে বাস্তব বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিভাবান প্রোগ্রামার, ডিজাইনার এবং উদ্ভাবকদের একত্রিত করেছে। “নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহায়তায় আয়োজনটি সম্ভব হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন এবং অন্বেষণে সহায়তা করবে।”