নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রোববার ঢাকার নীলক্ষেত মোড়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা ঘোষণা দিয়েছেন, জুনের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললে লাগাতার আন্দোলনে যাবেন তারা। এই সাত কলেজের একদল শিক্ষার্থী রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ঘুরে নীলক্ষেত পেট্রোল পাম্পের সামনে সমাবেশ করেন। একই দাবিতে সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান শেষে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, “আজকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব কিছুই চলছে। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতেই করোনার দোহাই দেওয়া হচ্ছে।
“সেশনজট নিরসন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখছি না। আমাদের শিক্ষাজীবনকে অনিশ্চতায় ফেলে তারা বার বার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পেছাচ্ছে।”
জুনের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দেওয়া হলে ‘আরও কঠোর’ আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, “সারাদেশের ছাত্র সমাজকে নিয়ে রাজপথ অচল করে দেওয়া হবে।”
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মারুফা প্রীতি বলেন, “আমাদের সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এমনিতেই সেশনজট পিছু ছাড়ে না। এর মধ্যে এই করোনাভাইরাস আমাদের শিক্ষাজীবনকে চরম অনিশ্চয়তায় ফেলেছে।
“দীর্ঘ সেশনজটের চিন্তা মাথায় নিয়ে শিক্ষার্থীরা আজ হতাশায় ভুগছে। দিনের পর দিন এভাবে আশ্বাস দিয়ে না রেখে সাফ বলে দিন যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর খোলা হবে না। তাহলে আমরা যে যার মত কর্মক্ষেত্রে নেমে যাব।”
সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী রেদোয়ান হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলছেন। কিন্তু কবে নাগাদ কীভাবে ভ্যাকসিন দেবেন, কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন, তা নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দিচ্ছেন না।
“দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আমরা অনলাইনে নয়, সরাসরি পরীক্ষা দিতে চাই। অনলাইন বিড়ম্বনায় আমাদের শিক্ষার্থীদের সবার পরীক্ষা দেওয়ার সক্ষমতা নেই।”
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ফের আন্দোলনে সাত কলেজ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ