নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৯৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। এমন অপ্রতুল বাজেট নিয়ে চলছে সমালোচনা। এরই মধ্যে শিক্ষাখাত সংস্কার ও বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।
তাদের চার দফা দাবি হচ্ছে- গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বিশেষ বরাদ্দ প্রণয়ন করা, মোট বাজেটের ২০ শতাংশ ও জিডিপির ৫ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেওয়া, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি ও মাদ্রাসা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা এবং গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা রূপান্তরের লক্ষ্যে শিক্ষা সংস্কার কমিশন অনতিবিলম্বে গঠন করা।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো উপস্থাপন করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্যসচিব জাহিদ আহসান, মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরি, মুখপাত্র আশরেফা খাতুন ও সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
আবু বাকের মজুমদার বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতের চেয়ে অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়েছে। প্রথমিক শিক্ষা খাতে বিগত বছরের চেয়ে এবার বাজেট কমানো হয়েছে। গবেষণা খাতে বরাদ্দ তুলনামূলক কম বাজেট দেওয়া হয়েছে। গতানুগতিক বাজেটের বাইরে এমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি যা দ্বারা শিক্ষাখাতে পরিবর্তন আনা সম্ভব।
মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরি বলেন, যেখানে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে সেখানে শিক্ষা সংস্কারে কোনো কমিশন গঠন হয়নি। আবার এই যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তা ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে শুরু হয়েছে। অথচ এখন বাজেটে শিক্ষাখাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ইন্টেরিম সরকারকে বলতে চাই, আপনারা জুলাইয়ের সঙ্গে গাদ্দারি করছেন, বেঈমানি করছেন। ইতিহাস আপনাদের মনে রাখবে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। তারা যদি সবল না হয় তাহলে তাদের প্রতি সমর্থন আমরা তুলে নেব। যদি প্রতিনিয়ত প্রেস ব্রিফিং করে আর রাজপথে নেমে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে হয় তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই।