নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সময় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ছিলেন তানভীর বারী হামিম। নির্বাচনে ৫২৮৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন তিনি।
নির্বাচন শেষে ফল প্রকাশের পরও ওই দিনের (৯ সেপ্টেম্বর) একটি ঘটনায় আলোচনায় থাকেন হামিম। সেদিন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন মোনামির সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
সে সময় মোনামি পদত্যাগের হুমকি দিলে হামিম পাল্টা বলেন, ‘আপনি পদত্যাগ করলে আমার কী?’
এ ঘটনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘটনার সময়কার পরিস্থিতি নিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলেছেন তানভীর বারী হামিম ও শিক্ষক শেহরীন আমিন মোনামি।
শিক্ষকের সঙ্গে এমন ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ছাত্রদলের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘ম্যাম তখন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। আমি তার সঙ্গে প্রশাসক হিসেবে কথা বলেছি, শিক্ষক হিসেবে নয়। তবু তিনি আমার শিক্ষক। আমি ছাত্র হিসেবে উত্তেজিত হয়ে এভাবে কথা বলাটা উচিত হয়নি। সেজন্য আমি নিজেই সব সময়ের জন্য সরি ফিল করেছি। এভাবে কথা বলাটা আমার ঠিক হয়নি, সবশেষে তিনি আমার শিক্ষক।’
ঘটনাটি একটি বিষয়ের প্রতিক্রিয়া নয় বলেও জানিয়েছেন হামিম। তার ভাষ্য, নির্বাচনের দিন সকাল থেকে একাধিক অনিয়ম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। সেসব বিষয়ে সামগ্রিকভাবে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। মোনামি ম্যামের বিরুদ্ধে এককভাবে কোনো পক্ষপাতের অভিযোগ করা হয়নি।
তানভীর বারী হামিম বলেন, ‘আমি তখন প্রতিবাদ করেছি, তিনি আমার শিক্ষক সেই হিসেবে নয়। আমি প্রতিবাদ করেছি তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা সেই হিসেবে। কারণ ম্যামের সঙ্গে আমার অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক এবং শ্রদ্ধার সম্পর্ক। কিন্তু একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে যেভাবে প্রতিবাদ করা উচিত, আমার প্রতিবাদের ভাষা ঠিক ছিল। কিন্তু সেখানে উত্তেজিত হয়ে বলেছি, এজন্য আমি নিজে নিজেই সব সময় কিন্তু সরি ফিল করেছি, আসলে এভাবে করাটা ঠিক হয়নি। কারণ সব কিছুর আগে তিনি আমার শিক্ষক।’
এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষক মোনামিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কটূক্তি করা হচ্ছে। তাকে ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে হামিম বলেন, ‘সবার সামনে বলতে চাই, ম্যাম আপনাকে নিয়ে যারা আজেবাজে কথা লিখেছে তাদের কারো যদি সাংগঠনিক কোনো পরিচয় আছে এমন প্রমাণ থাকে, আমার কাছে দেন। আমি তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে আমি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব।’
ওআ/আপ্র/১২/০৯/২০২৫