ঢাকা ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

শিক্ষকদের বেতন বকেয়া হলে অধিভুক্তি বাতিল

  • আপডেট সময় : ১২:৩০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত যেসব কলেজ শিক্ষকদের বেতন ভাতা দিচ্ছে না, তাদের অধিভুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, ‘কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় প্রতিটি শিক্ষকের বেতন কলেজ থেকে দেয়া হবে বলে অঙ্গীকার করা হয়। এরপও অনেক কলেজ শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রতিটি কলেজে চিঠি দিয়েছি, যেসব কোর্সের শিক্ষকদের বেতন দেয়া হচ্ছে না তাদের অধিভুক্তি বাতিল করা হবে।’
কিছু দুর্নীতিবাজ ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষক সততার সঙ্গে জীবনযাপন করেন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমি অনেক অধ্যাপককে দেখেছি- অবসরের পর একটি ফ্লাট কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক শিক্ষক রঙিন একটি টিভিও কিনতে পারেন না। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নয়, মাধ্যমিক প্রাথমিকের ৯৫ ভাগ শিক্ষক সততার সঙ্গেই জীবনযাপন করছেন।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মানচিত্রসম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানচিত্র যত বেশি বিস্তৃত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-অভিভাবকও সারাদেশেই বিস্তৃত রয়েছে। দেশে মোট ২২৬০টি কলেজ। ৫৬০টি অনার্স কলেজ ও শিক্ষার্থী আছে ২৯ লাখ। শিক্ষক আছে ৬০ হাজার।’ অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, ‘কোভিডকালীন সময়ে ৭ হাজার ক্লাসের ভিডিও আপলোড করেছি। এছাড়াও প্রায় ১৩ হাজার ক্লাস নেয়া হয়েছে। তবে কতজন শিক্ষার্থী এসব ক্লাস থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে আমি আইসিটি ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি।’
অনলাইনে ভর্তি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনেক আগে থেকেই অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে। শুধুমাত্র এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের একটি কাগজ বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হয়। আমরা সেটি সমাধানেরও চেষ্টা করছি। ঢাকার বাইরের শিক্ষকরা সাড়ে ৪ ঘণ্টা ক্লাস নিয়েছে। এক্ষেত্রে খুবই কম শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।’ দুর্নীতি প্রতিরোধ সেল গঠিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নীতিগতভাবে এটি করা হয়েছে। এর জন্য একটি অফিস লাগবে। যার কাজ চলছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।’
‘অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়েও কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ কাজ শুরু করেছে। তবে অবশ্যই সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার কোনো বিকল্প নেই’ বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শিক্ষকদের বেতন বকেয়া হলে অধিভুক্তি বাতিল

আপডেট সময় : ১২:৩০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত যেসব কলেজ শিক্ষকদের বেতন ভাতা দিচ্ছে না, তাদের অধিভুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, ‘কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় প্রতিটি শিক্ষকের বেতন কলেজ থেকে দেয়া হবে বলে অঙ্গীকার করা হয়। এরপও অনেক কলেজ শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রতিটি কলেজে চিঠি দিয়েছি, যেসব কোর্সের শিক্ষকদের বেতন দেয়া হচ্ছে না তাদের অধিভুক্তি বাতিল করা হবে।’
কিছু দুর্নীতিবাজ ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষক সততার সঙ্গে জীবনযাপন করেন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমি অনেক অধ্যাপককে দেখেছি- অবসরের পর একটি ফ্লাট কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক শিক্ষক রঙিন একটি টিভিও কিনতে পারেন না। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নয়, মাধ্যমিক প্রাথমিকের ৯৫ ভাগ শিক্ষক সততার সঙ্গেই জীবনযাপন করছেন।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মানচিত্রসম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানচিত্র যত বেশি বিস্তৃত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-অভিভাবকও সারাদেশেই বিস্তৃত রয়েছে। দেশে মোট ২২৬০টি কলেজ। ৫৬০টি অনার্স কলেজ ও শিক্ষার্থী আছে ২৯ লাখ। শিক্ষক আছে ৬০ হাজার।’ অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, ‘কোভিডকালীন সময়ে ৭ হাজার ক্লাসের ভিডিও আপলোড করেছি। এছাড়াও প্রায় ১৩ হাজার ক্লাস নেয়া হয়েছে। তবে কতজন শিক্ষার্থী এসব ক্লাস থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে আমি আইসিটি ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি।’
অনলাইনে ভর্তি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনেক আগে থেকেই অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে। শুধুমাত্র এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের একটি কাগজ বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হয়। আমরা সেটি সমাধানেরও চেষ্টা করছি। ঢাকার বাইরের শিক্ষকরা সাড়ে ৪ ঘণ্টা ক্লাস নিয়েছে। এক্ষেত্রে খুবই কম শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।’ দুর্নীতি প্রতিরোধ সেল গঠিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নীতিগতভাবে এটি করা হয়েছে। এর জন্য একটি অফিস লাগবে। যার কাজ চলছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।’
‘অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়েও কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ কাজ শুরু করেছে। তবে অবশ্যই সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার কোনো বিকল্প নেই’ বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।