ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ, যান চলাচল স্বাভাবিক

  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে শিক্ষকদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর পল্টন থেকে কদম ফোয়ারামুখী রাস্তা খুলে দেওয়া হয়। ফলে প্রেসক্লাব এলাকায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে, প্রেসক্লাবের সামনে এখনও প্রচুর পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে। খণ্ডবিখণ্ডভাবে কিছু শিক্ষক এখনও রয়ে গেছেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নেয়নি পুলিশ।

এর আগে, দাবি আদায়ে এদিন সকার ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি শুরু করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এতে পল্টন থেকে হাইকোর্টের কদম ফোয়ারা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমের নেতৃত্বে একটি দল আন্দোলনকারী শিক্ষকদের রাস্তা ছেড়ে দিতে আলটিমেটাম দেয়।

ডিসি মাসুদ আলম শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা শহীদ মিনারে চলে যান, পাঁচ মিনিট সময় দেওয়া হলো। পাঁচ মিনিট পরে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। আপনাদের নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে চলে গেছেন। সুতরাং আপনারা এখানে রাস্তা অবরোধ করবেন না।

আন্দোলনরত শিক্ষকদের একটি অংশ দাবি আদায় হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বে না জানান। এতে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে তাদের সরাতে অ্যাকশনে যায় পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশে শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসিকের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসবভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

তবে দুই মাস পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। বরং গত ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবসে মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়, যা শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তোলে।

ওআ/আপ্র/১২/১০/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ, যান চলাচল স্বাভাবিক

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে শিক্ষকদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর পল্টন থেকে কদম ফোয়ারামুখী রাস্তা খুলে দেওয়া হয়। ফলে প্রেসক্লাব এলাকায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে, প্রেসক্লাবের সামনে এখনও প্রচুর পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে। খণ্ডবিখণ্ডভাবে কিছু শিক্ষক এখনও রয়ে গেছেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নেয়নি পুলিশ।

এর আগে, দাবি আদায়ে এদিন সকার ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি শুরু করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এতে পল্টন থেকে হাইকোর্টের কদম ফোয়ারা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমের নেতৃত্বে একটি দল আন্দোলনকারী শিক্ষকদের রাস্তা ছেড়ে দিতে আলটিমেটাম দেয়।

ডিসি মাসুদ আলম শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা শহীদ মিনারে চলে যান, পাঁচ মিনিট সময় দেওয়া হলো। পাঁচ মিনিট পরে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। আপনাদের নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে চলে গেছেন। সুতরাং আপনারা এখানে রাস্তা অবরোধ করবেন না।

আন্দোলনরত শিক্ষকদের একটি অংশ দাবি আদায় হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বে না জানান। এতে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে তাদের সরাতে অ্যাকশনে যায় পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশে শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসিকের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসবভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

তবে দুই মাস পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। বরং গত ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবসে মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়, যা শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তোলে।

ওআ/আপ্র/১২/১০/২০২৫