আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিকাগোতে সেনা মোতায়েনের যে পরিকল্পনা করছেন তাকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট গভর্নর। এমন কোনো জরুরি অবস্থা নেই যার জন্য ইলিনয়ে ন্যাশনাল গার্ড পাঠানো লাগবে মন্তব্য করে জেবি প্রিৎজকার বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘একটি সঙ্কট তৈরি করার চেষ্টা করছেন’।
ট্রাম্প এরই মধ্যে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রায় দুই হাজার সেনা মোতায়েন করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মার্কিন শহরগুলোতে অপরাধ দমনের অংশ হিসেবে এ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে যুক্তি তার। একই নীতি শিকাগো এবং নিউ ইয়র্কেও কার্যকর করবেন বলে শুক্রবার ট্রাম্প জানিয়েছেন। ওয়াশিংটন ডিসির মতো বড় এই দুই শহরও ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণাধীন। শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসহ ট্রাম্পের এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তার শহরে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন হবে এমন কোনো তথ্য তিনি এখনো পাননি। শহর কর্তৃপক্ষ যে কোনো ধরনের সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে ‘চরম উদ্বিগ্ন’, বলেছেন তিনি। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিভঙ্গিকে ‘অসঙ্গত, অহেতুক এবং অবিবেচনাপূর্ণ’ বলেও অভিহিত করেছেন এ ডেমোক্র্যাট মেয়র। জনসন বলেছেন, ‘বেআইনি সেনা মোতায়েন’ শহরের বাসিন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা উসকে দিতে এবং অপরাধ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে শহরের অগ্রগতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ওয়াশিংটন ডিসিতে টহলের দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের সশস্ত্র থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ কয়েকদিন আগেই পেন্টাগন এবং মার্কিন সেনাবাহিনী বলেছিল, রাজধানীতে মোতায়েন করা সেনাদের হাতে কোনো অস্ত্র থাকবে না। ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া’ অপরাধ দমনের লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসন রাজধানীতে নজিরবিহীনভাবে এই ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েন করেছে। তারা এই মিশন নিয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও বিভিন্ন জনমত জরিপ বলছে, সেনা মোতায়েনকে কট্টর ডেমোক্রেটিক ওয়াশিংটনের বেশিরভাগ বাসিন্দাই ভালো চোখে দেখছেন না। পেন্টাগন তার সর্বশেষ বিবৃতিতে বলেছে, ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা শিগগিরই তাদের দায়িত্ব ও প্রশিক্ষণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাহিনী থেকে সরবরাহ করা অস্ত্র নিয়ে মিশনে থাকবে।
সেনারা সশস্ত্র হওয়ার পর এতদিন তারা যে ভূমিকায় ছিল, তা বদলে যাবে কিনা বিবৃতিতে তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি। মোতায়েন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ন্যাশনাল গার্ডের সেনারা আইনপ্রয়োগকারী কোনো অভিযানের অংশ হয়নি। স্থানীয় পুলিশ এবং বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মকর্তারাই এসব অভিযান চালিয়ে এসেছেন।