ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

শাস্তি ‘স্থগিত’, বসুন্ধরা কিংসের মাঠে থাকবে দর্শক

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: দর্শকশূন্য বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তবে শাস্তি থাকছে ‘স্থগিত দণ্ডাদেশ’ হিসেবে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে আবার দর্শক হাঙ্গামার মতো ঘটনা ঘটলে কার্যকর হবে দর্শকশূন্য ৬ ম্যাচের শাস্তি।

কেন দর্শক ছাড়া ম্যাচ আয়োজন করা হবে না- এ বিষয়ে বসুন্ধরা কিংসকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটি। কিংস কর্তৃপক্ষ সেই নোটিশের জবাব দিলেও তাতে মূলত নিজেদের গুণকীর্তনই করেছে এবং কঠোর সিদ্ধান্ত না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

বাফুফেকে পাঠানো কিংসের চিঠিতে আবাহনী ও মোহামেডান এবং তাদের সমর্থকদেরই দোষারোপ করার চেষ্টা ছিল বেশি। এরপরও কিংসের পরবর্তী ম্যাচগুলো দর্শকশূন্য মাঠে আয়োজনের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে ছিল শৃঙ্খলা কমিটি। কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় শৃঙ্খলা কমিটিকে নমনীয় হতে হয়েছে। কারণ, বসুন্ধরা গ্রুপ শুধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের পৃষ্ঠপোষকই নয়, তাদের মাঠ কিংস অ্যারেনা ব্যবহার করে বাফুফেও।

কমিটির এক সদস্য আজ বলেছেন, ‘কিংসের মাঠে সাম্প্রতিক হাঙ্গামার কারণে আমরা সবাই হার্ড লাইনে ছিলাম। কিন্তু বাফুফের কিছু বাস্তব সমস্যা আছে। কিংস যদি বেঁকে বসে, ফেডারেশনেরই সমস্যা হবে। তাই আমাদের ওপর অনুরোধ ছিল সিদ্ধান্তটা বুঝেশুনে নিতে।’ ফলে আপসসুলভ আচরণের ভিত্তিতে কিংসের জন্য দর্শকশূন্য ৬ ম্যাচের শাস্তি দেওয়া হলেও সেটি স্থগিত রাখা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে যদি কিংস অ্যারেনায় এমন কোনো ঘটনা আর না ঘটে, তাহলে এই শাস্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। তবে এর মধ্যে আবার কিছু ঘটলে তৎক্ষণাৎ শাস্তি কার্যকর হবে।

এদিকে কিংস ডিফেন্ডার সাদ উদ্দিন কারণ দর্শানোর জবাবে নিজের দোষ অস্বীকার করেননি। তিনি দাবি করেছেন, ঘটনার সময় ‘তার মাথা ঠিক ছিল না’। নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ অফিশিয়ালকে ধাক্কা দিলে একজন খেলোয়াড় সর্বনিম্ন ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন। সাদকেও ৬ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী ম্যাচে কিংসের ফুটবলার সাদ উদ্দিন ম্যাচ কমিশনারকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ ওঠে ২ মে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তরে (বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ) রেফারির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে কমিটি। সর্বশেষ গত ১১ মে বাফুফে এলিট একাডেমি ও সিটি ক্লাবের ম্যাচে সিটির তিন কর্মকর্তা রেফারির ওপর শারীরিকভাবে হামলা চালান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের তিন ক্লাবের ৬ কর্মকর্তাকে ৬ ম্যাচ অথবা ৬ মাস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সঙ্গে শাস্তি দেওয়া হয়েছে এক ফুটবলার ও বলবয়কে। এ ছাড়া সিটি ক্লাবসহ আরো দুই ক্লাবকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে, যার পরিমাণ ১০ হাজার টাকার আশপাশে। বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা করেনি বাফুফে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শাস্তি ‘স্থগিত’, বসুন্ধরা কিংসের মাঠে থাকবে দর্শক

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: দর্শকশূন্য বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তবে শাস্তি থাকছে ‘স্থগিত দণ্ডাদেশ’ হিসেবে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে আবার দর্শক হাঙ্গামার মতো ঘটনা ঘটলে কার্যকর হবে দর্শকশূন্য ৬ ম্যাচের শাস্তি।

কেন দর্শক ছাড়া ম্যাচ আয়োজন করা হবে না- এ বিষয়ে বসুন্ধরা কিংসকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটি। কিংস কর্তৃপক্ষ সেই নোটিশের জবাব দিলেও তাতে মূলত নিজেদের গুণকীর্তনই করেছে এবং কঠোর সিদ্ধান্ত না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

বাফুফেকে পাঠানো কিংসের চিঠিতে আবাহনী ও মোহামেডান এবং তাদের সমর্থকদেরই দোষারোপ করার চেষ্টা ছিল বেশি। এরপরও কিংসের পরবর্তী ম্যাচগুলো দর্শকশূন্য মাঠে আয়োজনের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে ছিল শৃঙ্খলা কমিটি। কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় শৃঙ্খলা কমিটিকে নমনীয় হতে হয়েছে। কারণ, বসুন্ধরা গ্রুপ শুধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের পৃষ্ঠপোষকই নয়, তাদের মাঠ কিংস অ্যারেনা ব্যবহার করে বাফুফেও।

কমিটির এক সদস্য আজ বলেছেন, ‘কিংসের মাঠে সাম্প্রতিক হাঙ্গামার কারণে আমরা সবাই হার্ড লাইনে ছিলাম। কিন্তু বাফুফের কিছু বাস্তব সমস্যা আছে। কিংস যদি বেঁকে বসে, ফেডারেশনেরই সমস্যা হবে। তাই আমাদের ওপর অনুরোধ ছিল সিদ্ধান্তটা বুঝেশুনে নিতে।’ ফলে আপসসুলভ আচরণের ভিত্তিতে কিংসের জন্য দর্শকশূন্য ৬ ম্যাচের শাস্তি দেওয়া হলেও সেটি স্থগিত রাখা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে যদি কিংস অ্যারেনায় এমন কোনো ঘটনা আর না ঘটে, তাহলে এই শাস্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। তবে এর মধ্যে আবার কিছু ঘটলে তৎক্ষণাৎ শাস্তি কার্যকর হবে।

এদিকে কিংস ডিফেন্ডার সাদ উদ্দিন কারণ দর্শানোর জবাবে নিজের দোষ অস্বীকার করেননি। তিনি দাবি করেছেন, ঘটনার সময় ‘তার মাথা ঠিক ছিল না’। নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ অফিশিয়ালকে ধাক্কা দিলে একজন খেলোয়াড় সর্বনিম্ন ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন। সাদকেও ৬ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী ম্যাচে কিংসের ফুটবলার সাদ উদ্দিন ম্যাচ কমিশনারকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ ওঠে ২ মে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তরে (বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ) রেফারির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে কমিটি। সর্বশেষ গত ১১ মে বাফুফে এলিট একাডেমি ও সিটি ক্লাবের ম্যাচে সিটির তিন কর্মকর্তা রেফারির ওপর শারীরিকভাবে হামলা চালান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের তিন ক্লাবের ৬ কর্মকর্তাকে ৬ ম্যাচ অথবা ৬ মাস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সঙ্গে শাস্তি দেওয়া হয়েছে এক ফুটবলার ও বলবয়কে। এ ছাড়া সিটি ক্লাবসহ আরো দুই ক্লাবকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে, যার পরিমাণ ১০ হাজার টাকার আশপাশে। বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা করেনি বাফুফে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ