ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

শারীরিক ও ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে অধস্তন আদালতে

  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত শারীরিক উপস্থিতি অথবা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনা করবেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদেশক্রমে আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানা গেছে।
গতকাল শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনার সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালের বিচারক দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতি বা আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০ অনুসরণ করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনা করবেন। সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি, ফৌজদারি ও ট্রাইব্যুনালে সব মামলা দায়ের করা যাবে। বিচারক শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি অধস্তন ফৌজদারি আদালতে ও ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করতে পারবেন।
এর আগে করোনার সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদেশক্রমে গত বুধবার থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
করোনার প্রাদুর্ভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের মার্চে সরকার ঘোষিত ‘সাধারণ ছুটি’র সঙ্গে মিল রেখে দেশের সব আদালতে সাধারণ ছুটি চলে। পরে ওই বছরের ৯ মে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ওই বছরের ১১ মে থেকে ভার্চ্যুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। আর অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হয়। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় এরপর কখনো ভার্চ্যুয়াল ও ক্ষেত্রবিশেষে শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম চলে। এরপর গত বছরের ২৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর পর থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ চলছিল। এ অবস্থায় ১২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৬ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহের প্রতি রবি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার বেলা আড়াইটায় শুধু তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের মামলাসংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদির শুনানি গ্রহণ করবেন। এরপর ১৬ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহে চার দিন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ভার্চ্যুয়ালি বিচার কার্যক্রম চলছে। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে কাল থেকে ভার্চ্যুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত আসে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংগঠনের প্রতি উমামার কমিটমেন্ট ছিল কি না, প্রশ্ন রিফাতের

শারীরিক ও ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে অধস্তন আদালতে

আপডেট সময় : ১২:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত শারীরিক উপস্থিতি অথবা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনা করবেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদেশক্রমে আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানা গেছে।
গতকাল শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনার সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালের বিচারক দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতি বা আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০ অনুসরণ করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনা করবেন। সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি, ফৌজদারি ও ট্রাইব্যুনালে সব মামলা দায়ের করা যাবে। বিচারক শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি অধস্তন ফৌজদারি আদালতে ও ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করতে পারবেন।
এর আগে করোনার সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদেশক্রমে গত বুধবার থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
করোনার প্রাদুর্ভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের মার্চে সরকার ঘোষিত ‘সাধারণ ছুটি’র সঙ্গে মিল রেখে দেশের সব আদালতে সাধারণ ছুটি চলে। পরে ওই বছরের ৯ মে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ওই বছরের ১১ মে থেকে ভার্চ্যুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। আর অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হয়। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় এরপর কখনো ভার্চ্যুয়াল ও ক্ষেত্রবিশেষে শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম চলে। এরপর গত বছরের ২৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর পর থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ চলছিল। এ অবস্থায় ১২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৬ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহের প্রতি রবি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার বেলা আড়াইটায় শুধু তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের মামলাসংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদির শুনানি গ্রহণ করবেন। এরপর ১৬ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহে চার দিন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ভার্চ্যুয়ালি বিচার কার্যক্রম চলছে। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে কাল থেকে ভার্চ্যুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত আসে।