ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

শামসির ঘূর্ণিতে ইংল্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস

  • আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ২৪ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে সাদা বলের কোনো সিরিজ জিতে নিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। রোববার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ৯০ রানে জিতেছে তারা। তাতে করে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ এ নিজেদের করে নিলো প্রোটিয়ারা, বল হাতে তাবরাইজ শামসি জয়ে মূল ভূমিকা রাখেন। দেশটিতে প্রথমবার ২০ ওভারের ক্রিকেট সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়লো ডেভিড মিলারের এই দল। ২০১৩ সালের পর প্রথমবার ইংল্যান্ড কোনো সাদা বলের ট্রফি না জিতে ঘরোয়া মৌসুম শেষ করলো। তারা ভারতের কাছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ ভাগাভাগি করার পর সাউদাম্পটনে বড় হারে ২-১ এ টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলো। ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে ছিল সবার দৃষ্টি। যে কোনো টি-টোয়েন্টিতে এইজেস বোলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করতে হতো তাদের। কিন্তু পারেনি। চতুর্থ থেকে ১৭তম ওভারের মধ্যে ৭৩ রানের বিনিময়ে ১০ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তাতে করে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জয় পায়, ২০০৯ সালে স্কটল্যান্ডকে ১৩০ রানে হারানোর পর ৯০ রানে জিতলো। ইংল্যান্ডে এটাই প্রোটিয়াদের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় এবং ১৯৯৮ সালের পর দেশটিতে প্রথম সাদা বলের সিরিজ জয়।
আগে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারেই কুইন্টন ডি ককের ডাক। তারপর রাইলি রুশোর (৩১) সঙ্গে হেনড্রিকসের ৫৫ রানের জুটিতে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা। দল শক্ত ভিত গড়ে হেনড্রিকস ও এইডেন মার্করামের ৮৭ রানের জুটিতে। ৫০ বলে ৭০ রান করেন হেনড্রিকস ৯টি চারে। মার্করাম ৩৬ রানে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ দিকে অধিনায়ক ডেভিড মিলার ৯ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২২ রানে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেন। ৫ উইকেটে ১৯১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের পক্ষে ডেভিড উইলি সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। লক্ষ্যে নেমে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার সুবিধা করতে পারেনি। ৫৯ রানের মধ্যে চার ফিরে যায় প্যাভিলিয়নে। তারপর শুরু শামসির ঘূর্ণি জাদু। দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনারের শিকার শেষ ছয় উইকেটের পাঁচটি। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন শামসি, ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট। ১৬.৪ ওভারে ১০১ রানে অলআউট ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করা জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ম্যাচ শেষ করেন কেশব মহারাজ। ম্যাচসেরা হয়েছেন শামসি, সিরিজ সেরা হেনড্রিকস।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শামসির ঘূর্ণিতে ইংল্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস

আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ২৪ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে সাদা বলের কোনো সিরিজ জিতে নিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। রোববার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ৯০ রানে জিতেছে তারা। তাতে করে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ এ নিজেদের করে নিলো প্রোটিয়ারা, বল হাতে তাবরাইজ শামসি জয়ে মূল ভূমিকা রাখেন। দেশটিতে প্রথমবার ২০ ওভারের ক্রিকেট সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়লো ডেভিড মিলারের এই দল। ২০১৩ সালের পর প্রথমবার ইংল্যান্ড কোনো সাদা বলের ট্রফি না জিতে ঘরোয়া মৌসুম শেষ করলো। তারা ভারতের কাছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ ভাগাভাগি করার পর সাউদাম্পটনে বড় হারে ২-১ এ টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলো। ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে ছিল সবার দৃষ্টি। যে কোনো টি-টোয়েন্টিতে এইজেস বোলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করতে হতো তাদের। কিন্তু পারেনি। চতুর্থ থেকে ১৭তম ওভারের মধ্যে ৭৩ রানের বিনিময়ে ১০ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তাতে করে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জয় পায়, ২০০৯ সালে স্কটল্যান্ডকে ১৩০ রানে হারানোর পর ৯০ রানে জিতলো। ইংল্যান্ডে এটাই প্রোটিয়াদের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় এবং ১৯৯৮ সালের পর দেশটিতে প্রথম সাদা বলের সিরিজ জয়।
আগে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারেই কুইন্টন ডি ককের ডাক। তারপর রাইলি রুশোর (৩১) সঙ্গে হেনড্রিকসের ৫৫ রানের জুটিতে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা। দল শক্ত ভিত গড়ে হেনড্রিকস ও এইডেন মার্করামের ৮৭ রানের জুটিতে। ৫০ বলে ৭০ রান করেন হেনড্রিকস ৯টি চারে। মার্করাম ৩৬ রানে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ দিকে অধিনায়ক ডেভিড মিলার ৯ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২২ রানে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেন। ৫ উইকেটে ১৯১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের পক্ষে ডেভিড উইলি সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। লক্ষ্যে নেমে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার সুবিধা করতে পারেনি। ৫৯ রানের মধ্যে চার ফিরে যায় প্যাভিলিয়নে। তারপর শুরু শামসির ঘূর্ণি জাদু। দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনারের শিকার শেষ ছয় উইকেটের পাঁচটি। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন শামসি, ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট। ১৬.৪ ওভারে ১০১ রানে অলআউট ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করা জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ম্যাচ শেষ করেন কেশব মহারাজ। ম্যাচসেরা হয়েছেন শামসি, সিরিজ সেরা হেনড্রিকস।