ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

শাবিপ্রবিতে ভর্তি নিয়ে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ

  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

সিলেট প্রতিনিধি : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) প্রথম বর্ষে ২০২১-২২ সেশনে ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এরমধ্যে গুচ্ছের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা এবং চূড়ান্ত ভর্তির সময় ১০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে ওই ফি আদায়ের যৌক্তিকথা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১-২২ সেশনে শিক্ষার্থীদের খাতওয়ারি বেতন ৪৫০ টাকা। এ ছাড়া ইউনিয়ন ফি ১০০ টাকা, পাঠবহির্ভূত কার্যক্রম ১৫০ টাকা, চিকিৎসা ফি ১২০ টাকা, ছাত্র/ ছাত্রী কল্যাণ ফি ৩০০ টাকা, উৎসব ফি ১০০ টাকা, ভর্তি ও আনুষঙ্গিক (এককালীন) ৭০০ টাকা, রেজিস্ট্রেশন ফি ৪৩০ টাকা, পরিচয়পত্র ফি ১৭৫, লাইব্রেরি ফি ১৭৫ টাকা, পরিবহন ফি ৫৫০ টাকা, রোভার স্কাউট ফি ২৫ টাকা, বিএনসিসি ফি ২৫ টাকা, সিলেবাস ফি ৪০০ টাকা, শিক্ষাপঞ্জি ফি ১০০ টাকা, জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমা ৫০০ (গত বছর ছিল ২০০) টাকা, মাদকাসক্ত পরীক্ষা ফি ৫০০ (গত বছর ছিল ৪০০) টাকাসহ মোট ৪ হাজার ৮০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে বিভাগের (শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা) উন্নয়ন ফি বাবদ ৫ হাজার (গতবার ছিল ৩ হাজার) টাকা, হল সংযুক্তি ফি ৫০০ (গতবার ছিল ৪০০) টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এবারের ভর্তি প্রক্রিয়ায় নতুন তিনটি খাত সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রক্টরিয়াল সার্ভিস খাতে ১০০ টাকা, ভর্তি প্রক্রিয়াকরণ খাতে ৩ হাজার ৪০০ টাকা, বিভাগীয় কম্পিউটার/ল্যাব উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ২০০ টাকাসহ সর্বমোট ১০ হাজার ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে এর আগে গুচ্ছের মাধ্যমে এককালীন ৫ হাজার টাকা করে পরিশোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাতে সব মিলিয়ে এবার (২০২১-২২ সেশন) ১৫ হাজার টাকা করে পরিশোধ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। যা গত সেশনে (২০২০-২১ সেশন) এ দুই অংশ মিলিয়ে মোট ফি ছিল ৮ হাজার ১০০ টাকা।
এদিকে ভর্তি ও আনুষঙ্গিক (এককালীন) ৭০০ টাকা নেওয়া হলেও পুনরায় ভর্তি প্রক্রিয়াকরণ খাতে ৩ হাজার ৪০০ টাকা, এবং গুচ্ছের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা কেন নেওয়া হয়েছে যে বিষয়টি পরিষ্কার করেনি ভর্তি কমিটি। ভর্তি ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রদল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ওসমান গণি বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিকভাবে ভর্তি ফি বাড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত বছর ভর্তি ফি ছিল ৮৫০০ টাকা। এই বছর তা এক লাফে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। যা একজন মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্ত শিক্ষার্থীর জন্য বোঝা স্বরূপ। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষাকে বেসরকারীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণে উৎসাহিত করবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সমাজের একাংশ শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে, যা অগণতান্ত্রিক। ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার জানিয়েছেন একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

শাবিপ্রবিতে ভর্তি নিয়ে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:৫৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

সিলেট প্রতিনিধি : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) প্রথম বর্ষে ২০২১-২২ সেশনে ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এরমধ্যে গুচ্ছের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা এবং চূড়ান্ত ভর্তির সময় ১০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে ওই ফি আদায়ের যৌক্তিকথা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১-২২ সেশনে শিক্ষার্থীদের খাতওয়ারি বেতন ৪৫০ টাকা। এ ছাড়া ইউনিয়ন ফি ১০০ টাকা, পাঠবহির্ভূত কার্যক্রম ১৫০ টাকা, চিকিৎসা ফি ১২০ টাকা, ছাত্র/ ছাত্রী কল্যাণ ফি ৩০০ টাকা, উৎসব ফি ১০০ টাকা, ভর্তি ও আনুষঙ্গিক (এককালীন) ৭০০ টাকা, রেজিস্ট্রেশন ফি ৪৩০ টাকা, পরিচয়পত্র ফি ১৭৫, লাইব্রেরি ফি ১৭৫ টাকা, পরিবহন ফি ৫৫০ টাকা, রোভার স্কাউট ফি ২৫ টাকা, বিএনসিসি ফি ২৫ টাকা, সিলেবাস ফি ৪০০ টাকা, শিক্ষাপঞ্জি ফি ১০০ টাকা, জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমা ৫০০ (গত বছর ছিল ২০০) টাকা, মাদকাসক্ত পরীক্ষা ফি ৫০০ (গত বছর ছিল ৪০০) টাকাসহ মোট ৪ হাজার ৮০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে বিভাগের (শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা) উন্নয়ন ফি বাবদ ৫ হাজার (গতবার ছিল ৩ হাজার) টাকা, হল সংযুক্তি ফি ৫০০ (গতবার ছিল ৪০০) টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এবারের ভর্তি প্রক্রিয়ায় নতুন তিনটি খাত সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রক্টরিয়াল সার্ভিস খাতে ১০০ টাকা, ভর্তি প্রক্রিয়াকরণ খাতে ৩ হাজার ৪০০ টাকা, বিভাগীয় কম্পিউটার/ল্যাব উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ২০০ টাকাসহ সর্বমোট ১০ হাজার ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে এর আগে গুচ্ছের মাধ্যমে এককালীন ৫ হাজার টাকা করে পরিশোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাতে সব মিলিয়ে এবার (২০২১-২২ সেশন) ১৫ হাজার টাকা করে পরিশোধ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। যা গত সেশনে (২০২০-২১ সেশন) এ দুই অংশ মিলিয়ে মোট ফি ছিল ৮ হাজার ১০০ টাকা।
এদিকে ভর্তি ও আনুষঙ্গিক (এককালীন) ৭০০ টাকা নেওয়া হলেও পুনরায় ভর্তি প্রক্রিয়াকরণ খাতে ৩ হাজার ৪০০ টাকা, এবং গুচ্ছের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা কেন নেওয়া হয়েছে যে বিষয়টি পরিষ্কার করেনি ভর্তি কমিটি। ভর্তি ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রদল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ওসমান গণি বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিকভাবে ভর্তি ফি বাড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত বছর ভর্তি ফি ছিল ৮৫০০ টাকা। এই বছর তা এক লাফে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। যা একজন মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্ত শিক্ষার্থীর জন্য বোঝা স্বরূপ। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষাকে বেসরকারীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণে উৎসাহিত করবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সমাজের একাংশ শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে, যা অগণতান্ত্রিক। ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার জানিয়েছেন একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।