ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

শাপলা প্রতীক পেতে অনড় এনসিপি, ইসিকে দিলো ৭ নমুনা ছবি

  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শাপলা প্রতীক পেতে অনড় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আবারও চিঠি দিয়েছে দলটি। এবার জাতীয় প্রতীকে দৃশ্যমান শাপলার পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি ভার্সনে আঁকা শাপলার নমুনা ছবি যুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠি ইসি সচিবের কাছে পাঠিয়েছে দলটি।

এনসিপি তাদের জবাবে বলেছে, গণমানুষের সঙ্গে শাপলা প্রতীককেন্দ্রিক গভীর সংযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং এটি ব্যতীত ইসির দেওয়া তালিকা থেকে অন্য কোনো প্রতীক পছন্দ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের গঠিত কমিটি ১৫০টি নতুন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করে। তালিকায় ‘শাপলা’ প্রতীক রয়েছে বলে এনসিপিকে আশ্বস্ত করেন কমিটির একজন সদস্য। এসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়।

২২ জুন এনসিপি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন দাখিল করে এবং দলের অনুকূলে ‘শাপলা’ প্রতীক সংরক্ষণের জন্য আবেদন জানায়।
৩ আগস্ট শাপলা, সাদা শাপলা অথবা লাল শাপলাকে প্রতীক হিসেবে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয় এনসিপি। এ ছাড়া শাপলার ভিন্ন ভিন্ন ভার্সন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এনসিপি সব সময় আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এনসিপির পরবর্তী বৈঠকে প্রতীক হিসাবে শাপলাকে দৃশ্যমান করার ক্ষেত্রে জাতীয় প্রতীকে দৃশ্যমান শাপলার পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি ভার্সনে আঁকা শাপলার নমুনা ছবি নির্বাচন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়।

চিঠিতে শাপলার ভিন্ন ভিন্ন সাতটি নমুনা ছবি তুলে ধরে এনসিপি। এসব নমুনার বাইরেও শাপলার আংশিক ভিন্নতর কোনো নমুনার ব্যাপারে আলোচনা করতেও প্রস্তুত রয়েছে দলটি।

পরবর্তীতে বিগত ২৪ সেপ্টেম্বর এনসিপি নির্বাচন কমিশনের কাছে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সংশোধনক্রমে শাপলা প্রতীক তালিকাভুক্ত করে দলের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে চিঠি দেয়। কিন্তু দুটি চিঠির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অদ্যাবধি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চিঠি পাঠিয়ে প্রতীক ভিন্ন ছবির তালিকা দেয়।

চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এনসিপি মনে করে গণমানুষের সঙ্গে শাপলা প্রতীক কেন্দ্রীক তার গভীর সংযোগ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। শাপলা এনসিপির শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক, কর্মী, নেতৃবৃন্দকে দেশের জনগণের সঙ্গে চমৎকার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। দেশের মানুষের ভালোবাসাকে উপেক্ষা করার শক্তি এনসিপির নাই, ফলশ্রুতিতে শাপলা ব্যতীত ৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বেধে দেয়া তালিকা থেকে অন্য কোনো প্রতীক পছন্দ করা এনসিপির জন্য সম্ভব নয়।

আগে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীসহ সারা দেশের ১০১ জন বিজ্ঞ আইনজীবী শাপলাকে প্রতীক হিসাবে বরাদ্দ দিতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে বিবৃতি দিয়েছেন। সম্প্রতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ঠিকানা টেলিভিশনে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন, শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেওয়াটা খুব বেশি আইনের জটিলতা বলে আমি মনে করি না। এটা দেয়া যেতেই পারে। দেয়নি বলে ভবিষ্যতেও দেয়া যাবে না, এমনটি আমি মনে করি না।

ওআ/আপ্র/০৭/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শাপলা প্রতীক পেতে অনড় এনসিপি, ইসিকে দিলো ৭ নমুনা ছবি

আপডেট সময় : ০৮:১৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: শাপলা প্রতীক পেতে অনড় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আবারও চিঠি দিয়েছে দলটি। এবার জাতীয় প্রতীকে দৃশ্যমান শাপলার পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি ভার্সনে আঁকা শাপলার নমুনা ছবি যুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠি ইসি সচিবের কাছে পাঠিয়েছে দলটি।

এনসিপি তাদের জবাবে বলেছে, গণমানুষের সঙ্গে শাপলা প্রতীককেন্দ্রিক গভীর সংযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং এটি ব্যতীত ইসির দেওয়া তালিকা থেকে অন্য কোনো প্রতীক পছন্দ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের গঠিত কমিটি ১৫০টি নতুন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করে। তালিকায় ‘শাপলা’ প্রতীক রয়েছে বলে এনসিপিকে আশ্বস্ত করেন কমিটির একজন সদস্য। এসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়।

২২ জুন এনসিপি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন দাখিল করে এবং দলের অনুকূলে ‘শাপলা’ প্রতীক সংরক্ষণের জন্য আবেদন জানায়।
৩ আগস্ট শাপলা, সাদা শাপলা অথবা লাল শাপলাকে প্রতীক হিসেবে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয় এনসিপি। এ ছাড়া শাপলার ভিন্ন ভিন্ন ভার্সন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এনসিপি সব সময় আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এনসিপির পরবর্তী বৈঠকে প্রতীক হিসাবে শাপলাকে দৃশ্যমান করার ক্ষেত্রে জাতীয় প্রতীকে দৃশ্যমান শাপলার পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি ভার্সনে আঁকা শাপলার নমুনা ছবি নির্বাচন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়।

চিঠিতে শাপলার ভিন্ন ভিন্ন সাতটি নমুনা ছবি তুলে ধরে এনসিপি। এসব নমুনার বাইরেও শাপলার আংশিক ভিন্নতর কোনো নমুনার ব্যাপারে আলোচনা করতেও প্রস্তুত রয়েছে দলটি।

পরবর্তীতে বিগত ২৪ সেপ্টেম্বর এনসিপি নির্বাচন কমিশনের কাছে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সংশোধনক্রমে শাপলা প্রতীক তালিকাভুক্ত করে দলের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে চিঠি দেয়। কিন্তু দুটি চিঠির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অদ্যাবধি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চিঠি পাঠিয়ে প্রতীক ভিন্ন ছবির তালিকা দেয়।

চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এনসিপি মনে করে গণমানুষের সঙ্গে শাপলা প্রতীক কেন্দ্রীক তার গভীর সংযোগ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। শাপলা এনসিপির শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক, কর্মী, নেতৃবৃন্দকে দেশের জনগণের সঙ্গে চমৎকার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। দেশের মানুষের ভালোবাসাকে উপেক্ষা করার শক্তি এনসিপির নাই, ফলশ্রুতিতে শাপলা ব্যতীত ৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বেধে দেয়া তালিকা থেকে অন্য কোনো প্রতীক পছন্দ করা এনসিপির জন্য সম্ভব নয়।

আগে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীসহ সারা দেশের ১০১ জন বিজ্ঞ আইনজীবী শাপলাকে প্রতীক হিসাবে বরাদ্দ দিতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে বিবৃতি দিয়েছেন। সম্প্রতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ঠিকানা টেলিভিশনে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন, শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেওয়াটা খুব বেশি আইনের জটিলতা বলে আমি মনে করি না। এটা দেয়া যেতেই পারে। দেয়নি বলে ভবিষ্যতেও দেয়া যাবে না, এমনটি আমি মনে করি না।

ওআ/আপ্র/০৭/১০/২০২৫