ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তর-জাকেরের কল্যাণে বাংলাদেশের ২৫২ রান

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: ওয়ানডেতে অভিষেকটা ভালোই রাঙালেন জাকের আলী। ৪৭তম ওভারে পরপর দুটি ছক্কা মারেন তিনি, প্রথমটি পড়ে ১০১ মিটার দূরে। ৪৯তম ওভারে আজমতউল্লাহর বলে হাসমতউল্লাহর হাত ফসকে ১৯ রানে জীবন পান জাকের। তৃতীয় বলে রান নিতে গিয়ে ফিল্ডারের থ্রোয়ে হেলমেটে আঘাত পান এবং আম্পায়ারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বেশ কিছুক্ষণ তার প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে ফিজিও সবুজ সংকেত দেন। ওই ওভারের শেষ বলে চার মেরে জানিয়ে দেন, তিনি ঠিক আছেন। শেষ বলে নিজের তৃতীয় ছক্কা মেরে দলীয় স্কোর আড়াইশ পার করেন। ২৭ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন জাকের। এর আগে নাজমুল হোসেন শান্ত সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো দুটি জুটিতে বাংলাদেশকে ভালো অবস্থানে নেন। ডেথ ওভারে ৩২ রানে চার উইকটে পড়ার পর নাসুম আহমেদ ও জাকের ৪৬ রানের আগ্রাসী জুটি গড়েন। তাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৫২ রান করেছে।
স্কোর: বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৫২/৭ (জাকের ৩৭*, তাসকিন ২*, নাসুম ২৫, মাহমুদউল্লাহ ৩, শান্ত ৭৬, হৃদয় ১১, মিরাজ ২২, সৌম্য ৩৫, তানজিদ ২২)।
আগ্রাসী জুটি গড়ে নাসুমের বিদায়: ৩২ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ চার উইকেট হারিয়ে আরেকটি ধসের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু অভিষিক্ত জাকের আলী ও নাসুম আহমেদ ৪১ বলে ৪৬ রানের আগ্রাসী জুটিতে স্বস্তি ফেরান। ৪৫তম ওভারে দারুণ এক ছক্কা মেরে গ্যালারি মাতান নাসুম। তারপর ৪৮তম ওভারে আরেকটি ছয় হাঁকান। মাঝে ছিল একটি চার। দ্বিতীয় ছয় মারার পরের বলে থামতে হয় তাকে। আল্লাহ গজনফরের বল তার ব্যাট মিস করে স্টাম্পে আঘাত করে। ২৪ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ২৫ রান করেন নাসুম। দলীয় ২৩০ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে বাংলাদেশের।
নাসুমের ব্যাটে বাংলাদেশের দুইশ: ৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে নাসুম আহমেদ বিশাল এক ছক্কা মারলেন। উল্লাসে ফেটে পড়লো গ্যালারি। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়েই বাংলাদেশের স্কোর দুইশতে নেন তিনি।
৭৬ রানে আউট শান্ত, হতাশ করলেন মাহমুদউল্লাহ: ৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ নবীর ক্যাচ হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১৯ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৭৬ রান করেন তিনি। ১৮৩ রানে বাংলাদেশ হারালো পঞ্চম উইকেট। নানগেয়ালিয়া খারোটে একই ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহকে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ক্যাচ বানান। প্রথম ওয়ানডেতে ২ রান করা অভিজ্ঞ এই ব্যাটার এবার একটি রান বেশি করেছেন। ১৮৪ রানে ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের। ৩২ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়েছে তারা।
১১ রানে আউট হৃদয়: ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে নানগেয়ালিয়া খারোটের বলে থামলেন তাওহীদ হৃদয়। ১৬ বলে ১ চারে ১১ রান করে সেদিকুল্লাহ আতালের ক্যাচ হন বাংলাদেশের ব্যাটার। ১৭৪ রানে চার উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
বোল্ড মিরাজ: ব্যাট ও পায়ের ফাঁক গলে উঁচু বল আঘাত করলো মেহেদী হাসান মিরাজের স্টাম্পে। ৩৩ বলে ২২ রান করে রশিদ খানের শিকার হলেন তিনি। নেই কোনও চার-ছক্কা। ৩৩তম ওভারের চতুর্থ বলে ১৫২ রানে তৃতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ। শান্তর সঙ্গে তার জুটি ছিল ৮৩ বলে ৫৩ রানের।
শান্তর নবম হাফ সেঞ্চুরি, রিভিউ নিয়ে টিকেছিলেন: ২৮তম ওভারের তৃতীয় বলে হাফ সেঞ্চুরি করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭৫ বল খেলে নবম ফিফটির দেখা পেলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। প্রথম ওয়ানডেতে তিন রানের আক্ষেপে পুড়েছিলেন তিনি। এবার আর ব্যর্থ হননি। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়েন শান্ত। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গেও তার জুটি চল্লিশ ছাড়িয়েছে। ৩২তম ওভারের তৃতীয় বলে আল্লাহ গজনফর শান্তর বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিভিউ নেন অধিনায়ক, উইকেট মিসিং হওয়ায় টিকে যান। তখন তার রান ছিল ৫৫।
সৌম্যকে হারানোর পর রান একশ: ৯৩ বলে ৭১ রানের জুটি ভেঙে গেলো। সৌম্য সরকার এলবিডব্লিউ হলেন রশিদ খানের বলে। ১৯তম ওভারের এক বল বাকি থাকতে আউট হন তিনি। তারপর মেহেদী হাসান মিরাজ এসে প্রথম বলে সিঙ্গেল নিলে বাংলাদেশের স্কোর একশ ছোঁয়। ৪৯ বলে দুটি করে চার-ছয়ে ৩৫ রান করেন সৌম্য। দলীয় ৯৯ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
আফগানিস্তানের ব্যর্থ রিভিউ: ১১.৩ ওভারে আজমতউল্লাহর ওভারে শান্তর বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদন করেছিল আফগানিস্তান। পরে রিভিউ নেয় তারা। কিন্তু সেখানে মেলেনি সাফল্য। বল ব্যাটেই লাগেনি। তাতে নষ্ট হয়েছে আফগানিস্তানের প্রথম রিভিউ।
শান্ত-সৌম্যর ব্যাটে পঞ্চাশ ছাড়ায়: ২৮ রানে ওপেনার তানজিদ তামিমের উইকেট পড়লেও শান্ত-সৌম্যর ব্যাটে দারুণ ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। শুরুতে দেখে শুনে ব্যাট করতে থাকা সৌম্য ধীরে সুস্থে হাত খুলেছেন। শান্তও নামার পর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাট করছেন। তাতে ৯ ওভারেই পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে দলের স্কোর। দশ ওভারে শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৫৯।
আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আউট তানজিদ: দেখে শুনে শুরুর পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে হাত খুলতে শুরু করেছিলেন ওপেনার তানজিদ তামিম। ফারুকির তৃতীয় ওভারেই মারেন দুটি চার। প্রথম ওয়ানডে জয়ের নায়ক অফস্পিনার গজনফর অপরপ্রান্তে বোলিং করছিলেন। তার চতুর্থ ওভারে ছয় মেরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের বার্তা দিতে থাকেন তামিম। যদিও দ্বিতীয় বলে উইকেট বিলিয়ে আসেন একই রকম শট খেলতে গিয়ে। মেরে খেলতে গেলে ক্যাচ উঠে যায় মিড অনে। তাতে মোহাম্মদ নবীর হাতে ২২ রানে ফিরেছেন তামিম। তাতে চার ছিল ৩টি। ছক্কা একটি। অপরপ্রান্তে সৌম্য সরকার ছিলেন ভীষণ সতর্ক।
টস জেতে বাংলাদেশ, জাকের আলীর অভিষেক: আট মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাজে শুরু করেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ওয়ানডেতে হেরেছে। সিরিজ বাঁচাতে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে সিরিজে প্রথমবারের মতো টস জিতেছে লাল-সবুজ দল। শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতে সহায়তা পাবেন দেখে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শান্ত। আশা করছেন, পরের ইনিংসে বোলাররা কাঙ্ক্ষিত সুইং পাবেন। অপর দিকে আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহীদী বলেছেন, বাংলাদেশকে ২৪০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে চান তারা।
একাদশে কারা: একাদশে প্রত্যাশিত পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ফিরেছেন বামহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। বাদ পড়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। নাসুম সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে। চোটের কারণে মুশফিকুর রহিম না থাকায় জাকের আলীর অভিষেক হচ্ছে এই ম্যাচ দিয়ে। কিপিংয়ের দায়িত্বও সামলাবেন তিনি। আফগান দল অবশ্য অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক) মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান একাদশ: সেদিকুল্লাহ অটল, রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদী (অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, এএম গজনফর, নানগেয়ালিয়া খারোটে, ফজল হক ফারুকি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শান্তর-জাকেরের কল্যাণে বাংলাদেশের ২৫২ রান

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক: ওয়ানডেতে অভিষেকটা ভালোই রাঙালেন জাকের আলী। ৪৭তম ওভারে পরপর দুটি ছক্কা মারেন তিনি, প্রথমটি পড়ে ১০১ মিটার দূরে। ৪৯তম ওভারে আজমতউল্লাহর বলে হাসমতউল্লাহর হাত ফসকে ১৯ রানে জীবন পান জাকের। তৃতীয় বলে রান নিতে গিয়ে ফিল্ডারের থ্রোয়ে হেলমেটে আঘাত পান এবং আম্পায়ারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বেশ কিছুক্ষণ তার প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে ফিজিও সবুজ সংকেত দেন। ওই ওভারের শেষ বলে চার মেরে জানিয়ে দেন, তিনি ঠিক আছেন। শেষ বলে নিজের তৃতীয় ছক্কা মেরে দলীয় স্কোর আড়াইশ পার করেন। ২৭ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন জাকের। এর আগে নাজমুল হোসেন শান্ত সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো দুটি জুটিতে বাংলাদেশকে ভালো অবস্থানে নেন। ডেথ ওভারে ৩২ রানে চার উইকটে পড়ার পর নাসুম আহমেদ ও জাকের ৪৬ রানের আগ্রাসী জুটি গড়েন। তাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৫২ রান করেছে।
স্কোর: বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৫২/৭ (জাকের ৩৭*, তাসকিন ২*, নাসুম ২৫, মাহমুদউল্লাহ ৩, শান্ত ৭৬, হৃদয় ১১, মিরাজ ২২, সৌম্য ৩৫, তানজিদ ২২)।
আগ্রাসী জুটি গড়ে নাসুমের বিদায়: ৩২ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ চার উইকেট হারিয়ে আরেকটি ধসের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু অভিষিক্ত জাকের আলী ও নাসুম আহমেদ ৪১ বলে ৪৬ রানের আগ্রাসী জুটিতে স্বস্তি ফেরান। ৪৫তম ওভারে দারুণ এক ছক্কা মেরে গ্যালারি মাতান নাসুম। তারপর ৪৮তম ওভারে আরেকটি ছয় হাঁকান। মাঝে ছিল একটি চার। দ্বিতীয় ছয় মারার পরের বলে থামতে হয় তাকে। আল্লাহ গজনফরের বল তার ব্যাট মিস করে স্টাম্পে আঘাত করে। ২৪ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ২৫ রান করেন নাসুম। দলীয় ২৩০ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে বাংলাদেশের।
নাসুমের ব্যাটে বাংলাদেশের দুইশ: ৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে নাসুম আহমেদ বিশাল এক ছক্কা মারলেন। উল্লাসে ফেটে পড়লো গ্যালারি। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়েই বাংলাদেশের স্কোর দুইশতে নেন তিনি।
৭৬ রানে আউট শান্ত, হতাশ করলেন মাহমুদউল্লাহ: ৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ নবীর ক্যাচ হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১৯ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৭৬ রান করেন তিনি। ১৮৩ রানে বাংলাদেশ হারালো পঞ্চম উইকেট। নানগেয়ালিয়া খারোটে একই ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহকে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ক্যাচ বানান। প্রথম ওয়ানডেতে ২ রান করা অভিজ্ঞ এই ব্যাটার এবার একটি রান বেশি করেছেন। ১৮৪ রানে ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের। ৩২ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়েছে তারা।
১১ রানে আউট হৃদয়: ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে নানগেয়ালিয়া খারোটের বলে থামলেন তাওহীদ হৃদয়। ১৬ বলে ১ চারে ১১ রান করে সেদিকুল্লাহ আতালের ক্যাচ হন বাংলাদেশের ব্যাটার। ১৭৪ রানে চার উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
বোল্ড মিরাজ: ব্যাট ও পায়ের ফাঁক গলে উঁচু বল আঘাত করলো মেহেদী হাসান মিরাজের স্টাম্পে। ৩৩ বলে ২২ রান করে রশিদ খানের শিকার হলেন তিনি। নেই কোনও চার-ছক্কা। ৩৩তম ওভারের চতুর্থ বলে ১৫২ রানে তৃতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ। শান্তর সঙ্গে তার জুটি ছিল ৮৩ বলে ৫৩ রানের।
শান্তর নবম হাফ সেঞ্চুরি, রিভিউ নিয়ে টিকেছিলেন: ২৮তম ওভারের তৃতীয় বলে হাফ সেঞ্চুরি করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭৫ বল খেলে নবম ফিফটির দেখা পেলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। প্রথম ওয়ানডেতে তিন রানের আক্ষেপে পুড়েছিলেন তিনি। এবার আর ব্যর্থ হননি। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়েন শান্ত। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গেও তার জুটি চল্লিশ ছাড়িয়েছে। ৩২তম ওভারের তৃতীয় বলে আল্লাহ গজনফর শান্তর বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিভিউ নেন অধিনায়ক, উইকেট মিসিং হওয়ায় টিকে যান। তখন তার রান ছিল ৫৫।
সৌম্যকে হারানোর পর রান একশ: ৯৩ বলে ৭১ রানের জুটি ভেঙে গেলো। সৌম্য সরকার এলবিডব্লিউ হলেন রশিদ খানের বলে। ১৯তম ওভারের এক বল বাকি থাকতে আউট হন তিনি। তারপর মেহেদী হাসান মিরাজ এসে প্রথম বলে সিঙ্গেল নিলে বাংলাদেশের স্কোর একশ ছোঁয়। ৪৯ বলে দুটি করে চার-ছয়ে ৩৫ রান করেন সৌম্য। দলীয় ৯৯ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
আফগানিস্তানের ব্যর্থ রিভিউ: ১১.৩ ওভারে আজমতউল্লাহর ওভারে শান্তর বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদন করেছিল আফগানিস্তান। পরে রিভিউ নেয় তারা। কিন্তু সেখানে মেলেনি সাফল্য। বল ব্যাটেই লাগেনি। তাতে নষ্ট হয়েছে আফগানিস্তানের প্রথম রিভিউ।
শান্ত-সৌম্যর ব্যাটে পঞ্চাশ ছাড়ায়: ২৮ রানে ওপেনার তানজিদ তামিমের উইকেট পড়লেও শান্ত-সৌম্যর ব্যাটে দারুণ ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। শুরুতে দেখে শুনে ব্যাট করতে থাকা সৌম্য ধীরে সুস্থে হাত খুলেছেন। শান্তও নামার পর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাট করছেন। তাতে ৯ ওভারেই পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে দলের স্কোর। দশ ওভারে শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৫৯।
আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আউট তানজিদ: দেখে শুনে শুরুর পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে হাত খুলতে শুরু করেছিলেন ওপেনার তানজিদ তামিম। ফারুকির তৃতীয় ওভারেই মারেন দুটি চার। প্রথম ওয়ানডে জয়ের নায়ক অফস্পিনার গজনফর অপরপ্রান্তে বোলিং করছিলেন। তার চতুর্থ ওভারে ছয় মেরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের বার্তা দিতে থাকেন তামিম। যদিও দ্বিতীয় বলে উইকেট বিলিয়ে আসেন একই রকম শট খেলতে গিয়ে। মেরে খেলতে গেলে ক্যাচ উঠে যায় মিড অনে। তাতে মোহাম্মদ নবীর হাতে ২২ রানে ফিরেছেন তামিম। তাতে চার ছিল ৩টি। ছক্কা একটি। অপরপ্রান্তে সৌম্য সরকার ছিলেন ভীষণ সতর্ক।
টস জেতে বাংলাদেশ, জাকের আলীর অভিষেক: আট মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাজে শুরু করেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ওয়ানডেতে হেরেছে। সিরিজ বাঁচাতে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে সিরিজে প্রথমবারের মতো টস জিতেছে লাল-সবুজ দল। শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতে সহায়তা পাবেন দেখে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শান্ত। আশা করছেন, পরের ইনিংসে বোলাররা কাঙ্ক্ষিত সুইং পাবেন। অপর দিকে আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহীদী বলেছেন, বাংলাদেশকে ২৪০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে চান তারা।
একাদশে কারা: একাদশে প্রত্যাশিত পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ফিরেছেন বামহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। বাদ পড়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। নাসুম সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে। চোটের কারণে মুশফিকুর রহিম না থাকায় জাকের আলীর অভিষেক হচ্ছে এই ম্যাচ দিয়ে। কিপিংয়ের দায়িত্বও সামলাবেন তিনি। আফগান দল অবশ্য অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক) মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান একাদশ: সেদিকুল্লাহ অটল, রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদী (অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, এএম গজনফর, নানগেয়ালিয়া খারোটে, ফজল হক ফারুকি।