ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করলো শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন

  • আপডেট সময় : ০২:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিনম্র শ্রদ্ধা আর শোক গাঁথায় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের পরিবারবর্গকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা প্রদান করলো শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন। গতকাল শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী আয়োজিত এ অনুষ্ঠান সকাল ৯.৩০টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত এর সমাধীতে কুরআন খানি, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া এবং সকাল ১১টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আজিমপুর নতুন কবরস্থানে কুরআন খানি, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়াা আয়োজনের মাধ্যমে শুরু হয়। শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও শান্ত-মারিয়াম বিশ^বিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ডা. আহসানুল কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী- বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক এবং অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী- বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ বি তাজুল ইসলাম, এমপি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, প্রাক্তন মূখ্য সচিব কবি কামাল চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) জীবন কানাই দাস, ‘শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক শিল্পী মোস্তাফিজুল হক ও অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক মেজর (অবঃ) নাসির উদ্দিনসহ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। সন্ধ্যায় রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। এই পর্বে শ্রদ্ধাঞ্জলী ভিডিও ও তথ্যচিত্র পরিবেশন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মূল্যায়ন, বিশেষকরে শহীদদের পরিবারবর্গকে সম্মানের সাথে জীবিকা নির্বাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন আলোচকবৃন্দ। অতঃপর বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে সম্মাননা ও শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের ও অতিথিদের ক্রেস্ট ও অন্যান্য উপহার প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পথে এক মর্মান্তিক নৌকাডুবিতে সলিল সমাধি ঘটে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত এর ১১জন সহযোদ্ধার। দিনটি ছিল ১৭ ডিসেম্বর-১৯৭১। উক্ত ঘটনা যোদ্ধা শান্তকে ভীশনভাবে মর্মাহত করে। তাই তিনি প্রত্যেক ১৭ ডিসেম্বর দিনটি ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেন (যা প্রক্রিয়াধিন)। এবং প্রতি বছর এই দিনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের পরিবারবর্গকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা প্রদান করেন। যার ধরাবাহিকতায় এবারও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা
হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের হুঁশিয়ারি

শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করলো শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন

আপডেট সময় : ০২:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২


নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিনম্র শ্রদ্ধা আর শোক গাঁথায় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের পরিবারবর্গকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা প্রদান করলো শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন। গতকাল শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী আয়োজিত এ অনুষ্ঠান সকাল ৯.৩০টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত এর সমাধীতে কুরআন খানি, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া এবং সকাল ১১টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আজিমপুর নতুন কবরস্থানে কুরআন খানি, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়াা আয়োজনের মাধ্যমে শুরু হয়। শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও শান্ত-মারিয়াম বিশ^বিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ডা. আহসানুল কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী- বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক এবং অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী- বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ বি তাজুল ইসলাম, এমপি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, প্রাক্তন মূখ্য সচিব কবি কামাল চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) জীবন কানাই দাস, ‘শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক শিল্পী মোস্তাফিজুল হক ও অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক মেজর (অবঃ) নাসির উদ্দিনসহ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। সন্ধ্যায় রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। এই পর্বে শ্রদ্ধাঞ্জলী ভিডিও ও তথ্যচিত্র পরিবেশন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মূল্যায়ন, বিশেষকরে শহীদদের পরিবারবর্গকে সম্মানের সাথে জীবিকা নির্বাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন আলোচকবৃন্দ। অতঃপর বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে সম্মাননা ও শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের ও অতিথিদের ক্রেস্ট ও অন্যান্য উপহার প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পথে এক মর্মান্তিক নৌকাডুবিতে সলিল সমাধি ঘটে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত এর ১১জন সহযোদ্ধার। দিনটি ছিল ১৭ ডিসেম্বর-১৯৭১। উক্ত ঘটনা যোদ্ধা শান্তকে ভীশনভাবে মর্মাহত করে। তাই তিনি প্রত্যেক ১৭ ডিসেম্বর দিনটি ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেন (যা প্রক্রিয়াধিন)। এবং প্রতি বছর এই দিনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের পরিবারবর্গকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা প্রদান করেন। যার ধরাবাহিকতায় এবারও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা
হয়।