ঢাকা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

শহরে ঢুকে ২৫ জনকে হত্যা করলো মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী

  • আপডেট সময় : ০২:০৯:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের দেপাইন শহরে অভিযান চালিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবারের ওই অভিযানে অন্তত ২৫ জন গণতন্ত্রপন্থীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা সবাই জান্তাবিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও সদস্য নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
গত শুক্রবারের সংঘাতস্থল দেপাইন শহরটির অবস্থান রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে। এদিনের সহিংসতার বিষয়ে সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্রের কাছে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। তবে সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের দাবি, অঞ্চলটিতে টহলরত অবস্থায় থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তারা একজন সেনাসদস্যকে খুন করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ছয় জন। পরে নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা অভিযান চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বাসিন্দা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ভোরে চারটি সামরিক ট্রাক নিয়ে অঞ্চলটিতে ঢুকে পড়ে সেনাসদস্যরা। সংঘর্ষের পর মোট ২৫টি মরদেহের সন্ধান মিলে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও ফোনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে নিহতের এই সংখ্যা উল্লেখ করেছে রয়টার্স। তবে মিয়ানমারের বাস্তবতায় সংবাদমাধ্যমটির পক্ষে স্বাধীনভাবে এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এদিন অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। রাজধানী নেপিদো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের খবর নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী। প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে সু চি সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের ওপর কঠোর অ্যাকশনে যায় সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর হাতে আট শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ধরপাকড়ের শিকার হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অনেক বছর পর সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভোট হবে: প্রধান উপদেষ্টা

শহরে ঢুকে ২৫ জনকে হত্যা করলো মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী

আপডেট সময় : ০২:০৯:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের দেপাইন শহরে অভিযান চালিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবারের ওই অভিযানে অন্তত ২৫ জন গণতন্ত্রপন্থীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা সবাই জান্তাবিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও সদস্য নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
গত শুক্রবারের সংঘাতস্থল দেপাইন শহরটির অবস্থান রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে। এদিনের সহিংসতার বিষয়ে সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্রের কাছে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। তবে সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের দাবি, অঞ্চলটিতে টহলরত অবস্থায় থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তারা একজন সেনাসদস্যকে খুন করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ছয় জন। পরে নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা অভিযান চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বাসিন্দা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ভোরে চারটি সামরিক ট্রাক নিয়ে অঞ্চলটিতে ঢুকে পড়ে সেনাসদস্যরা। সংঘর্ষের পর মোট ২৫টি মরদেহের সন্ধান মিলে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও ফোনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে নিহতের এই সংখ্যা উল্লেখ করেছে রয়টার্স। তবে মিয়ানমারের বাস্তবতায় সংবাদমাধ্যমটির পক্ষে স্বাধীনভাবে এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এদিন অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। রাজধানী নেপিদো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের খবর নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী। প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে সু চি সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের ওপর কঠোর অ্যাকশনে যায় সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর হাতে আট শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ধরপাকড়ের শিকার হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।