নিজস্ব প্রতিবেদক : বিনাশর্তে ২৪ ঘণ্টা হাফপাস, সিটিং/ওয়েবিলের নামে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধ, সড়কে হত্যার বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণসহ নয় দফা দাবিতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএর কার্যালয়ে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। ২০২১ সালে হাফ পাস ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
গতকাল রোববার দুপুর ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিআরটিএর কার্যালয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। প্রথমে কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হয়ে দাবি আদায়ের আন্দোলন করতে থাকলেও পরে কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, বিগত ২০২১ সালে হাফ পাস ও নিরাপদ সড়কের দাবির মুখে বিআরটিএ হাফ পাসের আংশিক দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলো। কিন্তু সে দাবির সঠিক বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সব বাসে হাফ ভাড়া রাখা হচ্ছে না বা রাখলেও সঠিক ভাড়ার চেয়ে বেশি রাখছে।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন-নিসআ এর মুখপাত্র ইনজামুল হক রামিম বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাজেই ছুটির দিন বা রাত ৮টার পর গণপরিবহন ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সেসময় আমাদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বিকাশ বাসে হাফ ভাড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে হেনস্থার শিকার হন। এসব ঘটনা শিক্ষার্থীদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলছে। আমরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, অবৈধভাবে সিটিং বা ওয়েবিলের নামে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এসব বাসে ভাড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই শিক্ষার্থী এবং পরিবহন শ্রমিকদের বিত-া হচ্ছে।
আন্দোলনের মূল দফাগুলো হলো, অবিলম্বে বিনাশর্তে বছরের ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের জন্য সকল গণপরিবহনে (রেল, নৌ, সড়ক ও আসন্ন মেট্রোরেল) হাফ পাস কার্যকর করতে হবে, সিটিং/ওয়েবিলের নামে অবৈধ পন্থায় বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধ, সড়কে আহত-নিহত যাত্রী, পথচারী ও পরিবহন শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং ২০২১ সালের আন্দোলনের ৯ দফার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের। সেখানে তিনি দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিলে দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
শর্তহীন হাফপাস দাবিতে বিআরটিএ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ