ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

শরীর যেভাবে জানান দেয় পানির অভাব

  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : তৃষ্ণার্ত হওয়া ছাড়াও দেহ বিভিন্নভাবে পানির অভাবের কথা জানান দেয়। শরীরের বেশিরভাগ কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন। যখন পর্যাপ্ত পানি পান করা হয় না বা শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় তখন দেখা দেয় পানিশূন্যতা। “পানিশূন্যতার কারণে শরীরে যেমন তাৎক্ষণিক সমস্যা হয় তেমনি দীর্ঘমেয়াদেও বিরূপ প্রভাব ফেলে”, বলছিলেন বস্টনে অবস্থিত ‘ওয়ার্ল্ড ক্লিনিক’য়ের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক অ্যাডাম ব্রিটন। ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও জানান, সারা দিন রাত ধরেই শরীর থেকে পানি বের হয়ে যেতে থাকে। সেটা ঘাম, কান্না, প্রস্রাব এমনকি নিঃশ্বাসের মাধ্যমেও সামান্য পরিমাণে পানি শরীর হারাতে থাকে।
যেভাবে বোঝা যায় পর্যাপ্ত পানি পান হচ্ছে না
নিউ ইয়র্ক’য়ের ‘ফাংশনাল মেডিসিন’ বিশেষজ্ঞ এরিকা শোর্টজ ও ডা. ব্রিটনের মতে, হালকা পানিশূন্যতার মাধ্যমে শরীর জানান দেয় যে পানির অভাব হয়েছে। আর পানিশূন্যতা হলে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ধীর হয় ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন কম পৌঁছায়। যে কারণে দেখা দেয় প্রদাহ। তাই পর্যাপ্ত পানি পান না করার ফলে দেখা দেয় মাথাব্যথা, মাথা ফাকা লাগা বা দ্বিধাগ্রস্ততা, অবসাদ, মেজাজের ওঠানামা, মাথা হালকা লাগা ও মাথা ঘোরা। ডা. শোয়ার্টজ আরও বলেন, “হাড়ের সংযোগ স্থলে পিচ্ছিলভাব বজায় রাখতেও পানি প্রয়োজন। পেশির কর্মক্ষমতাও নির্ভর করে পানির ওপর। তাই দেহের পানির অভাব হল হাড়ের সংযোগে যেমন ব্যথা হতে পারে তেমনি পেশিতে পড়তে পারে টান বা খিঁচ।” এছাড়া ত্বক ও মুখ শুষ্ক হওয়া, ঘন ও বর্ণিল প্রস্রাব হওয়ার মতো বিষয়গুলোতো আছেই। উপরের সবগুলো বিষয়ই মাথায় রাখার পরামর্শ দেন এই দুই চিকিৎসক। ধরা যাক ব্যস্ত দিনের কোনো সময়ে হঠাৎ করেই পেশিতে টান পড়লো, কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই দেখা দিল মাথা ব্যথা। তখন একটু বিশ্রাম নিয়ে ভাবতে হবে সারাদিন কি যথেষ্ট পানি পান করা হয়েছে? তাই একটু বিরতি নিয়ে পানি পান করে শরীরকে আর্দ্র হওয়ার সুযোগ দিতে হবে তখন।
সারা দিনে কতটা পানি পান করা প্রয়োজন?
এই ক্ষেত্রে প্রচলিত পরিমাণ আট গ্লাসের কথা বলা হয়। তবে আবহাওয়া, পরিবেশ, কাজের ধরন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পানির পানের পরিমাণ নির্ভর করে। তাই পরিমাণের দিকে না তাকিয়ে তৃষ্ণার্ত হলেই পানি পান করা উচিত। ‘ইউএস ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেডিসিন’য়ের তথ্যানুসারে, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর ১১.৫ কাপ ও পুরুষের ১৫.৫ কাপ পানি পান করা প্রয়োজন। তবে শরীরচর্চা করা, কাজের ধরন, শারীরিক অবস্থা, পরিবেশ পরিস্থিতি ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে এই পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে। ডা. শোয়ার্টজ পরামর্শ দেন, দেহের ওজনের অর্ধেক পরিমাণ আউন্স হিসাবে বের করে পানি পান করা ভালো পন্থা। আর পিপাসা লাগলেই পানি গ্রহণ করা হল আর্দ্র থাকার সবচেয়ে সরল উপায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শরীর যেভাবে জানান দেয় পানির অভাব

আপডেট সময় : ১১:৩৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : তৃষ্ণার্ত হওয়া ছাড়াও দেহ বিভিন্নভাবে পানির অভাবের কথা জানান দেয়। শরীরের বেশিরভাগ কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন। যখন পর্যাপ্ত পানি পান করা হয় না বা শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় তখন দেখা দেয় পানিশূন্যতা। “পানিশূন্যতার কারণে শরীরে যেমন তাৎক্ষণিক সমস্যা হয় তেমনি দীর্ঘমেয়াদেও বিরূপ প্রভাব ফেলে”, বলছিলেন বস্টনে অবস্থিত ‘ওয়ার্ল্ড ক্লিনিক’য়ের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক অ্যাডাম ব্রিটন। ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও জানান, সারা দিন রাত ধরেই শরীর থেকে পানি বের হয়ে যেতে থাকে। সেটা ঘাম, কান্না, প্রস্রাব এমনকি নিঃশ্বাসের মাধ্যমেও সামান্য পরিমাণে পানি শরীর হারাতে থাকে।
যেভাবে বোঝা যায় পর্যাপ্ত পানি পান হচ্ছে না
নিউ ইয়র্ক’য়ের ‘ফাংশনাল মেডিসিন’ বিশেষজ্ঞ এরিকা শোর্টজ ও ডা. ব্রিটনের মতে, হালকা পানিশূন্যতার মাধ্যমে শরীর জানান দেয় যে পানির অভাব হয়েছে। আর পানিশূন্যতা হলে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ধীর হয় ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন কম পৌঁছায়। যে কারণে দেখা দেয় প্রদাহ। তাই পর্যাপ্ত পানি পান না করার ফলে দেখা দেয় মাথাব্যথা, মাথা ফাকা লাগা বা দ্বিধাগ্রস্ততা, অবসাদ, মেজাজের ওঠানামা, মাথা হালকা লাগা ও মাথা ঘোরা। ডা. শোয়ার্টজ আরও বলেন, “হাড়ের সংযোগ স্থলে পিচ্ছিলভাব বজায় রাখতেও পানি প্রয়োজন। পেশির কর্মক্ষমতাও নির্ভর করে পানির ওপর। তাই দেহের পানির অভাব হল হাড়ের সংযোগে যেমন ব্যথা হতে পারে তেমনি পেশিতে পড়তে পারে টান বা খিঁচ।” এছাড়া ত্বক ও মুখ শুষ্ক হওয়া, ঘন ও বর্ণিল প্রস্রাব হওয়ার মতো বিষয়গুলোতো আছেই। উপরের সবগুলো বিষয়ই মাথায় রাখার পরামর্শ দেন এই দুই চিকিৎসক। ধরা যাক ব্যস্ত দিনের কোনো সময়ে হঠাৎ করেই পেশিতে টান পড়লো, কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই দেখা দিল মাথা ব্যথা। তখন একটু বিশ্রাম নিয়ে ভাবতে হবে সারাদিন কি যথেষ্ট পানি পান করা হয়েছে? তাই একটু বিরতি নিয়ে পানি পান করে শরীরকে আর্দ্র হওয়ার সুযোগ দিতে হবে তখন।
সারা দিনে কতটা পানি পান করা প্রয়োজন?
এই ক্ষেত্রে প্রচলিত পরিমাণ আট গ্লাসের কথা বলা হয়। তবে আবহাওয়া, পরিবেশ, কাজের ধরন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পানির পানের পরিমাণ নির্ভর করে। তাই পরিমাণের দিকে না তাকিয়ে তৃষ্ণার্ত হলেই পানি পান করা উচিত। ‘ইউএস ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেডিসিন’য়ের তথ্যানুসারে, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর ১১.৫ কাপ ও পুরুষের ১৫.৫ কাপ পানি পান করা প্রয়োজন। তবে শরীরচর্চা করা, কাজের ধরন, শারীরিক অবস্থা, পরিবেশ পরিস্থিতি ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে এই পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে। ডা. শোয়ার্টজ পরামর্শ দেন, দেহের ওজনের অর্ধেক পরিমাণ আউন্স হিসাবে বের করে পানি পান করা ভালো পন্থা। আর পিপাসা লাগলেই পানি গ্রহণ করা হল আর্দ্র থাকার সবচেয়ে সরল উপায়।