ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

শরীরে প্রোটিন সাপ্লিমেন্টের প্রভাব

  • আপডেট সময় : ০৫:২০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: প্রয়োজন না থাকলেও অনেকে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে থাকেন। এতে শরীরে নানা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে কিডনি এবং লিভাবের ক্ষতি করে। চিকিৎসকেরা বলেন, ‘যদি ডায়েটে পর্যাপ্ত ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টির অভাব থাকে তাহলে অতিরিক্ত প্রোটিন কিংবা প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট অনেক রোগ সৃষ্ট করতে পারে।’

কারা প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন: শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে। যারা প্রচুর পরিমাণে ব্যায়াম করেন তারা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্ধারিত পরিমাণে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।
শরীর সুস্থ থাকার পরেও অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে ক্ষতি হতে পারে। যেমন-

কিডনি বিকল হতে পারে: অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে কিডনির ওপর প্রভাব পড়ে। যার ফলে কিডনি বিকল বা পাথরের মতো সমস্যা হতে পারে।

লিভারের সমস্যা: অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে বিপাক করার জন্য লিভারকে আরো বেশি পরিশ্রম করতে হয়। যা লিভারের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

হজমের সমস্যা: অতিরিক্ত প্রোটিন কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।

হাড় দুর্বল হতে পারে: অতিরিক্ত প্রোটিন ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দিতে পারে, যার ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র প্রোটিন সাপ্লিমেন্টের ওপর নির্ভর করবেন না। সুস্থ থাকার জন্য ফল, শাকসবজি এবং আস্ত শস্য জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। খাদ্যতালিকায় অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের পরিমাণ বাড়ান। বিশেষ করে ফাইবার এবং ভিটামিন অন্তর্ভুক্ত করুন।

মেহেদী/সানা/আপ্র/১৫/১০/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শরীরে প্রোটিন সাপ্লিমেন্টের প্রভাব

আপডেট সময় : ০৫:২০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: প্রয়োজন না থাকলেও অনেকে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে থাকেন। এতে শরীরে নানা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে কিডনি এবং লিভাবের ক্ষতি করে। চিকিৎসকেরা বলেন, ‘যদি ডায়েটে পর্যাপ্ত ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টির অভাব থাকে তাহলে অতিরিক্ত প্রোটিন কিংবা প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট অনেক রোগ সৃষ্ট করতে পারে।’

কারা প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন: শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে। যারা প্রচুর পরিমাণে ব্যায়াম করেন তারা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্ধারিত পরিমাণে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।
শরীর সুস্থ থাকার পরেও অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে ক্ষতি হতে পারে। যেমন-

কিডনি বিকল হতে পারে: অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে কিডনির ওপর প্রভাব পড়ে। যার ফলে কিডনি বিকল বা পাথরের মতো সমস্যা হতে পারে।

লিভারের সমস্যা: অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে বিপাক করার জন্য লিভারকে আরো বেশি পরিশ্রম করতে হয়। যা লিভারের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

হজমের সমস্যা: অতিরিক্ত প্রোটিন কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।

হাড় দুর্বল হতে পারে: অতিরিক্ত প্রোটিন ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দিতে পারে, যার ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র প্রোটিন সাপ্লিমেন্টের ওপর নির্ভর করবেন না। সুস্থ থাকার জন্য ফল, শাকসবজি এবং আস্ত শস্য জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। খাদ্যতালিকায় অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের পরিমাণ বাড়ান। বিশেষ করে ফাইবার এবং ভিটামিন অন্তর্ভুক্ত করুন।

মেহেদী/সানা/আপ্র/১৫/১০/২০২৫