ঢাকা ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

শরীরচর্চার পরে যে পানীয় খাওয়া উচিত নয়

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ব্যায়ামের পর স্বাস্থ্যকর পন্থায় দেহের যতœ নিতে হয়। মানে খেতে হবে সঠিক খাবার ও পানি। স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও অনেক সময় সেসব খাবার ব্যায়ামের পর খাওয়া ঠিক নয়। এর মধ্যে একটি হল স্মুদি। আর এই পানীয় পানের ক্ষেত্রে সাবধান না থাকলে শরীরচর্চা করেও কোনো ফল মিলবে না।
চিনি-জাতীয় স্মুদি খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে : শরীরচর্চার পরে ঠা-া পানীয় খেতে সবাই পছন্দ করেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় স্মুদি এড়ানোই ভালো। “স্মুদি উচ্চ ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ। কিন্তু এতে আঁশের পরিমাণ কম এবং কোনো প্রোটিন ও জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে না।” বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফিটনেস ইন্সট্রাক্টর’ পুষ্টিবিদ ড. কার্লি জেমস।

বেস্টলাইফ ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ক্রিস্টিন গিলেসপাই বলেন, “শরীরচর্চার পরে নাস্তা হিসেবে নানান রকম মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, প্রোটিন, আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট ধরনের খাবার খাওয়া প্রয়োজন।” অনেক স্মুদিতে এর ভারসাম্য ঠিক থাকে না ও অন্যান্য খনিজ এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অনুপস্থিত থাকে। স্মুদিতে ফলের প্রাকৃতিক শর্করা থাকে এবং শরীরচর্চার পরে যে কোনো চিনিযুক্ত পানীয় গ্রহণ করা ক্ষতিকারক। স্ক্রিস্টিনের মতে, “শরীরচর্চার পরে উচ্চ প্রোটিন ও কম ক্যালরি যুক্ত পানীয় পান করা উপকারী।”
শরীরচর্চার পরে স্মুদি খাওয়া বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে : গিলেসপাই’য়ের মতে শরীরচর্চার পরে যে ক্যালরি ঝড়ানো হয়েছে তার চেয়ে বেশি গ্রহণ করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। শরীরচর্রচার পরে স্মুদি খাওয়া দেহে ক্যালরির পরিমাণ বাড়ায় বলে সমর্থ করেন টরেন্টো’র ব্যায়াম প্রশিক্ষক রোহান অরোরা।
তার মতে, “স্মুদিতে থাকা নানান উপকরণ পেটের সমস্যা যেমন- পেট ফোলাভাব, গ্যাস ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। আর যারা শরীরচর্চার পরে নিয়মিত স্মুদি খান তাদের মাঝে এই সমস্যাগুলো বেশি দেখা দেয়।”
ভাজা পোড়া, ক্যাফেইন এবং উচ্চ চর্বি সমৃদ্ধ খাবার এড়ানো : ‘রক বক্স ফিটনেস’য়ের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ স্টিভ হ্যালোরান বলেন, “শরীরচর্চার পরে তৈরি করে রাখা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়ানো উচিত। কারণ এসব খাবারে স্থায়ীত্ব বাড়ানোর উপাদান মেশানো থাকে।।” তাই সেসব বাদ দেওয়াই ভালো। ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল ধরনের খাবার শরীরচর্চার পরে গ্রহণ করলে পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে। আর বিপাক ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। জেমসের মতে, “হজম করতে কষ্ট হয় যেমন- চর্বি, তেল ও উচ্চ আঁশ ধরনের খাবার ব্যায়ামের পর এড়ানো উচিত।” এসব খাবার অনেক সময় স্বাস্থ্যকর হলেও শরীরচর্চার পরে দেহ পুনর্গঠনে সহায়তা করে এবং হজমে সমস্যা করে না এমন খাবার খাওয়া উচিত।
গিলাসপাইয়ের মতে, “উচ্চ চর্বি-জাতীয় খাবার, তেল, চর্বিবহুল মাংস ইত্যাদি বিপাক ক্রিয়া ধীর করে যা ব্যায়ামের পর গ্রহণ করা ঠিক না।”
পুষ্টিকর সুষম খাবার খাওয়া : “প্রোটিন, আঁশ ও কার্বোহাইড্রেট-যুক্ত নাস্তা খাওয়া দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে ও শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।” বলেন গিলাসপাই। তিনি আরও বলেন, “শরীরচর্চার পরের নাস্তা পেশিগঠনে সহায়তা করে। কিন্তু তা প্রোটিন গ্রহণ ছাড়া কষ্টকর। তাই এ সময়ে পর্যাপ্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা খাওয়া প্রয়োজন।” বাদামের মাখনের সঙ্গে কলা, কটেজ পনিরের সঙ্গে ফল, চকলেট দুধ ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেইট, প্রোটিন, আঁশ ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। যা শরীরচর্চার পরে দেহের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। অরোরার মতে, “শরীরচর্চার পরে হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে ডিম, মিষ্টি আলু, মুরগি ও মাছ খাওয়া যেতে পারে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শরীরচর্চার পরে যে পানীয় খাওয়া উচিত নয়

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ব্যায়ামের পর স্বাস্থ্যকর পন্থায় দেহের যতœ নিতে হয়। মানে খেতে হবে সঠিক খাবার ও পানি। স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও অনেক সময় সেসব খাবার ব্যায়ামের পর খাওয়া ঠিক নয়। এর মধ্যে একটি হল স্মুদি। আর এই পানীয় পানের ক্ষেত্রে সাবধান না থাকলে শরীরচর্চা করেও কোনো ফল মিলবে না।
চিনি-জাতীয় স্মুদি খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে : শরীরচর্চার পরে ঠা-া পানীয় খেতে সবাই পছন্দ করেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় স্মুদি এড়ানোই ভালো। “স্মুদি উচ্চ ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ। কিন্তু এতে আঁশের পরিমাণ কম এবং কোনো প্রোটিন ও জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে না।” বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফিটনেস ইন্সট্রাক্টর’ পুষ্টিবিদ ড. কার্লি জেমস।

বেস্টলাইফ ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ক্রিস্টিন গিলেসপাই বলেন, “শরীরচর্চার পরে নাস্তা হিসেবে নানান রকম মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, প্রোটিন, আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট ধরনের খাবার খাওয়া প্রয়োজন।” অনেক স্মুদিতে এর ভারসাম্য ঠিক থাকে না ও অন্যান্য খনিজ এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অনুপস্থিত থাকে। স্মুদিতে ফলের প্রাকৃতিক শর্করা থাকে এবং শরীরচর্চার পরে যে কোনো চিনিযুক্ত পানীয় গ্রহণ করা ক্ষতিকারক। স্ক্রিস্টিনের মতে, “শরীরচর্চার পরে উচ্চ প্রোটিন ও কম ক্যালরি যুক্ত পানীয় পান করা উপকারী।”
শরীরচর্চার পরে স্মুদি খাওয়া বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে : গিলেসপাই’য়ের মতে শরীরচর্চার পরে যে ক্যালরি ঝড়ানো হয়েছে তার চেয়ে বেশি গ্রহণ করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। শরীরচর্রচার পরে স্মুদি খাওয়া দেহে ক্যালরির পরিমাণ বাড়ায় বলে সমর্থ করেন টরেন্টো’র ব্যায়াম প্রশিক্ষক রোহান অরোরা।
তার মতে, “স্মুদিতে থাকা নানান উপকরণ পেটের সমস্যা যেমন- পেট ফোলাভাব, গ্যাস ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। আর যারা শরীরচর্চার পরে নিয়মিত স্মুদি খান তাদের মাঝে এই সমস্যাগুলো বেশি দেখা দেয়।”
ভাজা পোড়া, ক্যাফেইন এবং উচ্চ চর্বি সমৃদ্ধ খাবার এড়ানো : ‘রক বক্স ফিটনেস’য়ের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ স্টিভ হ্যালোরান বলেন, “শরীরচর্চার পরে তৈরি করে রাখা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়ানো উচিত। কারণ এসব খাবারে স্থায়ীত্ব বাড়ানোর উপাদান মেশানো থাকে।।” তাই সেসব বাদ দেওয়াই ভালো। ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল ধরনের খাবার শরীরচর্চার পরে গ্রহণ করলে পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে। আর বিপাক ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। জেমসের মতে, “হজম করতে কষ্ট হয় যেমন- চর্বি, তেল ও উচ্চ আঁশ ধরনের খাবার ব্যায়ামের পর এড়ানো উচিত।” এসব খাবার অনেক সময় স্বাস্থ্যকর হলেও শরীরচর্চার পরে দেহ পুনর্গঠনে সহায়তা করে এবং হজমে সমস্যা করে না এমন খাবার খাওয়া উচিত।
গিলাসপাইয়ের মতে, “উচ্চ চর্বি-জাতীয় খাবার, তেল, চর্বিবহুল মাংস ইত্যাদি বিপাক ক্রিয়া ধীর করে যা ব্যায়ামের পর গ্রহণ করা ঠিক না।”
পুষ্টিকর সুষম খাবার খাওয়া : “প্রোটিন, আঁশ ও কার্বোহাইড্রেট-যুক্ত নাস্তা খাওয়া দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে ও শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।” বলেন গিলাসপাই। তিনি আরও বলেন, “শরীরচর্চার পরের নাস্তা পেশিগঠনে সহায়তা করে। কিন্তু তা প্রোটিন গ্রহণ ছাড়া কষ্টকর। তাই এ সময়ে পর্যাপ্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা খাওয়া প্রয়োজন।” বাদামের মাখনের সঙ্গে কলা, কটেজ পনিরের সঙ্গে ফল, চকলেট দুধ ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেইট, প্রোটিন, আঁশ ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। যা শরীরচর্চার পরে দেহের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। অরোরার মতে, “শরীরচর্চার পরে হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে ডিম, মিষ্টি আলু, মুরগি ও মাছ খাওয়া যেতে পারে।”