ঢাকা ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শপিংমলে অলস সময় কাটছে বিক্রেতার, বিক্রি বেড়েছে ফুটপাতে

  • আপডেট সময় : ০২:২৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল আজহার কেনাকাটার মূল আকর্ষণ মূলত কোরবানির পশু কেনাকে ঘিরে। এই ঈদে পোশাকসহ অন্যান্য সামগ্রীর চাহিদা কম থাকলেও সামান্য কিছু বেচাকেনার প্রত্যাশা করেন ব্যবসায়ীরা। করোনার প্রভাব ও ঈদের পরে ফের লকডাউনের ঘোষণায় কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা নেই মার্কেটগুলোতে। বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই কোরবানির ঈদ থেকেই সুবিধা করতে পারছেন না তারা। ঈদের পর লকডাউন থাকায় গ্রামে চলে গেছে বেশিরভাগ মানুষ। যারা রাজধানীতে আছেন তাদের অধিকাংশই কিছু কিনতে হলে শপিংমল থেকে না কিনে ফুটপাতের ভাসমান দোকান থেকেই কিনছেন।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুর-১০, ২, ১ ও ১২ নম্বরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার শপিংমলগুলোতে ভিড় নেই একেবারেই। কিছু দোকানে ক্রেতা থাকলেও বেশিরভাগ দোকানই ছিল ফাঁকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ঈদের মৌসুমে অন্য সময় যে স্বাভাবিক বিক্রি হয় এবার সেটুকুও হচ্ছে না। মিরপুর-১২ নম্বরে আড়ংয়ের বিক্রয়কর্মী সোহাম বলেন, ‘ঈদে আড়ংয়ে বাড়তি চাপ থাকে। এবার সেটা নেই। যারা আসছেন তারা ঈদের কেনাকাটা নয়, রেগুলার কেনাকাটা করছেন।’ মিরপুর-১০ নম্বরে ফাহাদ কমপ্লেক্সের ব্যাগ বিক্রেতা রাশেদুল বলেন, ‘বিক্রি খুব একটা ভালো নয়। সাধারণ সময়ের মতো বিক্রি হচ্ছে না। দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন দেয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।’ মিরপুর-১০ নম্বরে শাহআলী মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, জুতা, জামা-কাপড়ের দোকানে তেমন ভিড় নেই। মোবাইল ফোনের দোকানে ক্রেতার আনাগোনা লক্ষ করা গেছে। কাপড়ের দোকানদার কাশেম বলেন, ‘এখন যারা আছে সব টুকটাক, শৌখিন কাস্টমার। সারাদিনে ১০ হাজার টাকাও বিক্রি হয় না। ঈদের আগে ছয় দিন দোকান খোলা রেখে খুব একটা লাভ হয় নাই। তারপরও দোকান তো খুলতেই হবে, যা হয় বেচাকেনা, না হওয়ার চেয়ে তো ভালো।’ ফুটপাতে ক্রেতা বেশি সম্পর্কে তিনি বলেন, ফুটপাতে ক্রেতা বেশি থাকে। যারা মার্কেট থেকে কেনে তারা ফুটপাতে যায় না। এদিকে মিরপুর-১০ ও ২ নম্বরের ফুটপাতের দোকানগুলোতে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে। বিক্রি বাড়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা। কসমেটিকস বিক্রেতা রাসেল বলেন, ‘গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ বিক্রি ভালো। রোজার ঈদে যে মাল তুলেছিলাম সেগুলো তো বিক্রি করতে পারিনি। এবার কিছু বিক্রি হবে। ঈদের আগের রাত পর্যন্ত এমন বিক্রি থাকলে সব মাল বিক্রি হবে।’ এদিকে ফুটপাতে ক্রেতা বাড়ায় সেখান দিয়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাঁটাচলা করতে কষ্ট হচ্ছে। পথচারীদের বাধ্য হয়ে গাদাগাদি করে চলাচল করতে দেখা গেছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শপিংমলে অলস সময় কাটছে বিক্রেতার, বিক্রি বেড়েছে ফুটপাতে

আপডেট সময় : ০২:২৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল আজহার কেনাকাটার মূল আকর্ষণ মূলত কোরবানির পশু কেনাকে ঘিরে। এই ঈদে পোশাকসহ অন্যান্য সামগ্রীর চাহিদা কম থাকলেও সামান্য কিছু বেচাকেনার প্রত্যাশা করেন ব্যবসায়ীরা। করোনার প্রভাব ও ঈদের পরে ফের লকডাউনের ঘোষণায় কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা নেই মার্কেটগুলোতে। বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই কোরবানির ঈদ থেকেই সুবিধা করতে পারছেন না তারা। ঈদের পর লকডাউন থাকায় গ্রামে চলে গেছে বেশিরভাগ মানুষ। যারা রাজধানীতে আছেন তাদের অধিকাংশই কিছু কিনতে হলে শপিংমল থেকে না কিনে ফুটপাতের ভাসমান দোকান থেকেই কিনছেন।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুর-১০, ২, ১ ও ১২ নম্বরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার শপিংমলগুলোতে ভিড় নেই একেবারেই। কিছু দোকানে ক্রেতা থাকলেও বেশিরভাগ দোকানই ছিল ফাঁকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ঈদের মৌসুমে অন্য সময় যে স্বাভাবিক বিক্রি হয় এবার সেটুকুও হচ্ছে না। মিরপুর-১২ নম্বরে আড়ংয়ের বিক্রয়কর্মী সোহাম বলেন, ‘ঈদে আড়ংয়ে বাড়তি চাপ থাকে। এবার সেটা নেই। যারা আসছেন তারা ঈদের কেনাকাটা নয়, রেগুলার কেনাকাটা করছেন।’ মিরপুর-১০ নম্বরে ফাহাদ কমপ্লেক্সের ব্যাগ বিক্রেতা রাশেদুল বলেন, ‘বিক্রি খুব একটা ভালো নয়। সাধারণ সময়ের মতো বিক্রি হচ্ছে না। দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন দেয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।’ মিরপুর-১০ নম্বরে শাহআলী মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, জুতা, জামা-কাপড়ের দোকানে তেমন ভিড় নেই। মোবাইল ফোনের দোকানে ক্রেতার আনাগোনা লক্ষ করা গেছে। কাপড়ের দোকানদার কাশেম বলেন, ‘এখন যারা আছে সব টুকটাক, শৌখিন কাস্টমার। সারাদিনে ১০ হাজার টাকাও বিক্রি হয় না। ঈদের আগে ছয় দিন দোকান খোলা রেখে খুব একটা লাভ হয় নাই। তারপরও দোকান তো খুলতেই হবে, যা হয় বেচাকেনা, না হওয়ার চেয়ে তো ভালো।’ ফুটপাতে ক্রেতা বেশি সম্পর্কে তিনি বলেন, ফুটপাতে ক্রেতা বেশি থাকে। যারা মার্কেট থেকে কেনে তারা ফুটপাতে যায় না। এদিকে মিরপুর-১০ ও ২ নম্বরের ফুটপাতের দোকানগুলোতে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে। বিক্রি বাড়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা। কসমেটিকস বিক্রেতা রাসেল বলেন, ‘গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ বিক্রি ভালো। রোজার ঈদে যে মাল তুলেছিলাম সেগুলো তো বিক্রি করতে পারিনি। এবার কিছু বিক্রি হবে। ঈদের আগের রাত পর্যন্ত এমন বিক্রি থাকলে সব মাল বিক্রি হবে।’ এদিকে ফুটপাতে ক্রেতা বাড়ায় সেখান দিয়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাঁটাচলা করতে কষ্ট হচ্ছে। পথচারীদের বাধ্য হয়ে গাদাগাদি করে চলাচল করতে দেখা গেছে।