ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

শনাক্তের হার ফের ১০ ছাড়ালো

  • আপডেট সময় : ০৮:৫২:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে এক শিশুসহ আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৮৭ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭২৩ জন। শনাক্তের হার আবারও ১০-এর ওপরে উঠেছে। ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। গতকাল শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ১৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হন ১ হাজার ৮৮৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৮ লাখ ৭ হাজার ৮৬৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০.৪০ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩.৪২ শতাংশ।
এদিকে নতুন যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২০জন ও নারী ১৪ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৫৮ জনে। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৯ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৫ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের ১ জন। এছাড়া শূন্য থেকে ১০ বছরের এক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এ পর্যন্ত শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী ৪৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে করোনায়। আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে নতুন সুস্থ হওয়াদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৮ জন। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস ধরে টানা মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর বছর শেষে কয়েক মাস ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। চলতি বছরের শুরুতে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত অনেকটা কমে আসে। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞরা এটাকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বলছেন।
রাজশাহী হাসপাতালে একদিনে ১৬ মৃত্যু, চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড সংক্রমণ : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে কোভিড ওয়ার্ড ও আইসিইউতে তারা মারা যান বলে হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান।
তিনি বলেন, ‘মৃতদের মধ্যে ১০ জনের করোনাভাইরাস পজেটিভ ছিল। বাকি ছয়জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।’ তাদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়জন, রাজশাহীর ছয়জন ও নওগাঁর একজন। এ নিয়ে গত ২৪ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ১২ দিনে হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও আইসিউতে ৯৩ জন মারা গেলেন; যাদের মধ্যে ৫৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। ডা. সাইফুল বলেন, ১৬ জনের মধ্যে হাসপাতালের আইসিইউ পাঁচজন মারা যান। এছাড়া ২৫ নম্বার ওয়ার্ডে তিনজন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তিনজন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে একজন। এই ওয়ার্ডগুলোতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের প্রথমে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছেই। শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২২৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৩২ জন। যাদের মধ্যে ১৩ জন রাজশাহীর, ১৫ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, পাবনার ৩ জন ও নাটোরের একজন। বৃহস্পতিবার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার পর আরও ১৮৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ল্যাবে ৫২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮২, রাজশাহীর ২৮৪ জনের নমুনার মধ্যে ৭৪ এবং নাটোরের ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে বলে সাইফুল জানান।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাজশাহীতে অনির্দিষ্টকালের বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকল ৬টা পর্যন্ত দোকান-পাট, বিপনি বিতান ও মানুষের চলাচল বন্ধ থাকবে। রাজশাহী জেলা প্রশাসক বলেন, প্রথমদিন প্রশাসন দোকান-পাট বন্ধ করে দিয়ে লোকজনকে ঘরে ফেরার নির্দেশ দেয়। নতুন বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে নগরীতে ছয়টি ও প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে। ‘প্রথমদিন শুধু জানান দেওয়া হলেও দ্বিতীয় দিন থেকে বিধি-নিষেধ পালনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
চুয়াডাঙ্গায় একদিনে রেকর্ড ৫১ জন শনাক্ত : সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার নতুন ৫১ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, যা একদিনে সর্বোচ্চ। চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান, বৃহস্পতিবার পাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫১ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের এক-চতুর্থাংশের বেশি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন শনাক্ত ৫১ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩ জন, আলমডাঙ্গায় একজন ও দামুড়হুদা উপজেলায় ৩৭ জন বসবাস করেন। সিভিল সার্জন জানান, দামুড়হুদা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে শনাক্তের হার বেড়ে গেছে। এজন্য সীমান্তবর্তী সাতটি গ্রামের মানুষের চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত দুই হাজার ৯১ জন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮২০ জন। মারা গেছেন ৬৮ জন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শনাক্তের হার ফের ১০ ছাড়ালো

আপডেট সময় : ০৮:৫২:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে এক শিশুসহ আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৮৭ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭২৩ জন। শনাক্তের হার আবারও ১০-এর ওপরে উঠেছে। ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। গতকাল শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ১৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হন ১ হাজার ৮৮৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৮ লাখ ৭ হাজার ৮৬৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০.৪০ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩.৪২ শতাংশ।
এদিকে নতুন যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২০জন ও নারী ১৪ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৫৮ জনে। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৯ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৫ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের ১ জন। এছাড়া শূন্য থেকে ১০ বছরের এক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এ পর্যন্ত শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী ৪৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে করোনায়। আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে নতুন সুস্থ হওয়াদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৮ জন। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস ধরে টানা মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর বছর শেষে কয়েক মাস ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। চলতি বছরের শুরুতে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত অনেকটা কমে আসে। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞরা এটাকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বলছেন।
রাজশাহী হাসপাতালে একদিনে ১৬ মৃত্যু, চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড সংক্রমণ : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে কোভিড ওয়ার্ড ও আইসিইউতে তারা মারা যান বলে হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান।
তিনি বলেন, ‘মৃতদের মধ্যে ১০ জনের করোনাভাইরাস পজেটিভ ছিল। বাকি ছয়জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।’ তাদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়জন, রাজশাহীর ছয়জন ও নওগাঁর একজন। এ নিয়ে গত ২৪ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ১২ দিনে হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও আইসিউতে ৯৩ জন মারা গেলেন; যাদের মধ্যে ৫৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। ডা. সাইফুল বলেন, ১৬ জনের মধ্যে হাসপাতালের আইসিইউ পাঁচজন মারা যান। এছাড়া ২৫ নম্বার ওয়ার্ডে তিনজন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তিনজন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে একজন। এই ওয়ার্ডগুলোতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের প্রথমে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছেই। শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২২৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৩২ জন। যাদের মধ্যে ১৩ জন রাজশাহীর, ১৫ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, পাবনার ৩ জন ও নাটোরের একজন। বৃহস্পতিবার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার পর আরও ১৮৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ল্যাবে ৫২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮২, রাজশাহীর ২৮৪ জনের নমুনার মধ্যে ৭৪ এবং নাটোরের ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে বলে সাইফুল জানান।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাজশাহীতে অনির্দিষ্টকালের বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকল ৬টা পর্যন্ত দোকান-পাট, বিপনি বিতান ও মানুষের চলাচল বন্ধ থাকবে। রাজশাহী জেলা প্রশাসক বলেন, প্রথমদিন প্রশাসন দোকান-পাট বন্ধ করে দিয়ে লোকজনকে ঘরে ফেরার নির্দেশ দেয়। নতুন বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে নগরীতে ছয়টি ও প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে। ‘প্রথমদিন শুধু জানান দেওয়া হলেও দ্বিতীয় দিন থেকে বিধি-নিষেধ পালনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
চুয়াডাঙ্গায় একদিনে রেকর্ড ৫১ জন শনাক্ত : সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার নতুন ৫১ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, যা একদিনে সর্বোচ্চ। চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান, বৃহস্পতিবার পাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫১ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের এক-চতুর্থাংশের বেশি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন শনাক্ত ৫১ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩ জন, আলমডাঙ্গায় একজন ও দামুড়হুদা উপজেলায় ৩৭ জন বসবাস করেন। সিভিল সার্জন জানান, দামুড়হুদা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে শনাক্তের হার বেড়ে গেছে। এজন্য সীমান্তবর্তী সাতটি গ্রামের মানুষের চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত দুই হাজার ৯১ জন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮২০ জন। মারা গেছেন ৬৮ জন।