রাঙামাটি সংবাদদাতা : রাঙামাটিতে এ বছর শত কোটি টাকার কলা বিক্রির আশা করছে জেলার কৃষি বিভাগ। পাহাড়ের কলাচাষে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। ফলে রাঙামাটিতে দিনে দিনে সুস্বাদু কলার বাণিজ্যিক চাষ বাড়ছে। জুম পাহাড়ের অন্যান্য ফসলের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে কলা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, এবার রাঙামাটিতে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হচ্ছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৪০ হাজার মেট্রিকটন। প্রতি ছড়া কলার দাম গড়ে ১০০ টাকা ধরলে, ওজন বিবেচনায়, এই কলার দাম শত কোটি টাকা।” সম্প্রতি রাঙামাটিতে বছরে শত কোটি টাকার কলা উৎপাদিত হচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে তিনি নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দিতে পারেননি। পাহাড়ে চাঁপা কলা, সাগর কলাসহ কয়েক ধরনের কলার চাষ হয়। সারা বছর ফলন পাওয়া গেলেও অগাস্ট থেকে নভেম্বর ফলন হয় সবচেয়ে বেশি। এ সময়ের কলাগুলো আকারেও বড় হয়। কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার বলেন, “রাঙামাটিতে কলা আবাদে কীটনাশকের ব্যবহার হয় না বললেই চলে। কলা এমনিতেই পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল। তার ওপর বালাইনাশক ব্যবহার না করায় এ এলাকার কলা পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। রাঙামাটি শহরের বনরূপা কাঁচাবাজারে অনেক বছর ধরে কলা বিক্রি করেন আতর আলী। তিনি বলেন, “সম্প্রতি কলার চাহিদা বেড়েছে। স্থানীয়রাও এখন কলা বেশি কিনছে। পাহাড়ে কলা চাষে বা পাকাতে কীটনাশকের ব্যবহৃত হয় না বললেই চলে। ফলে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ কলা নিশ্চিন্তে কিনছেন। রাঙামাটির বাইরেও যায় এখানকার কলা। রাঙামাটির কলা নিয়মিত নিয়ে যান ব্যবসায়ী ফরিদুর রহমান রতন। তিনি বলন, “রাঙামাটির পাহাড়ি কলার মান ও পুষ্টিগুণ বেশ ভাল। ফলে রাজধানীতে এই কলার চাহিদা বেশি। আমি প্রতি মাসেই রাঙামাটি থেকে দুই-তিন ট্রাক কলা ঢাকায় নিয়ে যাই।” আকারভেদে প্রতি ছড়া কলার দাম ৫০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে বলে তিনি জানান