প্রত্যাশা ডেস্ক: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হতাহতের সঠিক খবর পাওয়া না গেলেও হাত বোমা বিস্ফোরণে আহত চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তির খরব জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জলিল মাতবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় শতাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুপক্ষের সংঘর্ষ এবং হাতবোমা বিস্ফোরণের ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায়, একটি খোলা মাঠে উভয়পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। অনেকে হাতে বালতি নিয়ে হেলমেট পরে সংঘর্ষে অংশ নিয়েছেন। তারা বালতি থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করছেন। সেগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়া সৃষ্টি করছে।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কুদ্দুস বেপারী ও জলিল মাতবরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও নাম্বার দুটি বন্ধ পাওয়া যায়। জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আহত ৪ জন ঢামেকে: শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বিলাসপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হাত বোমা বিস্ফোরণে আহত চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকে সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটে। পরে দুপুরের দিকে আহত অবস্থায় তাদেরকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আহতরা হলেন- কামাল খাঁ (২০), স্থানীয় কুদ্দুস ব্যাপারী হাই স্কুলের ছাত্র নাঈম (২০), বিজয় সরদার (১৯) এবং নড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র সজীব (২২) তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা আহত কামাল খাঁয়ের মা ময়না বেগম জানান, আহতরা সবাই শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার দাই মন্দির গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।
শনিবার সকালের দিকে স্থানীয় জলিল মাদবর গ্রুপ ও কুদ্দুস ব্যাপারী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় জলিল মাদবর গ্রুপের লোকজনের ছোড়া হাত বোমায় আমার ছেলেসহ চারজন আহত হয়। পরে তাদেরকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, দুপুরের দিকে শরীয়তপুর থেকে আহত অবস্থায় ওই চার যুবককে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।