ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

শতভাগ রোগী শনাক্ত না হওয়াই যক্ষ্মা নির্মূলে বাধা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : যক্ষ্মা নির্মূলে কিছু ক্ষেত্রে এগোলেও শতভাগ রোগী শনাক্ত করতে না পারায় বাংলাদেশ এখনও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে ২০৩৫ সালের আগেই দেশকে যক্ষ্মামুক্ত করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, ভারত-পাকিস্তানসহ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ আটটি দেশের একটি বাংলাদেশ। এসব দেশে পৃথিবীর ৭০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। বাংলাদেশ যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বেশ সফল হলেও কিছু ক্ষেত্রে এখনও কাজ করতে হবে। “জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কার্যক্রমের কারণে রোগী সুস্থ হওয়ার হার ৯৫ শতাংশ। আমরা বিনামূল্যে ওষুধ-চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। ২০১৫ সালে যেখানে প্রতি লাখে ৪৫ জন মানুষ মারা যেত, ২০২১ সালে তা ২৫ জনে নেমে এসেছে।” কিন্তু শতভাগ রোগী শনাক্ত করা যাচ্ছে না জানিয়ে জাহিদ মালিক বলেন, “অনেকে যক্ষ্মার লক্ষণ থাকলেও সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে রোগটি লুকিয়ে রাখে। এ কারণে রোগটি শতভাগ নির্মূল করা যাচ্ছে না।” স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউএসএআইডি ও আইসিডিডিআর,বি সম্মিলিতভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যসহ কয়েকজন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন; এ সময় যক্ষ্মা নির্মূলে সচেতনতা তৈরিতে জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিন জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতি মিনিটে বাংলাদেশে অন্তত একজন লোক যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। ২০২১ সালে সারাদেশে তিন লাখ ৭৫ হাজার এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ও ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যা প্রতি ১২ মিনিটে একজন। আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ বলেন, “যক্ষ্মা নির্মূলে বাংলাদেশের আরও অনেক কিছু করতে হবে। এই রোগ নিয়ে গবেষণায় চিকিৎসকদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। আমরা সবাই মিলে করোনাভাইরাস জয় করেছি। যক্ষ্মাও নির্মূল করতে হবে।” রোগ শনাক্তের গুরুত্ব জানিয়ে ইউএসএআইডির ড. সামিনা চৌধুরী বলেন, তিনি নিজেও ১৮ বছর বয়সে যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়েছিলেন। “আমি সঠিক সময়ে শনাক্ত করতে পেরেছিলাম বলে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছি। এজন্য রোগটি শনাক্তে জোর দিতে হবে। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিন্তু একে নির্মূল করতে হবে,” যোগ করেন তিনি। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর ও পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শতভাগ রোগী শনাক্ত না হওয়াই যক্ষ্মা নির্মূলে বাধা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : যক্ষ্মা নির্মূলে কিছু ক্ষেত্রে এগোলেও শতভাগ রোগী শনাক্ত করতে না পারায় বাংলাদেশ এখনও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে ২০৩৫ সালের আগেই দেশকে যক্ষ্মামুক্ত করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, ভারত-পাকিস্তানসহ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ আটটি দেশের একটি বাংলাদেশ। এসব দেশে পৃথিবীর ৭০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। বাংলাদেশ যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বেশ সফল হলেও কিছু ক্ষেত্রে এখনও কাজ করতে হবে। “জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কার্যক্রমের কারণে রোগী সুস্থ হওয়ার হার ৯৫ শতাংশ। আমরা বিনামূল্যে ওষুধ-চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। ২০১৫ সালে যেখানে প্রতি লাখে ৪৫ জন মানুষ মারা যেত, ২০২১ সালে তা ২৫ জনে নেমে এসেছে।” কিন্তু শতভাগ রোগী শনাক্ত করা যাচ্ছে না জানিয়ে জাহিদ মালিক বলেন, “অনেকে যক্ষ্মার লক্ষণ থাকলেও সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে রোগটি লুকিয়ে রাখে। এ কারণে রোগটি শতভাগ নির্মূল করা যাচ্ছে না।” স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউএসএআইডি ও আইসিডিডিআর,বি সম্মিলিতভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যসহ কয়েকজন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন; এ সময় যক্ষ্মা নির্মূলে সচেতনতা তৈরিতে জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিন জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতি মিনিটে বাংলাদেশে অন্তত একজন লোক যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। ২০২১ সালে সারাদেশে তিন লাখ ৭৫ হাজার এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ও ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যা প্রতি ১২ মিনিটে একজন। আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ বলেন, “যক্ষ্মা নির্মূলে বাংলাদেশের আরও অনেক কিছু করতে হবে। এই রোগ নিয়ে গবেষণায় চিকিৎসকদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। আমরা সবাই মিলে করোনাভাইরাস জয় করেছি। যক্ষ্মাও নির্মূল করতে হবে।” রোগ শনাক্তের গুরুত্ব জানিয়ে ইউএসএআইডির ড. সামিনা চৌধুরী বলেন, তিনি নিজেও ১৮ বছর বয়সে যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়েছিলেন। “আমি সঠিক সময়ে শনাক্ত করতে পেরেছিলাম বলে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছি। এজন্য রোগটি শনাক্তে জোর দিতে হবে। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিন্তু একে নির্মূল করতে হবে,” যোগ করেন তিনি। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর ও পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন।