ঢাকা ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

শতভাগ কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে : বিজিএমইএ

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন ও উৎসব ভাতা অধিকাংশ কারখানায় পরিশোধ সম্পন্ন হয়েছে। এতে শ্রমিকদের মাঝে যেমন স্বস্তি ফিরে এসেছে পাশাপাশি উদ্যোক্তারাও চাপমুক্ত হয়েছেন। তবে এখনও যেসব কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া বাকি রয়েছে তারাও শনিবার (২৯ মার্চ) মধ্যে তা পরিশোধ করবেন। এতে করে শনিবারের মধ্যেই দেশের সব কারখানার শতভাগ পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ব্যাংক, শ্রমিক নেতাসহ সবার সহযোগিতায় এই প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। বিজিএমইএর মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমান জানিয়েছেন, ২৭ মার্চ পর্যন্ত ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেছে ৯৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ কারখানা। মার্চ মাসের ১৫ বা ৩০ দিনের বেতন পরিশোধ করেছে ৮৩ দশমিক ২০ শতাংশ কারখানা। ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে ৯৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ কারখানা। আর ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে ০ দশমিক ৪৭ শতাংশ কারখানায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও জানান, জরুরি শিপমেন্টের কারণে কিছু কারখানা ২৮ ও ২৯ মার্চ বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে। বিজিএমইএ আশা করছে, ২৯ মার্চের মধ্যেই প্রায় ১০০ শতাংশ কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে। বিজিএমইএ বলছে, শুরু থেকেই বেতন-ভাতা পরিশোধ নিশ্চিত করতে ৪৪৫টি কারখানাকে ক্লোজ মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের হস্তক্ষেপে প্রায় ১০০টি সমস্যাগ্রস্ত কারখানার শ্রমিকদের পাওনা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া, শ্রমিকদের সুবিধার্থে বিজিএমইএর অনুরোধে সরকার সরকারি ছুটির দিনেও ব্যাংকের শাখাগুলো খোলা রাখার নির্দেশ দেয়, যা উদ্যোক্তাদের বেতন পরিশোধে সহায়তা করেছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিজিএমইএর নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চের মধ্যে ধাপে ধাপে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। যাতে মহাসড়কে যানজটের চাপ কমে। এ ছাড়াও, উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন চালু করেছে এবং মহাসড়কগুলোতে বিআরটিসি বাসের বিশেষ সার্ভিস চালু করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শতভাগ কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে : বিজিএমইএ

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন ও উৎসব ভাতা অধিকাংশ কারখানায় পরিশোধ সম্পন্ন হয়েছে। এতে শ্রমিকদের মাঝে যেমন স্বস্তি ফিরে এসেছে পাশাপাশি উদ্যোক্তারাও চাপমুক্ত হয়েছেন। তবে এখনও যেসব কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া বাকি রয়েছে তারাও শনিবার (২৯ মার্চ) মধ্যে তা পরিশোধ করবেন। এতে করে শনিবারের মধ্যেই দেশের সব কারখানার শতভাগ পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ব্যাংক, শ্রমিক নেতাসহ সবার সহযোগিতায় এই প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। বিজিএমইএর মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমান জানিয়েছেন, ২৭ মার্চ পর্যন্ত ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেছে ৯৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ কারখানা। মার্চ মাসের ১৫ বা ৩০ দিনের বেতন পরিশোধ করেছে ৮৩ দশমিক ২০ শতাংশ কারখানা। ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে ৯৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ কারখানা। আর ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে ০ দশমিক ৪৭ শতাংশ কারখানায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও জানান, জরুরি শিপমেন্টের কারণে কিছু কারখানা ২৮ ও ২৯ মার্চ বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে। বিজিএমইএ আশা করছে, ২৯ মার্চের মধ্যেই প্রায় ১০০ শতাংশ কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে। বিজিএমইএ বলছে, শুরু থেকেই বেতন-ভাতা পরিশোধ নিশ্চিত করতে ৪৪৫টি কারখানাকে ক্লোজ মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের হস্তক্ষেপে প্রায় ১০০টি সমস্যাগ্রস্ত কারখানার শ্রমিকদের পাওনা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া, শ্রমিকদের সুবিধার্থে বিজিএমইএর অনুরোধে সরকার সরকারি ছুটির দিনেও ব্যাংকের শাখাগুলো খোলা রাখার নির্দেশ দেয়, যা উদ্যোক্তাদের বেতন পরিশোধে সহায়তা করেছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিজিএমইএর নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চের মধ্যে ধাপে ধাপে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। যাতে মহাসড়কে যানজটের চাপ কমে। এ ছাড়াও, উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন চালু করেছে এবং মহাসড়কগুলোতে বিআরটিসি বাসের বিশেষ সার্ভিস চালু করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।