প্রত্যাশা ডেস্ক: দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সূত্রটা কী? এককথায় মাহাথির মোহাম্মদের জবাবটা হলো, শরীর ও মন-দুটিকেই সব সময় কাজের মধ্যে রাখতে হবে। তাহলেই মিলবে দীর্ঘ জীবন। তিনি নিজেও এর ব্যতিক্রম নন। সুস্থতা নিয়ে মাহাথিরের ভাষ্য, ‘আসল বিষয়টা হলো, আমি সব সময় কাজ করি। বিশ্রাম নিই না।’
আজ আমরা যে আধুনিক মালয়েশিয়াকে দেখতে পাই, তার পেছনে বড় অবদান রয়েছে মাহাথিরের। আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। এ সফলতার জন্য বহুবার নিজের শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন মাহাথির। শৃঙ্খলায় মোড়া পথে চলে গত ১০ জুলাই জীবনের শততম বছর পেরিয়েছেন তিনি।
এই জন্মদিন ঘিরেই কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মাহাথির। গত রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) তা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই দীর্ঘ জীবনের সূত্র জানিয়েছেন তিনি। আলাপ করেছেন মালয়েশিয়ার অর্থনীতি, বর্তমান বিশ্বের রাজনৈতিক হালচাল, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংসতাসহ নানা বিষয় নিয়ে।
মাহাথিরের জন্ম ১৯২৫ সালে। শত বছর পেরোলেও এখনো প্রতিদিন ব্যায়াম করেন, কাজে যান। আমন্ত্রণ পেলে বক্তৃতা দেন বিদেশে গিয়েও। সাক্ষাৎকারের শেষভাগে দীর্ঘ জীবন পেতে কম খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, আমার মায়ের সবচেয়ে সেরা উপদেশটা ছিল-যখন খাবার সুস্বাদু লাগবে, খাওয়া বন্ধ করো।
মাহাথির ২৪ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বৈশ্বিক রাজনীতিতে নানা মোড়বদল দেখেছেন। আল-জাজিরাকে মাহাথির জানান চীন নিয়ে নিজের আশাবাদের কথা। তাঁর ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে বিশ্বের ‘১ নম্বর’ দেশ হবে চীন। যুক্তরাষ্ট্রকে ধরে ফেলতে তাদের ১০ বছর লাগবে। তারপর চীনারা মার্কিনদের ছাড়িয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনীতি নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন মাহাথির। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের ওপর যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি হবে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, বাকি বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না মার্কিন প্রশাসন। আর গাজায় চলমান ইসরায়েলের জাতিগত নিধন বিশ্ব শত শত বছর ধরে মনে রাখবে বলে বিশ্বাস মাহাথিরের।
সানা/কেএমএএ/আপ্র/২৯/০৯/২০২৫