ঢাকা ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

শততম ম্যাচে স্মরণীয় জয়ে সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞ সন

  • আপডেট সময় : ১১:০০:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : দল হেরে গেছে, কিন্তু সেই দলের একজনকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে ব্যক্তিগত মাইলফলকের জন্য। কেমন বিব্রতকর একটা অবস্থাই না হতো! সেই পরিস্থিতিতে পড়া থেকে রক্ষা করার জন্য সতীর্থদের ধন্যবাদ জানালেন দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়ক সন হিউং-মিন। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে সোমবার সনের দক্ষিণ কোরিয়া ২-০ গোলে হারায় চিলিকে। প্রথমার্ধে হোয়াং হি-চ্যানের গোলে এগিয়ে থাকা কোরিয়ানদের জয় নিশ্চিত হয় ম্যাচের শেষ সময়ে সনের দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে। আগের ম্যাচেই ব্রাজিলের কাছে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল কোরিয়া। সেখান থেকে এত দ্রুত গুছিয়ে নিতে পারায় খানিকটা চমকে গেছেন সন নিজেও। জাতীয় দলের হয়ে শততম ম্যাচ শেষে স্থানীয় ইয়োনাব নিউজ এজেন্সিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল তারকা বললেন, মাইলফলকের ম্যাচ জয়ে রাঙাতে পেরে তিনি উচ্ছ্বসিত। “আমার নিজের গোলের চেয়ে আমি সতীর্থদের কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই যে তারা এতটা দুর্দান্ত মানসিকতা নিয়ে ম্যাচটি খেলেছেন। ব্রাজিলের বিপক্ষে আমরা যেভাবে হেরেছি, সেখান থেকে এত দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানো সহজ নয় কখনোই। কিন্তু সবাই দারুণ মানসিক শক্তির পরিচয় দিয়েছে।”
“শততম ম্যাচ জিততে পেরে আমি খুবই খুশি। দল হেরে যাওয়ার পর লোকে যদি আমাকে শততম ম্যাচের জন্য অভিনন্দন জানাত, খুব অস্বস্তিকর ব্যাপার হতো।” টটেনহ্যাম হটস্পারের হয়ে এবার দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটিয়েছেন সন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গোল করেছেন ২৪টি। আরও ১০টি গোলে করেছেন সহায়তা। জাতীয় দলে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ গোলস্কোরার। ২০০৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলার পর ২০১০ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন সন। প্রায় এক যুগের গৌরবময় পথচলায় এই ম্যাচ দিয়ে পূর্ণ হলো সেঞ্চুরি। এতটা সময় কীভাবে চলে গেল, বুঝে উঠতে পারেন না সন নিজেও। “সময় বয়ে গেছে এবং ফিরে তাকানোর ফুরসত খুব একটা পাইনি। একসময় ম্যাচ খেলার সেঞ্চুরি হবে, এই স্বপ্ন দেখতাম বটে। তবে বেশির ভাগ সময়ই চেয়েছি বর্তমানে থাকতে। নিজের চেয়ে বেশি এগিয়ে ভাবতে চাইনি।” দক্ষিণ কোরিয়া এরপর শুক্রবার আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে, চারদিন পর তাদের প্রতিপক্ষ মিশর।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শততম ম্যাচে স্মরণীয় জয়ে সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞ সন

আপডেট সময় : ১১:০০:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : দল হেরে গেছে, কিন্তু সেই দলের একজনকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে ব্যক্তিগত মাইলফলকের জন্য। কেমন বিব্রতকর একটা অবস্থাই না হতো! সেই পরিস্থিতিতে পড়া থেকে রক্ষা করার জন্য সতীর্থদের ধন্যবাদ জানালেন দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়ক সন হিউং-মিন। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে সোমবার সনের দক্ষিণ কোরিয়া ২-০ গোলে হারায় চিলিকে। প্রথমার্ধে হোয়াং হি-চ্যানের গোলে এগিয়ে থাকা কোরিয়ানদের জয় নিশ্চিত হয় ম্যাচের শেষ সময়ে সনের দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে। আগের ম্যাচেই ব্রাজিলের কাছে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল কোরিয়া। সেখান থেকে এত দ্রুত গুছিয়ে নিতে পারায় খানিকটা চমকে গেছেন সন নিজেও। জাতীয় দলের হয়ে শততম ম্যাচ শেষে স্থানীয় ইয়োনাব নিউজ এজেন্সিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল তারকা বললেন, মাইলফলকের ম্যাচ জয়ে রাঙাতে পেরে তিনি উচ্ছ্বসিত। “আমার নিজের গোলের চেয়ে আমি সতীর্থদের কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই যে তারা এতটা দুর্দান্ত মানসিকতা নিয়ে ম্যাচটি খেলেছেন। ব্রাজিলের বিপক্ষে আমরা যেভাবে হেরেছি, সেখান থেকে এত দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানো সহজ নয় কখনোই। কিন্তু সবাই দারুণ মানসিক শক্তির পরিচয় দিয়েছে।”
“শততম ম্যাচ জিততে পেরে আমি খুবই খুশি। দল হেরে যাওয়ার পর লোকে যদি আমাকে শততম ম্যাচের জন্য অভিনন্দন জানাত, খুব অস্বস্তিকর ব্যাপার হতো।” টটেনহ্যাম হটস্পারের হয়ে এবার দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটিয়েছেন সন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গোল করেছেন ২৪টি। আরও ১০টি গোলে করেছেন সহায়তা। জাতীয় দলে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ গোলস্কোরার। ২০০৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলার পর ২০১০ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন সন। প্রায় এক যুগের গৌরবময় পথচলায় এই ম্যাচ দিয়ে পূর্ণ হলো সেঞ্চুরি। এতটা সময় কীভাবে চলে গেল, বুঝে উঠতে পারেন না সন নিজেও। “সময় বয়ে গেছে এবং ফিরে তাকানোর ফুরসত খুব একটা পাইনি। একসময় ম্যাচ খেলার সেঞ্চুরি হবে, এই স্বপ্ন দেখতাম বটে। তবে বেশির ভাগ সময়ই চেয়েছি বর্তমানে থাকতে। নিজের চেয়ে বেশি এগিয়ে ভাবতে চাইনি।” দক্ষিণ কোরিয়া এরপর শুক্রবার আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে, চারদিন পর তাদের প্রতিপক্ষ মিশর।