ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

শতকোটি আলোকবর্ষ দূরে ‘মিল্কি ওয়ের মতোই’ ছায়াপথ

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)’র জোতির্বিজ্ঞানীরা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে একটি ‘স্পাইরাল’ আকৃতির ছায়াপথের ছবি তুলেছেন, যা দেখতে আমাদের ‘মিল্কিওয়ে’ ছায়াপথের মতো।
পৃথিবীর চেয়ে একশ কোটি আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে হারকিউলিস নক্ষত্রম-ল। এই হারকিউলিসে রয়েছে হাজার হাজার ছায়াপথ ও লক্ষ কোটি তারা। তারই একটি ছায়াপথ হচ্ছে ‘লেডা ২০৪৬৬৪৮’।
৩১ জানুয়ারি ইএসএ-র প্রকাশ করা ছবিটি এই সপ্তাহেই উঠে এসেছে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসে। ‘বৈজ্ঞানিক কার্যক্রমের জন্য টেলিস্কোপের সক্ষমতা যাচাইয়ের নমুনা হিসেবেই সে সময় মহাকাশ সংস্থাটি এই ছবিটি প্রকাশ করে। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের ২২ মে ইএসএ’র জোতির্বিজ্ঞানীরা ওয়েব টেলিস্কোপের ‘নিয়ার ইনফ্রারেড ক্যামেরা (নিরক্যাম)’র মাধ্যমে ছবিটি তোলেন। ওই ব্যাপক ক্ষমতাধর ক্যামেরা দূর থেকে তুলনামূলক দীর্ঘ ইনফ্রারেড আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য শনাক্ত করতে পারে।
‘রেডশিফটিং’ শব্দটি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের প্রসারের বিষয়টি বর্ণনা করে। ক্রমশ দূরে সরে যাওয়া আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বাড়তে থাকে যতক্ষণ না এটি ধারণার চেয়েও বেশি লাল হয়। আর এটি ঘটে মহাবিশ্ব বিস্তৃত হচ্ছে বলে – লেডা ২০৪৬৬৪৮’র মতো দূরবর্তী নক্ষত্র ব্যবস্থাগুলো পৃথিবী থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছে। লেডা ২০৪৬৬৪৮র আশপাশে থাকা বেশিরভাগ দৃশ্যমান আলোকবিন্দুও একেকটি ছায়াপথ। ছবিটির মধ্যে কিছু সংখ্যক বস্তু ‘বিগ ব্যাংয়ের মাত্র ৩০ কোটি বছর পরের’ হতে পারে বলে উঠে এসেছে এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে। আর একশ কোটি আলোকবর্ষ দূরের যে কোনো বস্তুর ছবির মানে দাঁড়ায়, আমরা এর একশ কোটি বছর আগের অবস্থায় দেখছি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শতকোটি আলোকবর্ষ দূরে ‘মিল্কি ওয়ের মতোই’ ছায়াপথ

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক: ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)’র জোতির্বিজ্ঞানীরা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে একটি ‘স্পাইরাল’ আকৃতির ছায়াপথের ছবি তুলেছেন, যা দেখতে আমাদের ‘মিল্কিওয়ে’ ছায়াপথের মতো।
পৃথিবীর চেয়ে একশ কোটি আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে হারকিউলিস নক্ষত্রম-ল। এই হারকিউলিসে রয়েছে হাজার হাজার ছায়াপথ ও লক্ষ কোটি তারা। তারই একটি ছায়াপথ হচ্ছে ‘লেডা ২০৪৬৬৪৮’।
৩১ জানুয়ারি ইএসএ-র প্রকাশ করা ছবিটি এই সপ্তাহেই উঠে এসেছে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসে। ‘বৈজ্ঞানিক কার্যক্রমের জন্য টেলিস্কোপের সক্ষমতা যাচাইয়ের নমুনা হিসেবেই সে সময় মহাকাশ সংস্থাটি এই ছবিটি প্রকাশ করে। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের ২২ মে ইএসএ’র জোতির্বিজ্ঞানীরা ওয়েব টেলিস্কোপের ‘নিয়ার ইনফ্রারেড ক্যামেরা (নিরক্যাম)’র মাধ্যমে ছবিটি তোলেন। ওই ব্যাপক ক্ষমতাধর ক্যামেরা দূর থেকে তুলনামূলক দীর্ঘ ইনফ্রারেড আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য শনাক্ত করতে পারে।
‘রেডশিফটিং’ শব্দটি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের প্রসারের বিষয়টি বর্ণনা করে। ক্রমশ দূরে সরে যাওয়া আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বাড়তে থাকে যতক্ষণ না এটি ধারণার চেয়েও বেশি লাল হয়। আর এটি ঘটে মহাবিশ্ব বিস্তৃত হচ্ছে বলে – লেডা ২০৪৬৬৪৮’র মতো দূরবর্তী নক্ষত্র ব্যবস্থাগুলো পৃথিবী থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছে। লেডা ২০৪৬৬৪৮র আশপাশে থাকা বেশিরভাগ দৃশ্যমান আলোকবিন্দুও একেকটি ছায়াপথ। ছবিটির মধ্যে কিছু সংখ্যক বস্তু ‘বিগ ব্যাংয়ের মাত্র ৩০ কোটি বছর পরের’ হতে পারে বলে উঠে এসেছে এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে। আর একশ কোটি আলোকবর্ষ দূরের যে কোনো বস্তুর ছবির মানে দাঁড়ায়, আমরা এর একশ কোটি বছর আগের অবস্থায় দেখছি।