ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শঙ্খচরে অনাবাদি জমিতে হচ্ছে শীতকালীন সবজি চাষ

  • আপডেট সময় : ০৫:২০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

চন্দনাইশ সংবাদদাতা: দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিপাতের কারণে চলতি মৌসুমে শঙ্খ চরে শীতকালীন সবজি চাষাবাদে দুই মাস দেরি হলেও এখন পুরোদমে সবজি চাষাবাদে নেমে পড়েছেন কৃষকরা। শঙ্খচরের কৃষকরা রাত-দিন পরিশ্রম করছেন; যাতে দ্রুত সবজি বাজারে তুলতে পারেন। আগে যেসব জমি অনাবাদি পড়েছিল তাতে এখন বিভিন্ন প্রকারের শীতকালীন সবজি ক্ষেতের চারা গজিয়ে উঠেছে। বর্তমানে কৃষকরা ক্ষেতের পরিচর্যা, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার করছেন; যাতে অল্প সময়ের মধ্যে সবজি বাজারে তুলে চাহিদা মতো দাম পেতে পারেন।
ইতোমধ্যে শঙ্খচরের আগাম শীতকালীন সবজি চাষিরা বেশ কয়েকবার লোকসান দিয়েছেন। একবার জমি প্রস্তুত করলে বৃষ্টি এসে সব তছনছ করে দিয়ে যায়। এভাবে গত ২ মাস থেকে জমি প্রস্তুত করে বেশ কয়েকবার সবজির আগাম বীজ রোপণ করলেও ফসল ফলাতে পারেননি।
জানা গেছে, গত মৌসুমে রবিশস্যসহ শীতকালীন সব ধরনের সবজি মিলে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির চাষাবাদ করেন কৃষকরা; যা পুরোপুরি অর্জিত হয়েছিল। চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি অফিস। তবে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত হবে কি না, তা আরও কিছুদিন পর জানা যাবে।
চন্দনাইশের ৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর লক্ষ্যমাত্রার কত পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ হয়েছে, তা বলা সম্ভব হবে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিন শঙ্খচরে দেখা গেছে, শঙ্খের চরে গত সপ্তাহেও যেসব চাষযোগ্য জমি অনাবাদি পড়েছিল পরিবেশ অনুকূলে থাকায়, তা এক সপ্তাহের মধ্যেই কৃষকরা চাষাবাদের আওতায় নিয়ে এসেছেন। নানা ধরনের শীতকালীন সবজিতে পুরো চরাঞ্চল চেয়ে গেছে। সামনে আরও কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে না এলে ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যেই মুলা, বেগুন, শিমসহ সব ধরনের সবজি বাজারে তুলতে পারবেন বলে জানান কৃষকরা। তবে শীতকালীন অন্যতম সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে তুলতে দুই থেকে আড়াই মাস সময় লাগবে।
বিস্তীর্ণ মুলা ক্ষেতের পরিচর্যা করার সময় কথা হয় শঙ্খ চরের প্রবীণ ও সবচেয়ে সফল কৃষক সাতকানিয়ার উত্তর কালিয়াইশের নুরুল ইসলাম নুরুর সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতি মৌসুমে শঙ্খ চরে প্রায় ৪৫০ শতক জমিতে বিভিন্ন প্রকারের শীতকালীন সবজির আবাদ করেন। আগাম শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করতে গিয়ে বৃষ্টি বাধায় গত ২ মাসে কমপক্ষে ৮ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছেন। বিশাল এ লোকসান কীভাবে পুষিয়ে উঠবেন তা তার জানা নেই; তারপরও তিনি ধারদেনা ও ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করে যাচ্ছেন। বিগত ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে শঙ্খ নদের চরে চাষাবাদ করে যেমন লাভবান হয়েছেন, তেমন লোকসানের ঘানিও টেনেছেন। প্রতি বর্ষায় বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে লোকসান দিলেও কোনো ধরনের সরকারি সহায়তা এ পর্যন্ত পাননি। কারণ হিসেবে তিনি জানান, তারা শঙ্খ নদের যে চরটিতে চাষাবাদ করেন তা পড়েছে
সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলা সীমান্তের মধ্য বরাবর। তাই সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ কৃষি অফিস থেকে কেউ এসে কখনো খোঁজও করেনি তারা কেমন আছে। তার মতো একই চরে চাষাবাদ করা মাহামুদুল হক মাহাদু, আবু বক্কর, মোজাম্মেল হক, মোস্তফা জামান, ওবাইদুল ইসলাম, আহমদ নবী, আবদুল আজিজ মুন্সি, মো. হাসান, জহুর আহমদ, আবু তৈয়ব, মোহাম্মদ খোরশেদসহ শত শত কৃষক প্রতি মৌসুমে লোকসান দিলেও তারাও কোন সময় সরকারি সহায়তা পাননি বলে জানিয়েছেন।
বরবটি ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগের সময় কৃষক মোহাম্মদ মারুফ জানান, চলতি মৌসুমে ২ থেকে ৩ বার লোকসান দিয়েছি। তারমধ্যে সবজি উৎপাদন খরচও বেড়েছে চলতি মৌসুমে। ৪০ শতক (এক কানি) জমিতে গত মৌসুমে উৎপাদন খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। যা চলতি মৌসুমে ৫০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তাই চলতি মৌসুমে উৎপাদন খচর তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয়ে আছেন তারা। আগাম শীতকালীন সবজি বিক্রি করতে পারলেই তারা লাভবান হতেন বেশি।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারী সবজি বাজার দোহাজারী রেলওয়ে ময়দান থেকে প্রতিদিন সবজি ক্রয়কারী পাইকারী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জানান, গত মৌসুমের এই সময়ে শঙ্খচরে উৎপাদিত শীতকালীন অন্যতম সবজি মুলা, বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বরবটি, মিষ্টি লাউসহ সবকিছুই পুরোদমে পাওয়া যেত। কিন্তু চলতি মৌসুমে এখনো পুরোপুরি সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে তাও প্রতি কেজিতে গত মৌসুমের তুলনায় দ্বিগুন, ক্ষেত্র বিশেষে তিনগুন দামে কিনতে হচ্ছে। একইভাবে গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে পরিবহন খরচও বেড়েছে। দোহাজারী থেকে দেড় টনা ট্রাকে এক ট্রাক সবজি চট্টগ্রামে নিতে ভাড়া গুনতে হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত। তা গত মৌসুমে ছিল ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা।
চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন জানান, গত ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে রবি মৌসুম। তবে চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজির মধ্যে ইতোমধ্যে খরিপ ২-এর আওতায় চাষাবাদ করা কৃষকরা বৃষ্টিপাত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কৃষকরা যাতে সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে তার জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শঙ্খচরে অনাবাদি জমিতে হচ্ছে শীতকালীন সবজি চাষ

আপডেট সময় : ০৫:২০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

চন্দনাইশ সংবাদদাতা: দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিপাতের কারণে চলতি মৌসুমে শঙ্খ চরে শীতকালীন সবজি চাষাবাদে দুই মাস দেরি হলেও এখন পুরোদমে সবজি চাষাবাদে নেমে পড়েছেন কৃষকরা। শঙ্খচরের কৃষকরা রাত-দিন পরিশ্রম করছেন; যাতে দ্রুত সবজি বাজারে তুলতে পারেন। আগে যেসব জমি অনাবাদি পড়েছিল তাতে এখন বিভিন্ন প্রকারের শীতকালীন সবজি ক্ষেতের চারা গজিয়ে উঠেছে। বর্তমানে কৃষকরা ক্ষেতের পরিচর্যা, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার করছেন; যাতে অল্প সময়ের মধ্যে সবজি বাজারে তুলে চাহিদা মতো দাম পেতে পারেন।
ইতোমধ্যে শঙ্খচরের আগাম শীতকালীন সবজি চাষিরা বেশ কয়েকবার লোকসান দিয়েছেন। একবার জমি প্রস্তুত করলে বৃষ্টি এসে সব তছনছ করে দিয়ে যায়। এভাবে গত ২ মাস থেকে জমি প্রস্তুত করে বেশ কয়েকবার সবজির আগাম বীজ রোপণ করলেও ফসল ফলাতে পারেননি।
জানা গেছে, গত মৌসুমে রবিশস্যসহ শীতকালীন সব ধরনের সবজি মিলে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির চাষাবাদ করেন কৃষকরা; যা পুরোপুরি অর্জিত হয়েছিল। চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি অফিস। তবে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত হবে কি না, তা আরও কিছুদিন পর জানা যাবে।
চন্দনাইশের ৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর লক্ষ্যমাত্রার কত পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ হয়েছে, তা বলা সম্ভব হবে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিন শঙ্খচরে দেখা গেছে, শঙ্খের চরে গত সপ্তাহেও যেসব চাষযোগ্য জমি অনাবাদি পড়েছিল পরিবেশ অনুকূলে থাকায়, তা এক সপ্তাহের মধ্যেই কৃষকরা চাষাবাদের আওতায় নিয়ে এসেছেন। নানা ধরনের শীতকালীন সবজিতে পুরো চরাঞ্চল চেয়ে গেছে। সামনে আরও কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে না এলে ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যেই মুলা, বেগুন, শিমসহ সব ধরনের সবজি বাজারে তুলতে পারবেন বলে জানান কৃষকরা। তবে শীতকালীন অন্যতম সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে তুলতে দুই থেকে আড়াই মাস সময় লাগবে।
বিস্তীর্ণ মুলা ক্ষেতের পরিচর্যা করার সময় কথা হয় শঙ্খ চরের প্রবীণ ও সবচেয়ে সফল কৃষক সাতকানিয়ার উত্তর কালিয়াইশের নুরুল ইসলাম নুরুর সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতি মৌসুমে শঙ্খ চরে প্রায় ৪৫০ শতক জমিতে বিভিন্ন প্রকারের শীতকালীন সবজির আবাদ করেন। আগাম শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করতে গিয়ে বৃষ্টি বাধায় গত ২ মাসে কমপক্ষে ৮ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছেন। বিশাল এ লোকসান কীভাবে পুষিয়ে উঠবেন তা তার জানা নেই; তারপরও তিনি ধারদেনা ও ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করে যাচ্ছেন। বিগত ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে শঙ্খ নদের চরে চাষাবাদ করে যেমন লাভবান হয়েছেন, তেমন লোকসানের ঘানিও টেনেছেন। প্রতি বর্ষায় বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে লোকসান দিলেও কোনো ধরনের সরকারি সহায়তা এ পর্যন্ত পাননি। কারণ হিসেবে তিনি জানান, তারা শঙ্খ নদের যে চরটিতে চাষাবাদ করেন তা পড়েছে
সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলা সীমান্তের মধ্য বরাবর। তাই সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ কৃষি অফিস থেকে কেউ এসে কখনো খোঁজও করেনি তারা কেমন আছে। তার মতো একই চরে চাষাবাদ করা মাহামুদুল হক মাহাদু, আবু বক্কর, মোজাম্মেল হক, মোস্তফা জামান, ওবাইদুল ইসলাম, আহমদ নবী, আবদুল আজিজ মুন্সি, মো. হাসান, জহুর আহমদ, আবু তৈয়ব, মোহাম্মদ খোরশেদসহ শত শত কৃষক প্রতি মৌসুমে লোকসান দিলেও তারাও কোন সময় সরকারি সহায়তা পাননি বলে জানিয়েছেন।
বরবটি ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগের সময় কৃষক মোহাম্মদ মারুফ জানান, চলতি মৌসুমে ২ থেকে ৩ বার লোকসান দিয়েছি। তারমধ্যে সবজি উৎপাদন খরচও বেড়েছে চলতি মৌসুমে। ৪০ শতক (এক কানি) জমিতে গত মৌসুমে উৎপাদন খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। যা চলতি মৌসুমে ৫০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তাই চলতি মৌসুমে উৎপাদন খচর তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয়ে আছেন তারা। আগাম শীতকালীন সবজি বিক্রি করতে পারলেই তারা লাভবান হতেন বেশি।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারী সবজি বাজার দোহাজারী রেলওয়ে ময়দান থেকে প্রতিদিন সবজি ক্রয়কারী পাইকারী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জানান, গত মৌসুমের এই সময়ে শঙ্খচরে উৎপাদিত শীতকালীন অন্যতম সবজি মুলা, বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বরবটি, মিষ্টি লাউসহ সবকিছুই পুরোদমে পাওয়া যেত। কিন্তু চলতি মৌসুমে এখনো পুরোপুরি সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে তাও প্রতি কেজিতে গত মৌসুমের তুলনায় দ্বিগুন, ক্ষেত্র বিশেষে তিনগুন দামে কিনতে হচ্ছে। একইভাবে গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে পরিবহন খরচও বেড়েছে। দোহাজারী থেকে দেড় টনা ট্রাকে এক ট্রাক সবজি চট্টগ্রামে নিতে ভাড়া গুনতে হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত। তা গত মৌসুমে ছিল ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা।
চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন জানান, গত ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে রবি মৌসুম। তবে চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজির মধ্যে ইতোমধ্যে খরিপ ২-এর আওতায় চাষাবাদ করা কৃষকরা বৃষ্টিপাত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কৃষকরা যাতে সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে তার জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।