ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

লোডশেডিং সমন্বয়ে আরও ১০ দিন সময় চান প্রতিমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ১০:০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকার দিনের যে কোনো এক ঘণ্টা সময় লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দিয়েছে। তবে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এর চেয়েও বেশি সময় লোডশেডিং করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারঘোষিত এক ঘণ্টা লোডশেডিং নিশ্চিত করতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় চেয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারঘোষিত এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা বলা হয়েছিল। তবে সারাদেশে এর চেয়েও বেশি সময় লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। লোডশেডিং সমন্বয় করতে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে আরও ৭-১০ দিন সময় লাগবে।’
গতকাল শুক্রবার ঢাকার গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলছি যে, এক সপ্তাহ দেখবো। কোনো কোনো জায়গায় এক ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি। একটা ফিডার বন্ধ করলাম, সেখান থেকে বিদ্যুৎ আসতে আসতে দুই-তিন ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় চার ঘণ্টাও হয়েছে। আমার নিজের এলাকাতেও হয়েছে। এগুলো দেখার জন্য এক সপ্তাহ সময় নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ সময় নিয়ে আমরা দেখছি, কতটুকু লোডশেডিং করা দরকার। কীভাবে এটাকে আরেকটু কমিয়ে নিয়ে আসা যায়। ১০ দিন হলে পরে ধীরে ধীরে ঠিক করে নিয়ে আসবো, পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যে ডিজেল আমদানি করা হয়, তার মাত্র ১০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। সেই ১০ ভাগ ডিজেল বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার না করায় প্রতিদিন এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ডিজেল সাশ্রয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখা কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে, তা অঙ্ক কষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক হাজার মেগাওয়াট বন্ধ করলাম, ডিজেল সেভ করলাম, এতে পরিস্থিতিটা কী হলো? যদি লোডশেডিং না করতাম ইকনোমিক্যালি আমাদের কতটা পক্ষে আসতো, আর লোডশেডিং করে কতটুকু লোকসান হলো। বিষয়টি আমি এক সপ্তাহ দেখতে চাচ্ছিলাম। ওই ক্যালকুলেশনের মধ্যে আছি, না হলে করবো না।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এক সপ্তাহের রেজাল্ট পেলে পরে নেক্সট সপ্তাহে আরেকটা প্ল্যান করবো। শিডিউলটা ঠিক করবো। টাইমিং ঠিক রাখতে পারছি কি না, দেখবো। শহরে আমরা পারছি, গ্রামে পারছি না। কোনো কোনো গ্রামে তিন, চার, পাঁচ ঘণ্টাও হয়ে যাচ্ছে। ওখানে আমরা কী পদক্ষেপ নেবো, এক সপ্তাহ পরে চিন্তাভাবনা করবো।’
ভিআইপি এলাকায় কম লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ভিআইপি বা অ-ভিআইপি এলাকা নির্দিষ্ট করা নেই। একটা ফিডার বন্ধ করলে ওখানে ভিআইপি পারসন যাদেরকে বলি, তারাও আছেন, সাধারণও আছেন। ভিআইপিদের বিদ্যুৎ যায় না, এমন কিছু না। তবে কূটনৈতিকপাড়া থেকে বিষয়টি বিবেচনার একটি অনুরোধ আমার কাছে এসেছে। ডিপ্লোম্যাটিক জোন থেকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন একটু খেয়াল রাখা হয়। তারা কিন্তু বলেনি, লোডশেডিং বন্ধ করে দিতে হবে। তারা লক্ষ্য রাখতে বলেছেন। বিষয়টি আমরা লক্ষ্য রাখছি।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লোডশেডিং সমন্বয়ে আরও ১০ দিন সময় চান প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকার দিনের যে কোনো এক ঘণ্টা সময় লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দিয়েছে। তবে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এর চেয়েও বেশি সময় লোডশেডিং করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারঘোষিত এক ঘণ্টা লোডশেডিং নিশ্চিত করতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় চেয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারঘোষিত এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা বলা হয়েছিল। তবে সারাদেশে এর চেয়েও বেশি সময় লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। লোডশেডিং সমন্বয় করতে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে আরও ৭-১০ দিন সময় লাগবে।’
গতকাল শুক্রবার ঢাকার গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলছি যে, এক সপ্তাহ দেখবো। কোনো কোনো জায়গায় এক ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি। একটা ফিডার বন্ধ করলাম, সেখান থেকে বিদ্যুৎ আসতে আসতে দুই-তিন ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় চার ঘণ্টাও হয়েছে। আমার নিজের এলাকাতেও হয়েছে। এগুলো দেখার জন্য এক সপ্তাহ সময় নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ সময় নিয়ে আমরা দেখছি, কতটুকু লোডশেডিং করা দরকার। কীভাবে এটাকে আরেকটু কমিয়ে নিয়ে আসা যায়। ১০ দিন হলে পরে ধীরে ধীরে ঠিক করে নিয়ে আসবো, পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যে ডিজেল আমদানি করা হয়, তার মাত্র ১০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। সেই ১০ ভাগ ডিজেল বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার না করায় প্রতিদিন এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ডিজেল সাশ্রয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখা কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে, তা অঙ্ক কষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক হাজার মেগাওয়াট বন্ধ করলাম, ডিজেল সেভ করলাম, এতে পরিস্থিতিটা কী হলো? যদি লোডশেডিং না করতাম ইকনোমিক্যালি আমাদের কতটা পক্ষে আসতো, আর লোডশেডিং করে কতটুকু লোকসান হলো। বিষয়টি আমি এক সপ্তাহ দেখতে চাচ্ছিলাম। ওই ক্যালকুলেশনের মধ্যে আছি, না হলে করবো না।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এক সপ্তাহের রেজাল্ট পেলে পরে নেক্সট সপ্তাহে আরেকটা প্ল্যান করবো। শিডিউলটা ঠিক করবো। টাইমিং ঠিক রাখতে পারছি কি না, দেখবো। শহরে আমরা পারছি, গ্রামে পারছি না। কোনো কোনো গ্রামে তিন, চার, পাঁচ ঘণ্টাও হয়ে যাচ্ছে। ওখানে আমরা কী পদক্ষেপ নেবো, এক সপ্তাহ পরে চিন্তাভাবনা করবো।’
ভিআইপি এলাকায় কম লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ভিআইপি বা অ-ভিআইপি এলাকা নির্দিষ্ট করা নেই। একটা ফিডার বন্ধ করলে ওখানে ভিআইপি পারসন যাদেরকে বলি, তারাও আছেন, সাধারণও আছেন। ভিআইপিদের বিদ্যুৎ যায় না, এমন কিছু না। তবে কূটনৈতিকপাড়া থেকে বিষয়টি বিবেচনার একটি অনুরোধ আমার কাছে এসেছে। ডিপ্লোম্যাটিক জোন থেকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন একটু খেয়াল রাখা হয়। তারা কিন্তু বলেনি, লোডশেডিং বন্ধ করে দিতে হবে। তারা লক্ষ্য রাখতে বলেছেন। বিষয়টি আমরা লক্ষ্য রাখছি।’