ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

লোডশেডিংয়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে মানুষ

  • আপডেট সময় : ০৯:২২:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৩৩/১১ কেভি ক্যাচিং ঘাটা সাব-স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ নিচ্ছে ১১ কেভির ডালুপাড়া সাব-স্টেশন। এই সাব-স্টেশনের অধীনে ডালুপাড়া, ক্যামলং, কুহালং, বাকিছড়া, ডাকবাংলা, ট্যাংখালি, আমতলিপাড়া, রাজভিলা, সুখ বিলাস, ডদালবানয়ায় বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয়। বান্দরবনের এই দুর্গম এলাকায় দুপুর ১টা থেকে দুটা এবং ৫টা থেকে ৬টা প্রতিদিন বিদ্যুৎ থাকবে না। এই শিডিউল ধরেই প্রতিদিন লোডশেডিং হবে। অর্থাৎ কখন মানুষ বিদ্যুৎ পাবে না সেটি আগে জানার কারণে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে পারছে। শুধু ঢাকা নয় বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কারণে শিডিউল লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে বান্দরবানের দুর্গম এলাকার মানুষ দিনের নির্দিষ্ট সময়ে যতটুকু বিদ্যুৎ কম পাচ্ছে, একইভাবে ঢাকার মানুষও তাই পাচ্ছে। বিতরণ পরিস্থিতির এই শিডিউল প্রথা নতুন পথ দেখাচ্ছে।
এক সময়ে শিডিউল লোডশেডিংয়ের ধারণা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছিলো। কিন্তু এরমধ্যে শিডিউল লোডশেডিং প্রথাকে বাস্তবায়ন করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো। বড় কোনও সমস্যা না হলে রাজধানী ঢাকায় শিডিউল ভেঙে লোডশেডিং করা হয় না। তবে সমালোচনা রয়েছে আরইবিকে নিয়ে। শিডিউল লোডশেডিংয়ের বাইরেও তারা লোডশেডিং করছে। এই লোডশেডিং কেন করা হচ্ছে সে বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, আরইবির কোনও ফিডারে বিতরণ ত্রুটি দেখা দিলে সেগুলো নির্দিষ্ট সময়ে আবার চালু হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে আরইবির টিম খবর পাচ্ছে পরে। খবর পাওয়ার পর তারা গিয়ে মেরামত করতে সময় প্রয়োজন হচ্ছে। যেহেতু এখন সবার হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে বিদ্যুৎ চলে গেলেই মানুষ ফোন দিচ্ছে। তখন বলে দেওয়া হচ্ছে লোডশেডিং হয়েছে। যেহেতু লোডশেডিং একটা পরিচিত শব্দ পেয়েছে তাই বলা হচ্ছে। এতে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্রাহককে লোডশেডিং না বলে ওই এলাকার বিতরণ ব্যবস্থায় কী ত্রুটি হয়েছে সেটি ভাল করে বুঝিয়ে বলা উচিত। বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পর থেকে সরকার সাশ্রয় নীতি নিয়েছে। এই নীতিতে সারাদেশে শিডিউল লোডশেডিং করা হচ্ছে। মানুষ ইতোমধ্যে এই লোডশেডিং এ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।
রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন দুপুরের দিকেই বিদ্যুৎ যায়। এক ঘণ্টার বেশি কোনওদিন থাকে না। লোডশেডিংয়ের ৫০ মিনিট পর থেকে আমরা ঘড়ি দেখতে শুরু করি। আর ১০ মিনিট পর বিদ্যুৎ চলে আসবে। ঠিক তাই আসে।
সম্প্রতি দেখা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকার জন্য মানুষ ব্যক্তিগত আরাম আয়েশের কথা চিন্তা করে ডিজেল বা পেট্রোল জেনারেটর ব্যবহার করছে। এতে বাজারে এই দুই ধরনের তেলের বিক্রি গত মাসের তুলনায় বেড়েছে। বাসা বাড়ির জেনারেটরের বিদ্যুৎ উৎপাদন দক্ষতা ১৮ ভাগের বেশি না। কিন্তু এর বিপরীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেটরের দক্ষতা ৫০ ভাগ। সঙ্গত কারণে বাসাবাড়ির জেনারেটরে তেল ব্যবহার করলে অল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশি তেল প্রয়োজন হয়। এতে তেলের অপচয় হয়। তবে এই সংখ্যা হাতে গোণা হলেও এদেরকেও জ্বালানি সাশ্রয়ের আওতায় নিয়ে আসা উচিত বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লোডশেডিংয়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে মানুষ

আপডেট সময় : ০৯:২২:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৩৩/১১ কেভি ক্যাচিং ঘাটা সাব-স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ নিচ্ছে ১১ কেভির ডালুপাড়া সাব-স্টেশন। এই সাব-স্টেশনের অধীনে ডালুপাড়া, ক্যামলং, কুহালং, বাকিছড়া, ডাকবাংলা, ট্যাংখালি, আমতলিপাড়া, রাজভিলা, সুখ বিলাস, ডদালবানয়ায় বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয়। বান্দরবনের এই দুর্গম এলাকায় দুপুর ১টা থেকে দুটা এবং ৫টা থেকে ৬টা প্রতিদিন বিদ্যুৎ থাকবে না। এই শিডিউল ধরেই প্রতিদিন লোডশেডিং হবে। অর্থাৎ কখন মানুষ বিদ্যুৎ পাবে না সেটি আগে জানার কারণে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে পারছে। শুধু ঢাকা নয় বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কারণে শিডিউল লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে বান্দরবানের দুর্গম এলাকার মানুষ দিনের নির্দিষ্ট সময়ে যতটুকু বিদ্যুৎ কম পাচ্ছে, একইভাবে ঢাকার মানুষও তাই পাচ্ছে। বিতরণ পরিস্থিতির এই শিডিউল প্রথা নতুন পথ দেখাচ্ছে।
এক সময়ে শিডিউল লোডশেডিংয়ের ধারণা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছিলো। কিন্তু এরমধ্যে শিডিউল লোডশেডিং প্রথাকে বাস্তবায়ন করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো। বড় কোনও সমস্যা না হলে রাজধানী ঢাকায় শিডিউল ভেঙে লোডশেডিং করা হয় না। তবে সমালোচনা রয়েছে আরইবিকে নিয়ে। শিডিউল লোডশেডিংয়ের বাইরেও তারা লোডশেডিং করছে। এই লোডশেডিং কেন করা হচ্ছে সে বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, আরইবির কোনও ফিডারে বিতরণ ত্রুটি দেখা দিলে সেগুলো নির্দিষ্ট সময়ে আবার চালু হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে আরইবির টিম খবর পাচ্ছে পরে। খবর পাওয়ার পর তারা গিয়ে মেরামত করতে সময় প্রয়োজন হচ্ছে। যেহেতু এখন সবার হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে বিদ্যুৎ চলে গেলেই মানুষ ফোন দিচ্ছে। তখন বলে দেওয়া হচ্ছে লোডশেডিং হয়েছে। যেহেতু লোডশেডিং একটা পরিচিত শব্দ পেয়েছে তাই বলা হচ্ছে। এতে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্রাহককে লোডশেডিং না বলে ওই এলাকার বিতরণ ব্যবস্থায় কী ত্রুটি হয়েছে সেটি ভাল করে বুঝিয়ে বলা উচিত। বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পর থেকে সরকার সাশ্রয় নীতি নিয়েছে। এই নীতিতে সারাদেশে শিডিউল লোডশেডিং করা হচ্ছে। মানুষ ইতোমধ্যে এই লোডশেডিং এ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।
রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন দুপুরের দিকেই বিদ্যুৎ যায়। এক ঘণ্টার বেশি কোনওদিন থাকে না। লোডশেডিংয়ের ৫০ মিনিট পর থেকে আমরা ঘড়ি দেখতে শুরু করি। আর ১০ মিনিট পর বিদ্যুৎ চলে আসবে। ঠিক তাই আসে।
সম্প্রতি দেখা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকার জন্য মানুষ ব্যক্তিগত আরাম আয়েশের কথা চিন্তা করে ডিজেল বা পেট্রোল জেনারেটর ব্যবহার করছে। এতে বাজারে এই দুই ধরনের তেলের বিক্রি গত মাসের তুলনায় বেড়েছে। বাসা বাড়ির জেনারেটরের বিদ্যুৎ উৎপাদন দক্ষতা ১৮ ভাগের বেশি না। কিন্তু এর বিপরীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেটরের দক্ষতা ৫০ ভাগ। সঙ্গত কারণে বাসাবাড়ির জেনারেটরে তেল ব্যবহার করলে অল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশি তেল প্রয়োজন হয়। এতে তেলের অপচয় হয়। তবে এই সংখ্যা হাতে গোণা হলেও এদেরকেও জ্বালানি সাশ্রয়ের আওতায় নিয়ে আসা উচিত বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।