ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

লুকাকুর গোলে ফাইনালে চেলসি

  • আপডেট সময় : ১১:২৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করার পর সৌভাগ্যসূচক গোলে দলকে এগিয়ে নিলেন রোমেলু লুকাকু। সেটিই শেষ পর্যন্ত গড়ে দিল ম্যাচের ভাগ্য। আল হিলালকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল চেলসি। আবু ধাবির মোহাম্মেদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে বুধবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের ১-০ গোলে হারায় ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। প্রতিযোগিতাটিতে নিজেদের প্রথম শিরোপা থেকে আর একটি জয় দূরে চেলসি। একই মাঠে আগামী শনিবারের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ গতবারের কোপা লিবের্তাদোরেস চ্যাম্পিয়ন পালমেইরাস। আগের দিন প্রথম সেমি-ফাইনালে মিশরের দল আল আহলিকে ২-০ গোলে হারায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। এর আগে একবারই ফাইনালে খেলেছিল চেলসি। ২০১২ সালের আসরে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়ান্সের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিল ইংলিশ দলটির। কোভিডে আক্রান্ত কোচ টমাস টুখেলকে এই ম্যাচেও ডাগআউটে পায়নি চেলসি। একাদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় তারা। সেসার আসপিলিকুয়েতার পাসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন হাকিম জিয়াশ। অষ্টাদশ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন লুকাকু। ডান দিক থেকে আসপিলিকুয়েতার বাড়ানো বলে কাছ থেকে অবিশ্বাস্যভাবে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। ২৬তম মিনিটে তার ডি-বক্সে ঢুকে নেওয়া শট ঠেকান গোলরক্ষক।
ভাগ্যের ছোঁয়ায় ৩২তম মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। বাঁ দিক থেকে কাই হার্ভাটজের ক্রস হেডে ক্লিয়ার করতে পারেননি আল হিলালের ডিফেন্ডার ইয়াসির আল শাহরানি। ছয় গজ দূর থেকে শটে বল জালে পাঠান লুকাকু। দ্বিতীয় মেয়াদে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটিতে ফেরার পর লুকাকুর এটি নবম গোল, গত ৮ জানুয়ারির প্রথম। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারত। ডি-বক্সে ঢুকে একজনের বাধা এড়িয়ে দুরূহ কোণ থেকে হার্ভাটজের শট পোষ্টে লাগে। ৬০তম মিনিটে জিয়াশের জোরাল ভলি ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। ৬৩তম মিনিটে ম্যাচে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগ পায় সৌদি আরবের সফলতম ক্লাব আল হিলাল। ওয়ান-অন-ওয়ানে মুসা মারেগার শট পা বাড়িয়ে ঠেকান গোলরক্ষক কেপা আরিসাবালাগা। চার মিনিট পর আরেকটি দুর্দান্ত সেভে ব্যবধান ধরে রাখেন তিনি। ২৫ গজ দূর থেকে মোহামেদ কানোর জোরাল শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ফেরান এই স্প্যানিয়ার্ড। বাকি সময়ে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আর কেউ। দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে ওঠার উচ্ছ্বাসে মাতে চেলসি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লুকাকুর গোলে ফাইনালে চেলসি

আপডেট সময় : ১১:২৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করার পর সৌভাগ্যসূচক গোলে দলকে এগিয়ে নিলেন রোমেলু লুকাকু। সেটিই শেষ পর্যন্ত গড়ে দিল ম্যাচের ভাগ্য। আল হিলালকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল চেলসি। আবু ধাবির মোহাম্মেদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে বুধবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের ১-০ গোলে হারায় ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। প্রতিযোগিতাটিতে নিজেদের প্রথম শিরোপা থেকে আর একটি জয় দূরে চেলসি। একই মাঠে আগামী শনিবারের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ গতবারের কোপা লিবের্তাদোরেস চ্যাম্পিয়ন পালমেইরাস। আগের দিন প্রথম সেমি-ফাইনালে মিশরের দল আল আহলিকে ২-০ গোলে হারায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। এর আগে একবারই ফাইনালে খেলেছিল চেলসি। ২০১২ সালের আসরে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়ান্সের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিল ইংলিশ দলটির। কোভিডে আক্রান্ত কোচ টমাস টুখেলকে এই ম্যাচেও ডাগআউটে পায়নি চেলসি। একাদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় তারা। সেসার আসপিলিকুয়েতার পাসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন হাকিম জিয়াশ। অষ্টাদশ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন লুকাকু। ডান দিক থেকে আসপিলিকুয়েতার বাড়ানো বলে কাছ থেকে অবিশ্বাস্যভাবে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। ২৬তম মিনিটে তার ডি-বক্সে ঢুকে নেওয়া শট ঠেকান গোলরক্ষক।
ভাগ্যের ছোঁয়ায় ৩২তম মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। বাঁ দিক থেকে কাই হার্ভাটজের ক্রস হেডে ক্লিয়ার করতে পারেননি আল হিলালের ডিফেন্ডার ইয়াসির আল শাহরানি। ছয় গজ দূর থেকে শটে বল জালে পাঠান লুকাকু। দ্বিতীয় মেয়াদে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটিতে ফেরার পর লুকাকুর এটি নবম গোল, গত ৮ জানুয়ারির প্রথম। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারত। ডি-বক্সে ঢুকে একজনের বাধা এড়িয়ে দুরূহ কোণ থেকে হার্ভাটজের শট পোষ্টে লাগে। ৬০তম মিনিটে জিয়াশের জোরাল ভলি ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। ৬৩তম মিনিটে ম্যাচে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগ পায় সৌদি আরবের সফলতম ক্লাব আল হিলাল। ওয়ান-অন-ওয়ানে মুসা মারেগার শট পা বাড়িয়ে ঠেকান গোলরক্ষক কেপা আরিসাবালাগা। চার মিনিট পর আরেকটি দুর্দান্ত সেভে ব্যবধান ধরে রাখেন তিনি। ২৫ গজ দূর থেকে মোহামেদ কানোর জোরাল শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ফেরান এই স্প্যানিয়ার্ড। বাকি সময়ে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আর কেউ। দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে ওঠার উচ্ছ্বাসে মাতে চেলসি।