ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

লিলকে হারিয়ে শেষ আটের পথে চেলসি

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ম্যাচের শুরুতে আক্রমণের ঝড় তুলে গোল আদায় করে নিল চেলসি। মাঝে তাদের কিছুটা ছন্দপতন হলেও দলটিকে তেমন ভাবাতে পারেনি লিল। আরও একবার জাল অক্ষত রেখে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার পথে কিছুটা এগিয়ে গেল শিরোপাধারীরা।
জঊখঅঞঊউ ঝঞঙজওঊঝ
৩২ সেকেন্ডে গোল করে জিততে পারল না ইউভেন্তুস
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতেছে টমাস টুখেলের দল। কাই হাভার্টজ দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে ফরাসি ক্লাবটির বিপক্ষে এই নিয়ে তিনবারের দেখায় প্রতিবারই জিতল চেলসি। ২০১৯-২০ আসরের গ্রুপ পর্বে দুই লেগেই ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল তারা।
গত শনিবার প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচে সাদামাটা পারফরম্যান্সের জন্য একাদশে জায়গা হারান রোমেলু লুকাকু। মূলত তিন মিডফিল্ডার হাভার্টজ, পুলিসিক ও হাকিম জিয়াশকে নিয়ে আক্রমণভাগ সাজান টুখেল। কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়ে দুজন পেলেন জালের দেখা, আরেক জন করলেন অ্যাসিস্ট।
ম্যাচ শুরু হতেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় চেলসি। কিন্তু সেসার আসপিলিকুয়েতার ক্রস ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়ে ওয়ান-অন-ওয়ানে অবিশ্বাস্যভাবে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান হাভার্টজ। তিন মিনিট পর ডি-বক্সে একজনকে কাটিয়ে এই জার্মান মিডফিল্ডারের আরেক শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
পরের মিনিটে আর ব্যর্থ হননি হাভার্টজ। জিয়াশের কর্নারে দারুণ হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। আসরে এই নিয়ে কর্নারে চারটি গোল করল চেলসি, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
স্বাগতিকদের প্রবল চাপের মধ্যেই দ্বাদশ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়ায় লিল। তবে ডি-বক্সে জটলার মধ্যে তিনবার হাফ-চান্স পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি কেউ।
প্রথম ১০ মিনিটে প্রবল আক্রমণের যে ছাপ রাখে চেলসি, তা ক্রমেই কমে যায়। ডাগআউটে তখন কোচ টুখেলের চোখেমুখে কিছুটা হতাশার চিহ্ন। বল দখলে রেখে আক্রমণও বেশি করতে থাকে সফরকারীরা, যদিও উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। প্রথমার্ধে তারা গোলের উদ্দেশ্যে ৯টি শট নিয়ে কেবল একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে, সেটিও ভাবাতে পারেনি গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদিকে।
৬৩তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পুলিসিক। এনগোলো কঁতের রক্ষণচেরা পাস ডি-বক্সে দুই ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জায়গা বানিয়ে নিচু শটে গোলটি করেন যুক্তরাষ্ট্রের এই মিডফিল্ডার।
বাকি সময়েও সমানতালে চলে আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণ। কিন্তু আর কোনো নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউ। বল দখলের সমতার লড়াইয়ে গোলের উদ্দেশ্যে মোট ১৫টি শট নিয়ে কেবল দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে লিল। বিপরীতে, চেলসির ৯ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে।
২০২০-২১ মৌসুমের শুরু থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই নিয়ে মোট ১৪ ম্যাচে জাল অক্ষত রাখল চেলসি। যে কোনো দলের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লিলকে হারিয়ে শেষ আটের পথে চেলসি

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ম্যাচের শুরুতে আক্রমণের ঝড় তুলে গোল আদায় করে নিল চেলসি। মাঝে তাদের কিছুটা ছন্দপতন হলেও দলটিকে তেমন ভাবাতে পারেনি লিল। আরও একবার জাল অক্ষত রেখে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার পথে কিছুটা এগিয়ে গেল শিরোপাধারীরা।
জঊখঅঞঊউ ঝঞঙজওঊঝ
৩২ সেকেন্ডে গোল করে জিততে পারল না ইউভেন্তুস
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতেছে টমাস টুখেলের দল। কাই হাভার্টজ দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে ফরাসি ক্লাবটির বিপক্ষে এই নিয়ে তিনবারের দেখায় প্রতিবারই জিতল চেলসি। ২০১৯-২০ আসরের গ্রুপ পর্বে দুই লেগেই ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল তারা।
গত শনিবার প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচে সাদামাটা পারফরম্যান্সের জন্য একাদশে জায়গা হারান রোমেলু লুকাকু। মূলত তিন মিডফিল্ডার হাভার্টজ, পুলিসিক ও হাকিম জিয়াশকে নিয়ে আক্রমণভাগ সাজান টুখেল। কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়ে দুজন পেলেন জালের দেখা, আরেক জন করলেন অ্যাসিস্ট।
ম্যাচ শুরু হতেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় চেলসি। কিন্তু সেসার আসপিলিকুয়েতার ক্রস ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়ে ওয়ান-অন-ওয়ানে অবিশ্বাস্যভাবে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান হাভার্টজ। তিন মিনিট পর ডি-বক্সে একজনকে কাটিয়ে এই জার্মান মিডফিল্ডারের আরেক শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
পরের মিনিটে আর ব্যর্থ হননি হাভার্টজ। জিয়াশের কর্নারে দারুণ হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। আসরে এই নিয়ে কর্নারে চারটি গোল করল চেলসি, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
স্বাগতিকদের প্রবল চাপের মধ্যেই দ্বাদশ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়ায় লিল। তবে ডি-বক্সে জটলার মধ্যে তিনবার হাফ-চান্স পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি কেউ।
প্রথম ১০ মিনিটে প্রবল আক্রমণের যে ছাপ রাখে চেলসি, তা ক্রমেই কমে যায়। ডাগআউটে তখন কোচ টুখেলের চোখেমুখে কিছুটা হতাশার চিহ্ন। বল দখলে রেখে আক্রমণও বেশি করতে থাকে সফরকারীরা, যদিও উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। প্রথমার্ধে তারা গোলের উদ্দেশ্যে ৯টি শট নিয়ে কেবল একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে, সেটিও ভাবাতে পারেনি গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদিকে।
৬৩তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পুলিসিক। এনগোলো কঁতের রক্ষণচেরা পাস ডি-বক্সে দুই ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জায়গা বানিয়ে নিচু শটে গোলটি করেন যুক্তরাষ্ট্রের এই মিডফিল্ডার।
বাকি সময়েও সমানতালে চলে আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণ। কিন্তু আর কোনো নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউ। বল দখলের সমতার লড়াইয়ে গোলের উদ্দেশ্যে মোট ১৫টি শট নিয়ে কেবল দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে লিল। বিপরীতে, চেলসির ৯ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে।
২০২০-২১ মৌসুমের শুরু থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই নিয়ে মোট ১৪ ম্যাচে জাল অক্ষত রাখল চেলসি। যে কোনো দলের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।