ঢাকা ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

লিবিয়া উপকূলে এক সপ্তাহে ১৬০ অভিবাসীর মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে এক সপ্তাহে নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ১৬০ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ হিসাব গত ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বরের। এ নিয়ে ২০২১ সালে এ নৌপথে প্রায় দেড় হাজার অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
২০১১ সালে লিবিয়ার একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে সরাতে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে বাঁচতে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন লিবিয়ার অভিবাসীরা। অনেকে ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আইওএম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া, তীরে উঠতে বাধা দেওয়া কিংবা লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো অভিবাসীর সংখ্যা ৪৬৬।
লিবিয়ার অভিবাসীদের জন্য আরেকটি পছন্দের দেশ মরক্কো। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত চার দিনে ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিকে ৩৫২ জন অভিবাসীকে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামরিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা ম্যাপ জানিয়েছে, এ অভিবাসীরা নৌকায় মরক্কোতে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেছিলেন। এর মধ্যে ৯ শিশু ও ২৩ জন নারী রয়েছেন। উদ্ধার অভিবাসীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর নৌবাহিনীর একটি জাহাজে পার্শ্ববর্তী মরক্কান বন্দরে পাঠানো হয়েছে। এরপর তাঁদের সেখানকার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মরক্কোর পুলিশ বলছে, ২০২১ সালে তারা অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে ১২ হাজার ২০০–এর বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। ১৫০টি পাচারকারী নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছে তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লিবিয়া উপকূলে এক সপ্তাহে ১৬০ অভিবাসীর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১২:১৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে এক সপ্তাহে নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ১৬০ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ হিসাব গত ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বরের। এ নিয়ে ২০২১ সালে এ নৌপথে প্রায় দেড় হাজার অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
২০১১ সালে লিবিয়ার একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে সরাতে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে বাঁচতে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন লিবিয়ার অভিবাসীরা। অনেকে ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আইওএম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া, তীরে উঠতে বাধা দেওয়া কিংবা লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো অভিবাসীর সংখ্যা ৪৬৬।
লিবিয়ার অভিবাসীদের জন্য আরেকটি পছন্দের দেশ মরক্কো। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত চার দিনে ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিকে ৩৫২ জন অভিবাসীকে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামরিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা ম্যাপ জানিয়েছে, এ অভিবাসীরা নৌকায় মরক্কোতে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেছিলেন। এর মধ্যে ৯ শিশু ও ২৩ জন নারী রয়েছেন। উদ্ধার অভিবাসীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর নৌবাহিনীর একটি জাহাজে পার্শ্ববর্তী মরক্কান বন্দরে পাঠানো হয়েছে। এরপর তাঁদের সেখানকার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মরক্কোর পুলিশ বলছে, ২০২১ সালে তারা অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে ১২ হাজার ২০০–এর বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। ১৫০টি পাচারকারী নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছে তারা।