ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলের সদর দপ্তরে হামলা

  • আপডেট সময় : ১২:১৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সশস্ত্র গোষ্ঠী লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলির একটি হোটেলে হামলা চালিয়েছে। গত শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। ওই হোটেলটি লিবিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলের সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে (আনভেরিফাইড) দেখা যায়, লিবিয়া শহরের কেন্দ্রে ইউনিফর্ম পরা অস্ত্রধারীরা করেনথিয়া হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে তাদেরকে মিলিশিয়া হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলের মুখপাত্র নাজওয়া ওয়াহিবা কাউন্সিল বসে এমন একটি হোটেলে হামলা চালানোর তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় কাউন্সিলের কেউ আহত হয়নি কারণ গত শুক্রবার দেশটির সাধারণ ছুটির দিনে কাউন্সিল বসে না। যদিও প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা পরে এই ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি এবং অস্ত্রধারী কেউ ছিল না।
মোহাম্মদ মোবারক নামে ওই কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ঘটনার সময় তিনি হোটেলে ছিলেন। হোটেলে কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি, কোনো অপহরণ কিংবা তার ওপর আক্রমণ হয়নি।
জীবনযাপনের মানের দিকে থেকে তেল-সমৃদ্ধ লিবিয়া একসময় আফ্রিকার শীর্ষে ছিল। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ছিল পুরোপুরি সরকারের দায়িত্ব, পয়সা লাগতো না। কিন্তু ২০১১ সালে পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে প্রেসিডেন্ট কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হলে দেশটির রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা, ঐশ্বর্য পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন নৈরাজ্য এবং অরাজকতা। রাজধানী ত্রিপলির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এখন নতুন করে শুরু লড়াই হয়েছে ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলের সদর দপ্তরে হামলা

আপডেট সময় : ১২:১৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সশস্ত্র গোষ্ঠী লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলির একটি হোটেলে হামলা চালিয়েছে। গত শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। ওই হোটেলটি লিবিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলের সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে (আনভেরিফাইড) দেখা যায়, লিবিয়া শহরের কেন্দ্রে ইউনিফর্ম পরা অস্ত্রধারীরা করেনথিয়া হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে তাদেরকে মিলিশিয়া হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলের মুখপাত্র নাজওয়া ওয়াহিবা কাউন্সিল বসে এমন একটি হোটেলে হামলা চালানোর তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় কাউন্সিলের কেউ আহত হয়নি কারণ গত শুক্রবার দেশটির সাধারণ ছুটির দিনে কাউন্সিল বসে না। যদিও প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা পরে এই ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি এবং অস্ত্রধারী কেউ ছিল না।
মোহাম্মদ মোবারক নামে ওই কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ঘটনার সময় তিনি হোটেলে ছিলেন। হোটেলে কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি, কোনো অপহরণ কিংবা তার ওপর আক্রমণ হয়নি।
জীবনযাপনের মানের দিকে থেকে তেল-সমৃদ্ধ লিবিয়া একসময় আফ্রিকার শীর্ষে ছিল। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ছিল পুরোপুরি সরকারের দায়িত্ব, পয়সা লাগতো না। কিন্তু ২০১১ সালে পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে প্রেসিডেন্ট কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হলে দেশটির রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা, ঐশ্বর্য পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন নৈরাজ্য এবং অরাজকতা। রাজধানী ত্রিপলির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এখন নতুন করে শুরু লড়াই হয়েছে ।