ঢাকা ১১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

লিবিয়া থেকে আরো ১৭৪ বাংলাদেশি ফিরছেন

  • আপডেট সময় : ০২:০৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

প্রত্যাশা ডেস্ক: বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহযোগিতায় মিসরাতা থেকে ১৭৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) তাদের দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের মধ্যে ২১ জন তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন এবং অবশিষ্ট ১৫৩ জন বিপদগ্রস্ত অবস্থায় মিসরাতা ও পার্শ্ববর্তী শহরসমূহে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে গেছেন। এছাড়া তাদের মধ্যে ৯ জন অভিবাসী শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। প্রত্যাবাসিত অভিবাসীরা লিবিয়ার বুরাক এয়ারের ফ্লাইটযোগে আজ ২৮ অক্টোবর দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার মিসরাতায় স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত যাওয়া অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত দেশে ফেরত যাওয়া অভিবাসীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য দূতাবাসের চলমান উদ্যোগ ও বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন।

তিনি বলেন, ‘সকল প্রবাসীর কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দূতাবাস সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি অভিবাসীদের সতর্ক করে বলেন, ‘অনিয়মিতভাবে বিদেশে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে নিজের জীবন, পরিবার ও দেশের সুনাম সবকিছুই ক্ষতির মুখে পড়ে।’

রাষ্ট্রদূত প্রত্যাবর্তনকারীদের অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি ও এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করতে তাদের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে দেশে ফিরে পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও তিনি তাদের পরামর্শ দেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত ফ্লাইটটি যথাসময়ে পরিচালনায় সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আইওএম-এর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, পূর্বে প্রত্যাবাসিত অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে দূতাবাসে আবেদন জমা দেন। পরবর্তীতে দূতাবাস তাদের প্রত্যেকের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে আইওএম-এর নিকট নিবন্ধনের ব্যবস্থা করে। এছাড়াও তাদের বহির্গমন ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্নের ক্ষেত্রে দূতাবাস আইওএম ও লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করেছে।

এসি/আপ্র/২৮/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

লিবিয়া থেকে আরো ১৭৪ বাংলাদেশি ফিরছেন

আপডেট সময় : ০২:০৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহযোগিতায় মিসরাতা থেকে ১৭৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) তাদের দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের মধ্যে ২১ জন তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন এবং অবশিষ্ট ১৫৩ জন বিপদগ্রস্ত অবস্থায় মিসরাতা ও পার্শ্ববর্তী শহরসমূহে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে গেছেন। এছাড়া তাদের মধ্যে ৯ জন অভিবাসী শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। প্রত্যাবাসিত অভিবাসীরা লিবিয়ার বুরাক এয়ারের ফ্লাইটযোগে আজ ২৮ অক্টোবর দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার মিসরাতায় স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত যাওয়া অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত দেশে ফেরত যাওয়া অভিবাসীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য দূতাবাসের চলমান উদ্যোগ ও বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন।

তিনি বলেন, ‘সকল প্রবাসীর কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দূতাবাস সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি অভিবাসীদের সতর্ক করে বলেন, ‘অনিয়মিতভাবে বিদেশে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে নিজের জীবন, পরিবার ও দেশের সুনাম সবকিছুই ক্ষতির মুখে পড়ে।’

রাষ্ট্রদূত প্রত্যাবর্তনকারীদের অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি ও এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করতে তাদের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে দেশে ফিরে পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও তিনি তাদের পরামর্শ দেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত ফ্লাইটটি যথাসময়ে পরিচালনায় সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আইওএম-এর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, পূর্বে প্রত্যাবাসিত অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে দূতাবাসে আবেদন জমা দেন। পরবর্তীতে দূতাবাস তাদের প্রত্যেকের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে আইওএম-এর নিকট নিবন্ধনের ব্যবস্থা করে। এছাড়াও তাদের বহির্গমন ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্নের ক্ষেত্রে দূতাবাস আইওএম ও লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করেছে।

এসি/আপ্র/২৮/১০/২০২৫