ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘লিটনকে না পাওয়া ব্যাটিংয়ে বিশাল ক্ষতি’

  • আপডেট সময় : ০৩:২০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

ক্রীড়া ডেস্ক: পাকিস্তানের কাছে হেরে এশিয়া কাপের ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশ দলের। অলিখিত ফাইনালে বোলিংটা ভালো হলেও ফিল্ডিং ও ব্যাটিং ছিল নখদন্তহীন। ভারতের বিপক্ষে খেলার পর দিনই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছেন জাকের-হৃদয়রা।

কঠিন দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টানা ‍দুই ম্যাচ খেলা-শারীরিক ধকলের ব্যাপার থাকে। তবে বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছেন, এটাকে তিনি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে চান না। ব্যাটারদের ভুলকেই তিনি হারের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

দুই দিনে দুটি ম্যাচ খেলা প্রসঙ্গে সিমন্স বলেন, ‘আমি মনে করি না (এটা হারের কারণ), এই অজুহাতটা দিতে চাই না। আমি অজুহাত পছন্দ করি না। আর আমার মনে হয় যদি তুমি ব্যাক-টু-ব্যাক ম্যাচ খেল, তুমি যথেষ্ট ফিট, আর পরের দিন নেমে ১০০ শতাংশ খেলতে সক্ষম হওয়া উচিত।’

বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ১৩৬ রানের লক্ষ্য- কোনো নির্দেশনা কি ছিল খেলোয়াড়দের যে তোমাদের ১৮ ওভারে বা ১৫ ওভারে তাড়া করতে হবে? ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলন সিমন্স বলেন, ‘না, আমাদের কোনো ওভারে তাড়া করার দরকার ছিল না, আমাদের শুধু ম্যাচটা জিততে হতো।’

তাড়া নেই, তবু দলের ব্যাটিংয়ের এমন ধরন কেন? সিমন্স বললেন, ‘মাঝে মাঝে এটা হয়, সব দলেরই কোনো না কোনো সময়ে হয়। আজ (গতকাল) আমাদের দিন ছিল, আমাদের সিদ্ধান্তগুলো, আমাদের শট সিলেকশন আজ সেরা ছিল না।’

টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে সিমন্স বলেন, ‘আমরা তো দুই ম্যাচ আগেই একই ব্যাটিং অর্ডার দিয়ে ১৬০ রান তাড়া করেছি। আমরা এমন একটা দল নই, তামিম আর অধিনায়ককে একসঙ্গে হারালাম আর সহজেই সেটা পূরণ করতে পারব। আমরা এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি, পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু এত ভালো ফর্মে থাকা অধিনায়ককে হারানো আমাদের জন্য বিশাল ক্ষতি।’

লিটন দাসের অনুপস্থিতি হারের বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন সিমন্স, ‘হ্যাঁ, লিটনের অনুপস্থিতি, সে যে ফর্মে আছে সেটা আমাদের ব্যাটিংয়ে বিশাল ক্ষতি করেছে। আমি আগেই বলেছি, আমাদের অন্য দলগুলোর মতো গভীরতা নেই।’

ওআ/আপ্র/২৬/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘লিটনকে না পাওয়া ব্যাটিংয়ে বিশাল ক্ষতি’

আপডেট সময় : ০৩:২০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: পাকিস্তানের কাছে হেরে এশিয়া কাপের ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশ দলের। অলিখিত ফাইনালে বোলিংটা ভালো হলেও ফিল্ডিং ও ব্যাটিং ছিল নখদন্তহীন। ভারতের বিপক্ষে খেলার পর দিনই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছেন জাকের-হৃদয়রা।

কঠিন দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টানা ‍দুই ম্যাচ খেলা-শারীরিক ধকলের ব্যাপার থাকে। তবে বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছেন, এটাকে তিনি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে চান না। ব্যাটারদের ভুলকেই তিনি হারের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

দুই দিনে দুটি ম্যাচ খেলা প্রসঙ্গে সিমন্স বলেন, ‘আমি মনে করি না (এটা হারের কারণ), এই অজুহাতটা দিতে চাই না। আমি অজুহাত পছন্দ করি না। আর আমার মনে হয় যদি তুমি ব্যাক-টু-ব্যাক ম্যাচ খেল, তুমি যথেষ্ট ফিট, আর পরের দিন নেমে ১০০ শতাংশ খেলতে সক্ষম হওয়া উচিত।’

বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ১৩৬ রানের লক্ষ্য- কোনো নির্দেশনা কি ছিল খেলোয়াড়দের যে তোমাদের ১৮ ওভারে বা ১৫ ওভারে তাড়া করতে হবে? ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলন সিমন্স বলেন, ‘না, আমাদের কোনো ওভারে তাড়া করার দরকার ছিল না, আমাদের শুধু ম্যাচটা জিততে হতো।’

তাড়া নেই, তবু দলের ব্যাটিংয়ের এমন ধরন কেন? সিমন্স বললেন, ‘মাঝে মাঝে এটা হয়, সব দলেরই কোনো না কোনো সময়ে হয়। আজ (গতকাল) আমাদের দিন ছিল, আমাদের সিদ্ধান্তগুলো, আমাদের শট সিলেকশন আজ সেরা ছিল না।’

টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে সিমন্স বলেন, ‘আমরা তো দুই ম্যাচ আগেই একই ব্যাটিং অর্ডার দিয়ে ১৬০ রান তাড়া করেছি। আমরা এমন একটা দল নই, তামিম আর অধিনায়ককে একসঙ্গে হারালাম আর সহজেই সেটা পূরণ করতে পারব। আমরা এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি, পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু এত ভালো ফর্মে থাকা অধিনায়ককে হারানো আমাদের জন্য বিশাল ক্ষতি।’

লিটন দাসের অনুপস্থিতি হারের বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন সিমন্স, ‘হ্যাঁ, লিটনের অনুপস্থিতি, সে যে ফর্মে আছে সেটা আমাদের ব্যাটিংয়ে বিশাল ক্ষতি করেছে। আমি আগেই বলেছি, আমাদের অন্য দলগুলোর মতো গভীরতা নেই।’

ওআ/আপ্র/২৬/০৯/২০২৫