ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

লিখে কোটি হৃদয়ে জ্বেলেছেন আলো, মৃত্যুর পর বাঁচালেন জীবন

  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিষণ্ণতা থেকে মানুসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে বই লিখে বিখ্যাত হয়েছিলেন কোরিয়ান লেখিকা বেক সে-হি। তার লেখা বই মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায় নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়েছে। জাগতিক মৃত্যু হলেও নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে বাঁচিয়ে গেছেন পাচজনের জীবন।

বেক সে-হি ১৯৯০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন সৃজনশীল লেখালেখি নিয়ে । পরে পাঁচ বছর একটি প্রকাশনা সংস্থায় কাজও করেছেন। তবে এক সময় তীব্র বিষন্নতায় ভুগেছেন যা ডিস্টাইমিয়া নামে পরিচিত। এ বিষন্নতার কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের নিয়মিত কাউন্সিলিংয়ের কারণে সুস্থ জীবনে ফিরে আসেন। এর পর ২০১৮ সালে তার আত্মজীবনী নিয়ে প্রকাশ করেন বই। তার বইটি ছিল মূলত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথোপকথনের সংকলন।

‘আই ওয়ান্ট টু ডাই বাট আই ওয়ান্ট টু ইট ত্তকবোক্কি’ নামে বইটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয় ২০২২ সালে।এরপর তা দ্রুতই বিশ্বজুড়ে পাঠকের হৃদয় জয় করে নেয়। বর্তমানে বইটি ২৫টি ভাষায় অনূদিত ও ১০ লক্ষাধিক কপি বিক্রি হয়েছে। তার বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে এবং এর ইংরেজি অনুবাদ আসে ২০২৪ সালে।

বইটির বিখ্যাত একটি লাইন ছিল, মানুষের হৃদয় কখনও কখনও মরতে চায়, কিন্তু একই সঙ্গে কিছু ত্তকবোক্কি (কোরিয়ান জনপ্রিয় স্ট্রিটফুড) খেতেও চায়। দক্ষিণ কোরিয়ার অঙ্গদান সংস্থা (কেওডিএ) জানিয়েছে, বেক তার হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, যকৃৎ ও কিডনি দান করেছেন, যা পাঁচজন মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। তার আত্মজৈবনিক বইয়ের ইংরেজি অনুবাদক অ্যান্টন হুর ইনস্টাগ্রামে লেখেন, তার অঙ্গগুলো পাঁচটি জীবন বাঁচিয়েছে, কিন্তু তার লেখা কোটি মানুষের জীবনে আলো জ্বেলে গেছে। সূত্র: বিবিসি

সানা/ওআ/আপ্র/১৭/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

লিখে কোটি হৃদয়ে জ্বেলেছেন আলো, মৃত্যুর পর বাঁচালেন জীবন

আপডেট সময় : ০৭:৪০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: বিষণ্ণতা থেকে মানুসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে বই লিখে বিখ্যাত হয়েছিলেন কোরিয়ান লেখিকা বেক সে-হি। তার লেখা বই মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায় নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়েছে। জাগতিক মৃত্যু হলেও নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে বাঁচিয়ে গেছেন পাচজনের জীবন।

বেক সে-হি ১৯৯০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন সৃজনশীল লেখালেখি নিয়ে । পরে পাঁচ বছর একটি প্রকাশনা সংস্থায় কাজও করেছেন। তবে এক সময় তীব্র বিষন্নতায় ভুগেছেন যা ডিস্টাইমিয়া নামে পরিচিত। এ বিষন্নতার কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের নিয়মিত কাউন্সিলিংয়ের কারণে সুস্থ জীবনে ফিরে আসেন। এর পর ২০১৮ সালে তার আত্মজীবনী নিয়ে প্রকাশ করেন বই। তার বইটি ছিল মূলত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথোপকথনের সংকলন।

‘আই ওয়ান্ট টু ডাই বাট আই ওয়ান্ট টু ইট ত্তকবোক্কি’ নামে বইটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয় ২০২২ সালে।এরপর তা দ্রুতই বিশ্বজুড়ে পাঠকের হৃদয় জয় করে নেয়। বর্তমানে বইটি ২৫টি ভাষায় অনূদিত ও ১০ লক্ষাধিক কপি বিক্রি হয়েছে। তার বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে এবং এর ইংরেজি অনুবাদ আসে ২০২৪ সালে।

বইটির বিখ্যাত একটি লাইন ছিল, মানুষের হৃদয় কখনও কখনও মরতে চায়, কিন্তু একই সঙ্গে কিছু ত্তকবোক্কি (কোরিয়ান জনপ্রিয় স্ট্রিটফুড) খেতেও চায়। দক্ষিণ কোরিয়ার অঙ্গদান সংস্থা (কেওডিএ) জানিয়েছে, বেক তার হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, যকৃৎ ও কিডনি দান করেছেন, যা পাঁচজন মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। তার আত্মজৈবনিক বইয়ের ইংরেজি অনুবাদক অ্যান্টন হুর ইনস্টাগ্রামে লেখেন, তার অঙ্গগুলো পাঁচটি জীবন বাঁচিয়েছে, কিন্তু তার লেখা কোটি মানুষের জীবনে আলো জ্বেলে গেছে। সূত্র: বিবিসি

সানা/ওআ/আপ্র/১৭/১০/২০২৫