এম ডি নজরুল ইসলাম, লালমনিরহাট সংবদাদাতা: লালমনিরহাটে কয়েক দিন আগে অস্থির হয়ে ওঠা সবজির বাজারে এখন স্বস্তি বিরাজ করছে। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় এ সপ্তাহে দাম কমেছে তবে মাছের দাম চলে গেছে মধ্যম ও নিম্নআয়ের মানুষের নাগালের বাইরে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর ) জেলার আদীতমারী, নামুড়ী, শিয়ালখোওয়া, চাপারহাট, তুষভান্ডার বাজার ঘুরে দেখা গেছে সবজির দাম কিছুটা কমলেও মাছের বাজারে ক্রেতাদের হাঁপিয়ে উঠতে হচ্ছে।
সবজির খুচরা দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, মূলা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, বেগুন ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লাউ ১৫ থেকে ২০ টাকা, বরবটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বড় করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পেঁপে প্রতি কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা, কচুর শাঁক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা, কুমড়া প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, শসা ২০ টাকা, আলু মানভেদে ১২ থেকে ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, রসুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা এবং টমেটো ৯০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শহরের গোশালা বাজার, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার সবজি বিক্রেতা সালাম মিয়া দৈনিক আজকের প্রত্যাশাকে জানান, বেশ কিছুদিন ধরে সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও বর্তমানে সরবরাহ বাড়ায় বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে। তুলনামূলক কম দামের মধ্যেই সব ধরনের সবজি কিনতে পারছেন সাধারণ মানুষ।
তুষভান্ডার সবজি বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম দৈনিক আজকের প্রত্যাশাকে বলেন, ‘সবজির বাজার এক রকম থাকে না। কখনো কমে আবার বেড়ে যায়। তবে গত ২ সপ্তাহের তুলনায় এবার শিম, লাউসহ কিছু সবজির দাম কমেছে। মৌসুম শুরুর দিকে শিমের দাম ছিলো কেজি ২০০ টাকা, এখন নেমে এসেছে ১১০ টাকায়।
অন্যদিকে মাছের বাজারে দামে যেন লাগাম নেই। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৪০ থেকে ৩৮০ টাকা, কাতল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, শিং মাছ মিলছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। তুলনামূলক সস্তা মাছগুলোর মধ্যে সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।
তুষভান্ডার কাঁচা বাজারের সবজি কিনতে আসা লেবু মিয়া বলেন, সব ধরনের সবজি ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। ইচ্ছে মতো সব ধরনের সবজি কিনে নিতে পারছি। বাজারে আরও তদারকি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন এ ক্রেতা।
মাছ কিনতে আসা ক্রেতা দুলাল মিয়া বলেন, ‘দেশি ছোট মাছের দাম এত বেশি যে সাধারণ মানুষ কিনতেই পারে না। চাষ করা মাছের দামও দিন দিন বাড়ছে। বড় একটি ভালো মাছ কিনতে গেলেই হাজার টাকা লাগে। তাই নিম্নআয়ের মানুষদের এখন তেলাপিয়া ও সিলভার কার্প কিংবা পাঙাশেই ভরসা রাখতে হচ্ছে।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি মিললেও মাছের উচ্চ দাম। ফলে নিম্নআয়ের মানুষদের পাতে এখন আর মাছ থাকছে না।
সানা/ওআ/আপ্র/৩০/১০/২০২৫

























