লালমনিরহাট সংবাদদাতা: লালমনিরহাট সদরে ছেলের ছুরিকাঘাতে সুশীলা কর্মকার (৫৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে রোববার (৫ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুশীলা কর্মকার ওই এলাকার মৃত ভেললো কর্মকারের স্ত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তার ছেলে নিমাই কর্মকারকে (২৮) গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নিমাই কর্মকারের স্ত্রী অভিমান করে বাবার বাড়িতে চলে যান। এ নিয়ে শনিবার রাতে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। একপর্যায়ে নিমাই কর্মকার বড়বাড়ী বাজারে গিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন ও তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন।
পরে তার মা সুশীলা কর্মকার ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় ক্ষিপ্ত নিমাই ছুরি দিয়ে মায়ের শরীরে একাধিক আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত নিমাই কর্মকারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিমাইয়ের ভাবি জানান, দীর্ঘদিন ধরে নিমাই মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। আগে পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছিল। কখনো ভালো থাকত, কখনো আচরণ খারাপ হয়ে যেত। স্ত্রী চলে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
এক প্রতিবেশী বলেন, নিমাই আগে কিছুটা মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিল। বাজারে গিয়ে মানুষকে কোপানোর পর মা গিয়ে বুঝিয়ে আনতে চেয়েছিলেন, তখনই ছুরি মেরে হত্যা করে। এমন অমানবিক ঘটনা আমাদের এলাকাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুন্নবী বলেন, ঘটনার পরপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তবে সে মানসিক রোগী কিনা বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
এসি/আপ্র/০৫/১০/২০২৫